নিশ্চয়ই! নিচে একটি বাংলা ভুতের গল্প দেওয়া হলো:
---
অন্ধকারের অতিথি
একটা শীতের রাত। গ্রামের শেষ প্রান্তে, বনজঙ্গলের ধারে ছিল একটা পুরনো, পরিত্যক্ত বাড়ি। গ্রামের লোকেরা বলে, ওই বাড়িটা অভিশপ্ত। সেখানে রাতে কেউ গেলে আর ফিরে আসে না।
রাহুল, শহরের এক ছাত্র, শীতের ছুটিতে মামার বাড়ি বেড়াতে এসেছিল। শুনে ফেলেছিল গ্রামে সবাই ভয় পায় ওই বাড়িকে। সাহসী আর কৌতূহলী রাহুল সিদ্ধান্ত নিলো, সে এক রাত ওই বাড়িতে কাটাবে। সবাই বাধা দিলেও সে কারো কথা শুনল না।
রাত ১১টা নাগাদ সে পৌঁছালো বাড়িতে। চারদিকে নিঃস্তব্ধতা। কেবল পাতা ঝরে পড়ার শব্দ আর মাঝেমাঝে দূর থেকে শিয়ালের ডাক। সে টর্চ জ্বালিয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকল। ধুলোময়, জীর্ণ আসবাবপত্র আর ভাঙা জানালার কাঁচে চাঁদের আলো পড়ে যেন ভূতের হাসি ফুটছিল।
রাহুল একটা পুরনো খাটে বসে ডায়েরিতে লেখালেখি করছিল, হঠাৎ একটা ঠান্ডা বাতাস ঘরের ভিতর ঢুকে দরজাটা নিজের থেকেই বন্ধ হয়ে গেল। সে চমকে উঠলো। ভাবলো, বাতাসেই হয়েছে।
কিন্তু তখনই পেছন থেকে একটা ফিসফিসে গলা শোনা গেল,
— “তুমি ফিরে এসো... এখানে কেউ ফিরে যায় না…”
রাহুল ঘুরে তাকালো। কেউ নেই। হঠাৎ তার সামনে দেয়ালে ভেসে উঠলো এক নারীর ছায়া, যার চোখ দুটি লাল আগুনের মতো জ্বলছিল। সেই ছায়া ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছিল তার দিকে...
তারপর?
সকাল হলে, গ্রামের কিছু লোক বাড়িটার সামনে একটা জুতা আর একটা ছেঁড়া ডায়েরি পায়। রাহুল আর কখনো দেখা যায়নি।
---
চাইলে গল্পটা চালিয়ে যেতে পারি, অথবা নতুন কোনো ধাঁচে আরও ভুতের গল্পও লিখে দিতে পারি। কী বলো?
Shakil Khan
Ta bort kommentar
Är du säker på att du vill ta bort den här kommentaren?