10 ভিতরে ·অনুবাদ করা

কেমোন দেখাচ্ছে আমাকে

image
1 d ·অনুবাদ করা

_____হয়তো আমি আর থাকবো না, তবে আমার এই লেখাটা তোমার সামনে পড়লে, কথা গুলো শুনে যেও, হয়তো তোমায় না বলা কিছু কথা তুমি জানতে পারবে।

-মানুষ বলে দুনিয়া নাকি শান্তির জায়গা নয়, কিন্তু আমি বলি তোমাকে পেয়ে তোমার ভালোবাসা পেয়ে যতোটা হাসিখুশি থাকতাম বিশ্বাস করো, আমাকে দুনিয়ার সবচেয়ে দামী দামী সম্পদ হাসিখুশি এনে দিলেও আমি এতোটা সুখী হতাম না।

যতোটা হাসিখুশি তুমি আমাকে রেখেছিলে।

-আর তারপর যখন তুমি আমাকে অবহেলা করতে শুরু করলে, আমার থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে দিলে কোনো কারন ছাড়ায়, তখন মনে হতো আমার থেকে যেনো আমার পুরো পৃথিবী টাই দূরে চলে যেতো।

-আর তখনি আমি বুঝতে পারলাম প্রিয় মানুষ কে ছাড়া থাকাটা কতটা কষ্টের হতে পারে। আর সেই কষ্ট টা তুমি দিলে আমাকে, তুমি ছেড়ে চলে গেলে আমাকে, তুমি তোমার কথা রাখোনি, ভালোবাসি বলেও তুমি আমাকে ভালোবাসো নি।

তোমাকে হারানোর ভয়ে হাউমাউ করে কেঁদেছি আমি, তুমি আমার চোখের পানি দেখেছো বহুবার তবুও

তোমার মন গলেনি। তুমি আমার হবে বলেও তুমি আমার হওনি, জানিনা আর কতটা ভালোবাসলে কিভাবে ভালোবাসলে আমি তোমাকে পাইতাম তোমার মনপাইতাম। কত নিখুঁত ভাবে অভিনয় করে গেছো তুমি আমার সাথে , আমি বুঝতে পারি নি তোমার অভিনয়।-এরপর আমার আশেপাশের মানুষ গুলোর কথা মনে পরতে লাগলো, তারা বলেছিলো দুনিয়া শান্তির জায়গা নয়...!

দুনিয়া হচ্ছে কষ্টের জায়গা, দুনিয়া যদি শান্তির জায়গা হতো তাহলে আল্লাহ তায়ালা কখনো জান্নাত বানাতেন না।

-আসলে আমি সেটা বুঝতে পারি নি..!!

-আমি তোমাকে ভালোবেসে আমার জান্নাত এই দুনিয়া কে বানিয়েছিলাম, তোমার মাঝে আমার সব সুখ শান্তি খুঁজেছিলাম। তোমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসছিলাম।

-তাই তো এই কষ্ট টা আমার পাওনা ছিলো, তবে এখন আর কোনো কিছু হারানোর ভয় নেই, আমি এক সময় যেটা হারানোর ভয় করতাম ব্যাস সেটা হারিয়ে ফেললাম !!

-তবে তুমি ভালো থেকো, তোমার ব্যক্তিগত জীবনে, অবশ্য তুমি ভালো থাকতে পারবে না, কারন জীবনে কাউকে কাঁদিয়ে কেউ কোনো দিন সুখী হতে পারে না,,

তবুও বলছি পারলে ভালো থেকো, আমার এক একটি দীর্ঘশ্বাস তোমার জীবনে অভিশাপ হয়ে যেনো না দাড়ায়,,!!

এখনো অনেক ভালোবাসি তোমাকে!😌❤️‍🩹

1 d ·অনুবাদ করা

_____হয়তো আমি আর থাকবো না, তবে আমার এই লেখাটা তোমার সামনে পড়লে, কথা গুলো শুনে যেও, হয়তো তোমায় না বলা কিছু কথা তুমি জানতে পারবে।

-মানুষ বলে দুনিয়া নাকি শান্তির জায়গা নয়, কিন্তু আমি বলি তোমাকে পেয়ে তোমার ভালোবাসা পেয়ে যতোটা হাসিখুশি থাকতাম বিশ্বাস করো, আমাকে দুনিয়ার সবচেয়ে দামী দামী সম্পদ হাসিখুশি এনে দিলেও আমি এতোটা সুখী হতাম না।

যতোটা হাসিখুশি তুমি আমাকে রেখেছিলে।

-আর তারপর যখন তুমি আমাকে অবহেলা করতে শুরু করলে, আমার থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে দিলে কোনো কারন ছাড়ায়, তখন মনে হতো আমার থেকে যেনো আমার পুরো পৃথিবী টাই দূরে চলে যেতো।

-আর তখনি আমি বুঝতে পারলাম প্রিয় মানুষ কে ছাড়া থাকাটা কতটা কষ্টের হতে পারে। আর সেই কষ্ট টা তুমি দিলে আমাকে, তুমি ছেড়ে চলে গেলে আমাকে, তুমি তোমার কথা রাখোনি, ভালোবাসি বলেও তুমি আমাকে ভালোবাসো নি।

তোমাকে হারানোর ভয়ে হাউমাউ করে কেঁদেছি আমি, তুমি আমার চোখের পানি দেখেছো বহুবার তবুও

তোমার মন গলেনি। তুমি আমার হবে বলেও তুমি আমার হওনি, জানিনা আর কতটা ভালোবাসলে কিভাবে ভালোবাসলে আমি তোমাকে পাইতাম তোমার মনপাইতাম। কত নিখুঁত ভাবে অভিনয় করে গেছো তুমি আমার সাথে , আমি বুঝতে পারি নি তোমার অভিনয়।-এরপর আমার আশেপাশের মানুষ গুলোর কথা মনে পরতে লাগলো, তারা বলেছিলো দুনিয়া শান্তির জায়গা নয়...!

