২০২৪-২৫ মৌসুমটি চেলসি ফুটবল ক্লাব এবং আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজের জন্য ছিল উত্তরণ ও পুনর্জাগরণের সময়। কঠিন সময় পেরিয়ে নতুন কোচ ও নতুন কৌশলের মাধ্যমে চেলসি দলে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে এনেছে, আর সেই অভিযাত্রার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন এনজো ফার্নান্দেজ।
---
চেলসির মৌসুম: পুনরুত্থানের গল্প
দুই বছর ব্যর্থতার পর এই মৌসুমে চেলসি অবশেষে প্রিমিয়ার লিগে তাদের পরিচিত জায়গায় ফিরে এসেছে। দলটি ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগের চতুর্থ স্থান অর্জন করে এবং পরবর্তী মৌসুমে UEFA চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা নিশ্চিত করে। নতুন কোচ এনজো মারেস্কার অধীনে দলটি আক্রমণাত্মক ও দ্রুতগতির ফুটবলে অভ্যস্ত হয়।
FA কাপ ও EFL কাপ থেকে দ্রুত বিদায় নেওয়ার পর দলটি UEFA কনফারেন্স লিগে ভালো পারফর্ম করে ফাইনালে ওঠে, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ রিয়াল বেটিস। এই সাফল্য প্রমাণ করে যে, তরুণদের নিয়ে গড়া দলটি ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত।
---
এনজো ফার্নান্দেজ: মিডফিল্ডের মস্তিষ্ক
চেলসির ঘুরে দাঁড়ানোর অন্যতম প্রধান কারিগর ছিলেন এনজো ফার্নান্দেজ। আর্জেন্টাইন এই মিডফিল্ডার তার দ্বিতীয় পূর্ণ মৌসুমেই দলের প্রাণভোমরা হয়ে উঠেছেন। ৩৫টি লিগ ম্যাচে তিনি ৬টি গোল ও ৭টি অ্যাসিস্ট করেছেন। কিন্তু শুধু পরিসংখ্যানেই নয়, এনজো গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন মাঠে দলের ছন্দ ধরে রাখার ক্ষেত্রে।
তাঁর পাসিং একুরেসি, ট্যাকল, বল পুনরুদ্ধার এবং খেলার গতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা তাকে চেলসির অপরিহার্য খেলোয়াড়ে পরিণত করেছে। পুরো মৌসুমে তিনি ৩৩৫টি বল পুনরুদ্ধার এবং ২০০-র বেশি সফল ট্যাকল করেছেন। পাশাপাশি প্রায় ৮৫% পাসিং সঠিকতা রেখে তিনি প্রতিপক্ষের প্রেস ভেঙে আক্রমণ গড়ে তুলেছেন।
---
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও স্থায়ীত্ব
চেলসির জন্য এনজো শুধু বর্তমান নন, ভবিষ্যতও। ক্লাবটি তাকে একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছে। রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্লাব তাকে কিনতে আগ্রহ দেখালেও চেলসি কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, এনজো "অস্পৃশ্য"।
কোচ মারেস্কা তাকে দলে সহ-অধিনায়ক হিসেবে তৈরি করছেন এবং বলা যায়, নতুন চেলসির নেতৃত্বে তিনিই হবেন মধ্যমণি।

sreejoy Sarker
Ta bort kommentar
Är du säker på att du vill ta bort den här kommentaren?