ছেলেটি বলল, ‘আজ ঈদের দিন। মানুষের মনে কত আনন্দ। সবাই নতুন জামা কাপড় পড়েছে। মা-বাবা আদর করছেন সন্তানদের। কিন্তু আমাকে আদর করার কেউ নেই। আমার একটু খোঁজ নেয়ারও কেউ নেই দুনিয়ায়। আমার বাপ নেই, মা নেই। আমি যে ইয়াতিম।
কিশোরের কথা শুনে নবীর চোখে পানি চলে এলো। আহা! এই ছেলেটির মত আরো না জানি কত মায়ের সন্তান ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত। যদি তাঁদের খবর পেতাম! যদি তাঁদের মুখেও ফোটাতে পারতাম হাসি!
তিনি কিশোরকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন। মা আয়েশার (রাঃ) হাতে ছেলেটিকে তুলে দিয়ে বললেন, ‘এ এক শহীদের সন্তান। ওর মা-বাপ কেউ নেই। আজ থেকে তুমিই ওর মা।’
মা আয়েশা (রাঃ) ছিলেন নবীর সহধর্মিনি। তিনি ছেলেটিকে বুকে টেনে নিলেন। নিজ হাতে গোসল করালেন। নতুন জামা এনে পরতে দিলেন। ভালবাসা পেয়ে কিশোরের মনটা ভালো হয়ে গেল। তাঁর মুখে ফুটে উঠলো মধুর হাসি। সে ভুলে গেল তাঁর দুঃখের কথা। ভুলে গেল সে এক অনাথ শিশু।
Suraiya Soha
댓글 삭제
이 댓글을 삭제하시겠습니까?