দুনিয়া হচ্ছে কষ্টের জায়গা, দুনিয়া যদি শান্তির জায়গা হতো তাহলে আল্লাহ তায়ালা কখনো জান্নাত বানাতেন না।

-আসলে আমি সেটা বুঝতে পারি নি..!!

-আমি তোমাকে ভালোবেসে আমার জান্নাত এই দুনিয়া কে বানিয়েছিলাম, তোমার মাঝে আমার সব সুখ শান্তি খুঁজেছিলাম। তোমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসছিলাম।

-তাই তো এই কষ্ট টা আমার পাওনা ছিলো, তবে এখন আর কোনো কিছু হারানোর ভয় নেই, আমি এক সময় যেটা হারানোর ভয় করতাম ব্যাস সেটা হারিয়ে ফেললাম !!

-তবে তুমি ভালো থেকো, তোমার ব্যক্তিগত জীবনে, অবশ্য তুমি ভালো থাকতে পারবে না, কারন জীবনে কাউকে কাঁদিয়ে কেউ কোনো দিন সুখী হতে পারে না,,

তবুও বলছি পারলে ভালো থেকো, আমার এক একটি দীর্ঘশ্বাস তোমার জীবনে অভিশাপ হয়ে যেনো না দাড়ায়,,!!

এখনো অনেক ভালোবাসি তোমাকে!😌❤️‍🩹

1 d ·অনুবাদ করা

একটি দুর্ঘটনায় এক পিতা তার ছেলেকে হারান। ভদ্রলোক কিছুতেই এই নিদারুণ মৃত্যুশোক সহ্য করতে পারছিলেন না। খাওয়া, ঘুম, কাজকর্ম সব প্রায় বন্ধ। মর্মান্তিক যন্ত্রণায় দিন কাটছিল তার। এ কষ্টের ভার বহন করা তার পক্ষে কিছুতেই আর সম্ভব হচ্ছিল না। শরীর-মন পুরো ভেঙে গিয়েছিল।

এমন দুঃসহ সময়ে একদিন তার ছোট্ট মেয়েটি আবদার করে বসল- বাবা, আমাকে একটা নৌকা বানিয়ে দেবে? মেয়েকে খুশি করতে তিনি একটানা কয়েক ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করে কাঠ দিয়ে একটা নৌকা বানালেন। নৌকাটি মেয়ের হাতে তুলে দিতে গিয়েই তার মনে হলো, ছেলে মারা যাওয়ার পর নৌকা বানানোর এই কয়েকটি ঘণ্টাই তিনি পুত্রশোকের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত ছিলেন।

কেন তিনি এ সময়টা পুত্রশোকের দুঃখ অনুভব করলেন না? কারণ খুঁজতে গিয়ে টের পেলেন ছেলের মৃত্যুর পর এই প্রথম তিনি ছেলেকে নিয়ে কিছু ভাবার সময় পান নি। তখন তিনি বুঝলেন, কাজ জিনিসটা এমনই। কোনো কাজ করার সময় কারো পক্ষে অন্য কিছু ভাবা সম্ভব নয়। নৌকা তৈরির সময় তিনি ছিলেন ঐ কাজটার মধ্যে পুরোপুরি ডুবে যাওয়া মানুষ। তাই সন্তান হারানোর শোকও তার তখন অনুভূত হয় নি। ব্যস, তিনি যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পথ পেয়ে গেলেন।

এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন- একের পর এক কাজ করে যাবেন। যতক্ষণ কাজ ততক্ষণই শান্তি। তিনি মন দিয়ে কাজ করতে লাগলেন। করতে করতে ঠিকই একসময় পুত্রশোক কাটিয়ে উঠলেন।

কাজ এভাবেই মানুষকে বাঁচায়। কাজ দিয়েই আমরা দুঃখকে অতিক্রম করি, দুর্ভাগ্যকে জয় করি। যে যত বেশি কাজ করে সে তত হতাশামুক্ত, দুঃখ-যন্ত্রণাহীন ও আনন্দপূর্ণ। প্রতিটা কাজই জীবনে কমবেশি সাফল্য নিয়ে আসে। সাফল্য মানেই আনন্দ। তাই কাজ মানেও আনন্দ। একজন মানুষ যত কাজ করবে তত তার জীবনে আনন্দ বাড়বে।

প্রিয় বন্ধু, কাজ করতে করতে আপনি বড়জোর ক্লান্ত হবেন, কিন্তু কখনো বিষন্ন কিংবা হতাশ হবেন না।
জীবনে তো অবশ্যই ক্লান্ত হওয়ার দরকার আছে। ক্লান্ত না হলে বিশ্রামের আনন্দ পাবেন কিভাবে?

এখন অনেকে বলতে পারেন- কী কাজ করবো?
করার মতো কোনো কাজ যদি আপনি খুঁজে না পান, গুগলে সার্চ দিন- কোন পাঁচটি কাজ আগামী দশ বছর চাহিদার শীর্ষে থাকবে?
তিন চারটা আর্টিকেল পড়লেই মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনার পছন্দের সাথে যায়, এমন একটি কাজ সিলেক্ট করুন। তারপর শুরু করুন সেই কাজের খুটিনাটি জানা, ধারাবাহিকভাবে দক্ষতা অর্জন করা। প্রচুর পরিশ্রম করুন। এখন এই মুহূর্তে ফেসবুকের চটুল রিলস, আর অহেতুক ভিডিও দেখা বন্ধ করুন। এগুলোই আপনাকে ডিপ্রেশনে ফেলে দেয়। হতাশ করে দেয়।
আপনি স্কিল বাড়ান। স্কিল বাড়বে এমন ভিডিও দেখুন, ডকুমেন্টারি দেখুন, নিজে চর্চা করুন, এক্সপার্ট কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিন।
তবুও কাজের সাথে যুক্ত থাকুন। দেখবেন সব হতাশা, ডিপ্রেশন কেটে গিয়ে সফলতা এসেছে আপনার দ্বারে।
____________________
© Paint with Ashraf

4 d ·অনুবাদ করা

একটি দুর্ঘটনায় এক পিতা তার ছেলেকে হারান। ভদ্রলোক কিছুতেই এই নিদারুণ মৃত্যুশোক সহ্য করতে পারছিলেন না। খাওয়া, ঘুম, কাজকর্ম সব প্রায় বন্ধ। মর্মান্তিক যন্ত্রণায় দিন কাটছিল তার। এ কষ্টের ভার বহন করা তার পক্ষে কিছুতেই আর সম্ভব হচ্ছিল না। শরীর-মন পুরো ভেঙে গিয়েছিল।

এমন দুঃসহ সময়ে একদিন তার ছোট্ট মেয়েটি আবদার করে বসল- বাবা, আমাকে একটা নৌকা বানিয়ে দেবে? মেয়েকে খুশি করতে তিনি একটানা কয়েক ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করে কাঠ দিয়ে একটা নৌকা বানালেন। নৌকাটি মেয়ের হাতে তুলে দিতে গিয়েই তার মনে হলো, ছেলে মারা যাওয়ার পর নৌকা বানানোর এই কয়েকটি ঘণ্টাই তিনি পুত্রশোকের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত ছিলেন।

কেন তিনি এ সময়টা পুত্রশোকের দুঃখ অনুভব করলেন না? কারণ খুঁজতে গিয়ে টের পেলেন ছেলের মৃত্যুর পর এই প্রথম তিনি ছেলেকে নিয়ে কিছু ভাবার সময় পান নি। তখন তিনি বুঝলেন, কাজ জিনিসটা এমনই। কোনো কাজ করার সময় কারো পক্ষে অন্য কিছু ভাবা সম্ভব নয়। নৌকা তৈরির সময় তিনি ছিলেন ঐ কাজটার মধ্যে পুরোপুরি ডুবে যাওয়া মানুষ। তাই সন্তান হারানোর শোকও তার তখন অনুভূত হয় নি। ব্যস, তিনি যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পথ পেয়ে গেলেন।

এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন- একের পর এক কাজ করে যাবেন। যতক্ষণ কাজ ততক্ষণই শান্তি। তিনি মন দিয়ে কাজ করতে লাগলেন। করতে করতে ঠিকই একসময় পুত্রশোক কাটিয়ে উঠলেন।

কাজ এভাবেই মানুষকে বাঁচায়। কাজ দিয়েই আমরা দুঃখকে অতিক্রম করি, দুর্ভাগ্যকে জয় করি। যে যত বেশি কাজ করে সে তত হতাশামুক্ত, দুঃখ-যন্ত্রণাহীন ও আনন্দপূর্ণ। প্রতিটা কাজই জীবনে কমবেশি সাফল্য নিয়ে আসে। সাফল্য মানেই আনন্দ। তাই কাজ মানেও আনন্দ। একজন মানুষ যত কাজ করবে তত তার জীবনে আনন্দ বাড়বে।

প্রিয় বন্ধু, কাজ করতে করতে আপনি বড়জোর ক্লান্ত হবেন, কিন্তু কখনো বিষন্ন কিংবা হতাশ হবেন না।
জীবনে তো অবশ্যই ক্লান্ত হওয়ার দরকার আছে। ক্লান্ত না হলে বিশ্রামের আনন্দ পাবেন কিভাবে?

এখন অনেকে বলতে পারেন- কী কাজ করবো?
করার মতো কোনো কাজ যদি আপনি খুঁজে না পান, গুগলে সার্চ দিন- কোন পাঁচটি কাজ আগামী দশ বছর চাহিদার শীর্ষে থাকবে?
তিন চারটা আর্টিকেল পড়লেই মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনার পছন্দের সাথে যায়, এমন একটি কাজ সিলেক্ট করুন। তারপর শুরু করুন সেই কাজের খুটিনাটি জানা, ধারাবাহিকভাবে দক্ষতা অর্জন করা। প্রচুর পরিশ্রম করুন। এখন এই মুহূর্তে ফেসবুকের চটুল রিলস, আর অহেতুক ভিডিও দেখা বন্ধ করুন। এগুলোই আপনাকে ডিপ্রেশনে ফেলে দেয়। হতাশ করে দেয়।
আপনি স্কিল বাড়ান। স্কিল বাড়বে এমন ভিডিও দেখুন, ডকুমেন্টারি দেখুন, নিজে চর্চা করুন, এক্সপার্ট কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিন।
তবুও কাজের সাথে যুক্ত থাকুন। দেখবেন সব হতাশা, ডিপ্রেশন কেটে গিয়ে সফলতা এসেছে আপনার দ্বারে।
____________________
© Paint with Ashraf

4 d ·অনুবাদ করা

এক বৃদ্ধের কথা শুনে রাসূল (সাঃ) হেঁচকি দিয়ে কান্না করছিলেন।কিন্তু কেন?কি ঘটেছিলো বৃদ্ধের সাথে?

একবার রাসূল (সাঃ) এর কাছে এক সাহাবী এসে বললো, হে রাসূল (সাঃ), আমার বাবা আমার সম্পদ খরচ করে ফেলে কিন্তু আমাকে জিজ্ঞেস করে না। রাসূল (সাঃ) উত্তরে বললেন, তোমার বাবাকে ডেকে আনো।

যখন বৃদ্ধ বাবাকে ডাকা হলো, তখন তিনি রাসূল (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন, হে নবী (সাঃ) কেন আমাকে ডেকেছেন? উত্তর নবী (সাঃ) বললেন, আপনার ছেলে অভিযোগ করছে।

এই কথা শুনে বৃদ্ধ বাবা খুবই কষ্ট পেলেন এবং মনে মনে দু:খে কয়েকটি ছন্দ পড়লেন। পড়তে পড়তে তিনি সভার ভিতরে আসলেন।

যখন তিনি দরজা দিয়ে দরবারে ভিতরে আসলেন, তখন জীবরাঈল (আ আসলেন নবীর কাছে।

বললেন, হে রাসূল (সা, আল্লাহ বলেছেন এই ব্যক্তির সমস্যা পরে শুনবেন, প্রথম ওই কবিতা শুনেন যেটা তিনি ছেলের কষ্টে মনে মনে বলেছেন। উনি সবার সামনে বলেন নি, কিন্তু আল্লাহ শুনেছেন।

অত:পর রাসূল (সাঃ) বৃদ্ধ লোকটিকে বললেন, আপনার সমস্যার কথা পরে শুনি, আগে আপনি ওই কবিতা শুনান যেটা একটু আগে আপনি মনে মনে পড়লেন।

বৃদ্ধ লোকটি বললেন,আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনি আল্লাহর রাসূল।হে আল্লাহ রাসূল (সাঃ) আমি দুংখে কয়েকটি ছন্দ মনে মনে বলেছিলাম,জোরে বলে নি।

তবুও আপনার আল্লাহ সেটা আরশের উপর থেকে শুনেছেন।সত্যিকার অর্থেই আপনি সত্য এবং আপনার রব সত্য।

রাসূল (সাঃ) বললেন,কি বলেছিলেন?

বৃদ্ধ বললেন আমি মনে মনে বললাম,হে আমার পুত্র,যেদিন তুই জন্ম নিয়েছিলি,সে দিন থেকে আমি নিজের জন্যে জীবনযাপন করা ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমরা তোর জন্যে জীবনের সফর শুরু করেছিলাম।

তোকে শীতল ছায়া বসানোর জন্যে,নিজে গরম বাতাসের সাথে লড়েছি।তোকে ঠান্ডা বাতাস থেকে বাঁচানোর জন্যে বরফের মধ্যে কাজ করেছি।তোর একটু হাসি দেখার জন্যে,সারারাত ছটফট করেছি।

নিজের সম্পূর্ণ যৌবনের শক্তি দিয়ে সারারাত নির্বোধ ষাঁড়ের মত খেটেছি,তোকে বড় করার জন্যে।

আমি বৃদ্ধ হতে লাগলাম,তুই যুবক হতে শুরু করলি।আমার কোমর কুঁজো হতে লাগলো তোর কোমর মজবুত হতে থাকলো।

আমার পা থেকে প্রাণ বের হয়ে গেলো,তোর পা শক্ত হলো।আমার হাত কাঁপতে শুরু লাগলো,তোর হাত মজবুত হলো।আমি দুর্বলতায় গড়াগড়ি করতে লাগলাম,তুই অংহকারী হতে লাগলি।

তখন আমার মনে পড়লো,যেমন আমি আমার ছেলের জন্যে ধাক্কা খেতাম,ওর জন্যে আল্লাহর কাছে দোয়া করতাম,ওর জন্যে আল্লাহর কাছে ছটফট করতাম।আজকে মনেহয় আমার এই পড়ন্ত বয়সে,ও আমার আশ্রয় হবে।

কিন্তু তোর মধ্যে যখন যৌবনের তরঙ্গ দৌড়াচ্ছিলো, আর বার্ধক্য আমাকে খেয়ে ফেললো।যখন যৌবন তোকে সোজা করলো আর বার্ধক্য আমাকে বাকা করে দিলো,কোমর কুঁজো করে দিলো।

তুই আমাকে একদম এমনভাবে দেখতে লাগলি যেন, তুই মালিক আর আমি চাকর।

তোর এমন চাহনি দেখে, আমি আমার ত্রিশ বছরের জীবন ভুলে গেছি। আর বলতে লাগলাম, হ্যাঁ হ্যাঁ আমি বাবা না, আমি চাকর।

হে আমার নবী (সাঃ),আপনিই বলুন,যদি ও আমার সন্তান হতো,তাহলে এভাবে না তাকাতো।

এই ছেলে আমার রাত জেগে ছটফট করাকে ভুলে গেছে,দিনের পর দিন আমার শীত-গরমের সাথে লড়াই করা ভুলে গেছে,নির্বোধ ষাঁড়ের মতো খাটুনিকে ভুলে গেছে,আমার সকল সুখ-দুংখকে দাফন করার কাহিনী ভুলে গেছে।

সব ভুলে আজকে আমার সাথে এমনভাবে কথা বলছে, যেন সে আমার মনিব।ঠিক আছে,আমার সন্তান আমি চাকরই,তুই আমার মালিক কিন্তু প্রতিবেশী তো।

মানুষ তো,প্রতিবেশিকে জিজ্ঞেস করে,কেমন আছে, কোন প্রয়োজন আছে কিনা?মাঝে মাঝে এইটুকুই জিজ্ঞেস করতি।

এই ঘটনা শুনে,আমার নবী (সাঃ) কান্না করতে করতে হেঁচকি দিয়ে ফেলেন।

এরপর রাসূল (সাঃ),ওই ছেলের কাঁদ ধরে বললেন,বাহির হয়ে যাও আমার সামনে থেকে,চোখের সামনে থেকে দূরে চলে যাও।তোমার সকল সম্পদ তোমার বাবার,আর এই বাবাই আজকে তোমার হাতে অপমানিত হলো।

5 d ·অনুবাদ করা

একটি দুর্ঘটনায় এক পিতা তার ছেলেকে হারান। ভদ্রলোক কিছুতেই এই নিদারুণ মৃত্যুশোক সহ্য করতে পারছিলেন না। খাওয়া, ঘুম, কাজকর্ম সব প্রায় বন্ধ। মর্মান্তিক যন্ত্রণায় দিন কাটছিল তার। এ কষ্টের ভার বহন করা তার পক্ষে কিছুতেই আর সম্ভব হচ্ছিল না। শরীর-মন পুরো ভেঙে গিয়েছিল।

এমন দুঃসহ সময়ে একদিন তার ছোট্ট মেয়েটি আবদার করে বসল- বাবা, আমাকে একটা নৌকা বানিয়ে দেবে? মেয়েকে খুশি করতে তিনি একটানা কয়েক ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করে কাঠ দিয়ে একটা নৌকা বানালেন। নৌকাটি মেয়ের হাতে তুলে দিতে গিয়েই তার মনে হলো, ছেলে মারা যাওয়ার পর নৌকা বানানোর এই কয়েকটি ঘণ্টাই তিনি পুত্রশোকের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত ছিলেন।

কেন তিনি এ সময়টা পুত্রশোকের দুঃখ অনুভব করলেন না? কারণ খুঁজতে গিয়ে টের পেলেন ছেলের মৃত্যুর পর এই প্রথম তিনি ছেলেকে নিয়ে কিছু ভাবার সময় পান নি। তখন তিনি বুঝলেন, কাজ জিনিসটা এমনই। কোনো কাজ করার সময় কারো পক্ষে অন্য কিছু ভাবা সম্ভব নয়। নৌকা তৈরির সময় তিনি ছিলেন ঐ কাজটার মধ্যে পুরোপুরি ডুবে যাওয়া মানুষ। তাই সন্তান হারানোর শোকও তার তখন অনুভূত হয় নি। ব্যস, তিনি যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পথ পেয়ে গেলেন।

এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন- একের পর এক কাজ করে যাবেন। যতক্ষণ কাজ ততক্ষণই শান্তি। তিনি মন দিয়ে কাজ করতে লাগলেন। করতে করতে ঠিকই একসময় পুত্রশোক কাটিয়ে উঠলেন।

কাজ এভাবেই মানুষকে বাঁচায়। কাজ দিয়েই আমরা দুঃখকে অতিক্রম করি, দুর্ভাগ্যকে জয় করি। যে যত বেশি কাজ করে সে তত হতাশামুক্ত, দুঃখ-যন্ত্রণাহীন ও আনন্দপূর্ণ। প্রতিটা কাজই জীবনে কমবেশি সাফল্য নিয়ে আসে। সাফল্য মানেই আনন্দ। তাই কাজ মানেও আনন্দ। একজন মানুষ যত কাজ করবে তত তার জীবনে আনন্দ বাড়বে।

প্রিয় বন্ধু, কাজ করতে করতে আপনি বড়জোর ক্লান্ত হবেন, কিন্তু কখনো বিষন্ন কিংবা হতাশ হবেন না।
জীবনে তো অবশ্যই ক্লান্ত হওয়ার দরকার আছে। ক্লান্ত না হলে বিশ্রামের আনন্দ পাবেন কিভাবে?

এখন অনেকে বলতে পারেন- কী কাজ করবো?
করার মতো কোনো কাজ যদি আপনি খুঁজে না পান, গুগলে সার্চ দিন- কোন পাঁচটি কাজ আগামী দশ বছর চাহিদার শীর্ষে থাকবে?
তিন চারটা আর্টিকেল পড়লেই মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনার পছন্দের সাথে যায়, এমন একটি কাজ সিলেক্ট করুন। তারপর শুরু করুন সেই কাজের খুটিনাটি জানা, ধারাবাহিকভাবে দক্ষতা অর্জন করা। প্রচুর পরিশ্রম করুন। এখন এই মুহূর্তে ফেসবুকের চটুল রিলস, আর অহেতুক ভিডিও দেখা বন্ধ করুন। এগুলোই আপনাকে ডিপ্রেশনে ফেলে দেয়। হতাশ করে দেয়।
আপনি স্কিল বাড়ান। স্কিল বাড়বে এমন ভিডিও দেখুন, ডকুমেন্টারি দেখুন, নিজে চর্চা করুন, এক্সপার্ট কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিন।
তবুও কাজের সাথে যুক্ত থাকুন। দেখবেন সব হতাশা, ডিপ্রেশন কেটে গিয়ে সফলতা এসেছে আপনার দ্বারে।
____________________
© Paint with Ashraf

5 d ·অনুবাদ করা

আমাকে ভালো রাখার জন্য আপনাকে কোটিপতি হতে হবে না, আপনি শুধু একজন খাঁটি চরিত্রবান মানুষ হলেই হবে, বাকিটা (আল্লাহ ভরসা )🌸🖤আমাকে ভালো রাখার জন্য আপনাকে কোটিপতি হতে হবে না, আপনি শুধু একজন খাঁটি চরিত্রবান মানুষ হলেই হবে, বাকিটা (আল্লাহ ভরসা )🌸🖤আমাকে ভালো রাখার জন্য আপনাকে কোটিপতি হতে হবে না, আপনি শুধু একজন খাঁটি চরিত্রবান মানুষ হলেই হবে, বাকিটা (আল্লাহ ভরসা )🌸🖤আমাকে ভালো রাখার জন্য আপনাকে কোটিপতি হতে হবে না, আপনি শুধু একজন খাঁটি চরিত্রবান মানুষ হলেই হবে, বাকিটা (আল্লাহ ভরসা )🌸🖤আমাকে ভালো রাখার জন্য আপনাকে কোটিপতি হতে হবে না, আপনি শুধু একজন খাঁটি চরিত্রবান মানুষ হলেই হবে, বাকিটা (আল্লাহ ভরসা )🌸🖤আমাকে ভালো রাখার জন্য আপনাকে কোটিপতি হতে হবে না, আপনি শুধু একজন খাঁটি চরিত্রবান মানুষ হলেই হবে, বাকিটা (আল্লাহ ভরসা )🌸🖤আমাকে ভালো রাখার জন্য আপনাকে কোটিপতি হতে হবে না, আপনি শুধু একজন খাঁটি চরিত্রবান মানুষ হলেই হবে, বাকিটা (আল্লাহ ভরসা )🌸🖤আমাকে ভালো রাখার জন্য আপনাকে কোটিপতি হতে হবে না, আপনি শুধু একজন খাঁটি চরিত্রবান মানুষ হলেই হবে, বাকিটা (আল্লাহ ভরসা )🌸🖤আমাকে ভালো রাখার জন্য আপনাকে কোটিপতি হতে হবে না, আপনি শুধু একজন খাঁটি চরিত্রবান মানুষ হলেই হবে, বাকিটা (আল্লাহ ভরসা )🌸🖤আমাকে ভালো রাখার জন্য আপনাকে কোটিপতি হতে হবে না, আপনি শুধু একজন খাঁটি চরিত্রবান মানুষ হলেই হবে, বাকিটা (আল্লাহ ভরসা )🌸🖤আমাকে ভালো রাখার জন্য আপনাকে কোটিপতি হতে হবে না, আপনি শুধু একজন খাঁটি চরিত্রবান মানুষ হলেই হবে, বাকিটা (আল্লাহ ভরসা )🌸🖤আমাকে ভালো রাখার জন্য আপনাকে কোটিপতি হতে হবে না, আপনি শুধু একজন খাঁটি চরিত্রবান মানুষ হলেই হবে, বাকিটা (আল্লাহ ভরসা )🌸🖤

5 d ·অনুবাদ করা

প্রিয় নিসফ আল আফদাল, ভবিষ্যতে সহধর্মিণী

জানো, আমি কোনো রাজপুত্র না। আমার নেই সুগঠিত শরীর, চোখে নেই রোমান্টিক গল্পের মতো মায়া, কণ্ঠেও নেই কবির কাব্যের সুর। আমি হয়তো তোমার স্বপ্নের সেই পারফেক্ট ছেলে না।আমার নেই দামি গাড়ি, ব্র্যান্ডেড ঘড়ি, বা ব্যাংক ব্যালেন্সের ঘনত্ব—কিন্তু আমার আছে একটা হৃদয়, যেখানে শুধুই তোমার জন্য ভালোবাসা জমা আছে।
তুমি যদি কখনো ভাবো (আমার স্বামীটা কেন এমন সাধারণ?)তাহলে আমি বলব, আমি সাধারণই থাকতে চাই, যাতে তোমার ভালোবাসার প্রতিটি স্পর্শে নিজেকে বিশেষ মনে করতে পারি।

জানো, আমি স্বপ্ন দেখি এমন একজন সঙ্গিনীর,
যে পর্দা ভালোবাসে, নম্রতা ধারণ করে,
যে আধুনিকতা নয়, বরং সরলতাকে সম্মান করে,
যে কোরআন-সুন্নাহর আলোকে জীবনকে গঠন করতে চায়,
যে ঘরকে জান্নাত বানাতে চায়—লোক দেখানো সংসার না।আমি চাই না তুমি সাজগোজ করে সবাইকে দেখাওআমি চাই, তুমি আমার জন্য সাজো।
আমি চাই না তুমি হাজার লোকের সামনে হাসো, আমি চাই তুমি শুধু আমার সামনে সেই নিঃশব্দ হেসে বলো তুমি আছো বলেই আমি ভালো আছি।

জানো, আমি চাই না সোনা-দানা, বা সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে মাপা কোনো রমণী।
আমি চাই এমন একজন, যার সাথে মিলেমিশে নামাজে দাঁড়াতে পারব, একসাথে কোরআন পড়তে পারব, কাঁধে মাথা রেখে আখিরাতের গল্প করতে পারব।
তুমি ক্লান্ত হলে আমি তোমার পাশে চুপচাপ বসে থাকব।তুমি অসুস্থ হলে আমি গভীর রাতেও তোমার জন্য দোয়া করব।তুমি চোখের পানি ফেললে আমি কাঁদতে না পারলেও ভেতরটা কেঁপে উঠবে কারণ তুমি আমার হৃদয়ের অর্ধেক।তুমি যদি একদিনও বলতে আমার দিনটা খুব কঠিন ছিল,আমি বলব চলো, দু’জন মিলে আল্লাহর কাছে সেজদা দেই… ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে,,,,,

আমার একটাই চাওয়াতুমি আমাকে ভালোবাসো, আমার প্রতি বিশ্বস্ত থাকো।আমি কোনো প্রতিদান চাই না। চাই শুধু ভালোবাসার বিনিময়ে ভালোবাসা। আর আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তোমার পাশে থেকে দায়িত্ব পালন করতে চাই।আল্লাহ জানেন, আমি কাকে চাচ্ছি আর আমি তাঁর কাছেই প্রার্থনা করি হে রব, আমাকে এমন একজন দাও, যার সঙ্গে আমি শুধু দুনিয়া নয়, আখিরাতেও থাকব।

আমি অপেক্ষায় আছি.......
কারণ আমি এমন এক সত্তার বান্দা, যিনি কারো দোয়া কখনোই বৃথা যেতে দেন না। তিনি অন্তরগুলোকে বদলে দেন, আর সঠিক সময়েই সঠিক মানুষ পাঠান…✨🌼

1 ভিতরে ·অনুবাদ করা

Good night ❤️❤️
রাতে ঘুম না আসলে মহানবী (সা.) আমাদেরকে কিছু দোয়া পড়ার জন্য বলেছেন। এর মধ্যে একটি হলো, "আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া।" (উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া)। এর অর্থ হল, "হে আল্লাহ, আপনার নাম নিয়েই আমি মরি এবং আপনার নাম নিয়েই আমি জীবিত হই।" [১, ২]
এছাড়া, অনিদ্রা দূর করার জন্য আরও কিছু আমল ও দোয়া রয়েছে যা রাতে ঘুমানোর আগে পড়া যেতে পারে। যেমন, সুরা মুলক তেলাওয়াত করা (যা ঘুমানোর আগে পড়ার একটি সুন্নত আমল) [৬]। এছাড়া, কিছু দোয়া রয়েছে যা অনিদ্রা দূর করতে এবং ঘুমানোর জন্য মহানবী (সা.) শিখিয়েছেন, যেমন:
"আল্লাহুম্মা রাব্বাস সামাওয়াতিস সাবয়ি ওয়া মা আজাল্লাত, ওয়া রাব্বাল আরদিনা ওয়া মা আকাল্লাত; ওয়া রাব্বাশ শায়াত্বিনি ওয়া মা আদাল্লাত; কুন লি জারাং-মিন শাররি খালক্বিকা কুল্লিহিম জামিআ।" [২]
এর অর্থ হল, "হে আল্লাহ, সাত আকাশ ও তার ছায়া, জমিন ও তার উৎপাদিত বস্তু এবং শয়তান ও তাদের কুমন্ত্রণার প্রতিপালক! আপনার সৃষ্টির অনিষ্ট থেকে আমাকে রক্ষা করুন।"
"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্‌দাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া-লাহুলহামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদীর, আলহামদুলিল্লাহি ওয়া সুবহানাল্লাহি, ওয়া-লা ইয়াহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়া-লা হাওলা ওয়ালা কুউয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।" [৩]
এর অর্থ হল, "আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোনো ইলাহ নেই। তিনি এক, তাঁর কোনো শরিক নেই। রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা তাঁরই। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ পবিত্র এবং আল্লাহ মহান। আল্লাহ ছাড়া কোনো ক্ষমতা ও শক্তি নেই।" [৩]
এছাড়াও, অনিদ্রার কারণ দূর করার জন্য মানসিক চাপ কমানো, পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং শারীরিক পরিশ্রম করার মতো বিষয়গুলির দিকেও মনোযোগ দেওয়া উচিত। [

image
1 ভিতরে ·অনুবাদ করা

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়ারাহমাতুল্লাহি।

​হযরত উমর (রা.) আনুমানিক ৫৮৩ খ্রিস্টাব্দে মক্কার কুরাইশ বংশের বনু আদি গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ছিল খাত্তাব ইবনে নুফাইল এবং মায়ের নাম ছিল হানতামা বিনতে হিশাম। তিনি শৈশবে উট চরাতেন এবং কুরাইশদের মধ্যে একজন প্রভাবশালী ও শক্তিশালী নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি তৎকালীন আরবের ঐতিহ্য অনুযায়ী লেখা, পড়া ও বংশতালিকা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছিলেন।
​ইসলাম গ্রহণ
​ইসলাম গ্রহণের আগে তিনি ছিলেন ইসলামের ঘোর বিরোধী। তিনি রাসূল (সা.) এবং মুসলমানদের উপর নানাভাবে অত্যাচার করতেন। একবার তিনি রাসূল (সা.)-কে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তরবারি নিয়ে বেরিয়েছিলেন। পথিমধ্যে এক ব্যক্তি তাকে জানায় যে তার নিজের বোন ও ভগ্নিপতি ইসলাম গ্রহণ করেছেন। এ কথা শুনে তিনি তাদের বাড়িতে যান এবং প্রচণ্ড রাগান্বিত হয়ে তাদের উপর চড়াও হন। সেখানে তিনি সূরা ত্ব-হা-এর কিছু আয়াত পাঠ করেন এবং এর সৌন্দর্য ও সত্যতায় মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। তার ইসলাম গ্রহণের ফলে মুসলমানরা প্রকাশ্যে কাবা ঘরে সালাত আদায় করার সাহস পায়। রাসূল (সা.) তাকে "আল-ফারুক" (সত্য ও মিথ্যার পার্থক্যকারী) উপাধিতে ভূষিত করেন।
​খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ
​হযরত আবু বকর (রা.)-এর ইন্তেকালের পর তিনি মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় খলিফা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার খিলাফতের মেয়াদকাল ছিল ১০ বছর (৬৩৪-৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ)। তিনি এই সময়ে ইসলামী সাম্রাজ্যকে পারস্য, বাইজান্টাইন এবং অন্যান্য অঞ্চলে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত করেন। তার শাসনামলেই ইসলাম এক বিশাল শক্তিশালী সাম্রাজ্যে পরিণত হয়।
​শাসন ব্যবস্থা ও অবদান
​হযরত উমর (রা.)-এর শাসনামল ছিল ন্যায়, সুবিচার এবং প্রজাহিতৈষী শাসনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তার কিছু উল্লেখযোগ্য অবদান নিচে উল্লেখ করা হলো:
​ন্যায়পরায়ণতা: তিনি একজন কঠোর ন্যায়পরায়ণ শাসক ছিলেন। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা—সকলের জন্য তার বিচার ছিল সমান।
​প্রশাসনিক সংস্কার: তিনি একটি সুশৃঙ্খল প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তুলেছিলেন। তিনি বিভিন্ন প্রদেশকে বিভক্ত করে সেখানে গভর্নর, বিচারক, ও অন্যান্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেন।
​অর্থনৈতিক ব্যবস্থা: তিনি যাকাত এবং কর আদায়ের জন্য আলাদা বিভাগ স্থাপন করেন। সরকারি কোষাগার (বায়তুল মাল) প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেনাবাহিনীর জন্য নিয়মিত বেতন প্রদানের ব্যবস্থা করেন।
​নাগরিক সুবিধা: তিনি বিভিন্ন শহরে রাস্তাঘাট, সেতু, মসজিদ এবং সরাইখানা নির্মাণ করেন।
​শিক্ষার প্রসার: তিনি শিক্ষার প্রসারেও গুরুত্ব দেন এবং বিভিন্ন স্থানে মাদ্রাসা স্থাপন করেন।
​শাহাদাত
​৬৪৪ খ্রিস্টাব্দে (২৩ হিজরীর ২৬শে জিলহজ্জ), একজন পারসিক দাস আবু লু'লু'র হাতে ফজরের সালাত আদায় করার সময় তিনি শহীদ হন। তার মৃত্যুর পর হযরত উসমান (রা.) তৃতীয় খলিফা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। হযরত উমর (রা.)-কে মসজিদে নববীতে রাসূল (সা.) ও হযরত আবু বকর (রা.)-এর পাশেই দাফন করা হয়।
​যদি আপনার তার জীবনের কোনো নির্দিষ্ট দিক সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার আগ্রহ থাকে, তাহলে আমাকে জানাতে