☺️
ꯡꯁꯡツতুইツꯡꯁꯡ
ꕹꕥꔹ🙂༆ব্রান্ডের মাল༆🙂ꔹꕥꕹ
ツআরツ
ꯁꯁ😉༆আমি নিজেই ব্রান্ড༆😉ꯁꯁ

তোমার স্বপ্নগুলো যদি তোমাকে ভয় না দেখায়, তবে সেটা যথেষ্ট বড় স্বপ্ন নয়! ভয় পেও না—চেষ্টা করতে থাকো, একদিন তুমি নিজেই নিজের অনুপ্রেরণা হবে।

4 sa ·Isalin

​সৌরভ আর রূপার গল্পটা শুরু হয়েছিল একদম সাধারণভাবেই। একই কলেজে পড়ত ওরা, কিন্তু প্রথমদিকে তাদের মধ্যে তেমন কোনো যোগাযোগ ছিল না। সৌরভ ছিল একটু লাজুক আর রূপা ছিল ভীষণ চঞ্চল। ক্লাসের ফাঁকে রূপা যখন বন্ধুদের সঙ্গে হাসাহাসি করত, সৌরভ দূর থেকে ওকে দেখত। রূপার হাসিতে এমন একটা কিছু ছিল যা সৌরভের মনকে ছুঁয়ে যেত।
​একদিন কলেজ ক্যাম্পাসে একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছিল। সৌরভ সেদিন নিজের লেখা একটা কবিতা আবৃত্তি করে। রূপা সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল। আবৃত্তি শেষে রূপা নিজেই এগিয়ে এসে সৌরভকে অভিনন্দন জানায়।
​রূপা: "তোমার কবিতাটা অসাধারণ ছিল। আমি তো মুগ্ধ হয়ে গেছি।"
​সৌরভ: "ধন্যবাদ। আসলে আমি ভাবিনি যে... তুমি শুনবে।"
​রূপা: "কেন শুনব না? ভালো জিনিস সবাই শুনতে চায়।"
​সেইদিন থেকে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব শুরু হয়। ক্লাসের ফাঁকে গল্প করা, টিফিনের সময় একসঙ্গে ক্যান্টিনে যাওয়া, লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করা—এভাবেই তাদের দিন কাটতে থাকে। সৌরভ দেখতে পায় রূপার চঞ্চলতার আড়ালে একটা সংবেদনশীল মন আছে, আর রূপা বুঝতে পারে সৌরভের লাজুকতার নিচে লুকিয়ে আছে গভীর আবেগ।
​তাদের বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে ভালোবাসায় রূপ নেয়। কলেজ শেষ হওয়ার পর তাদের সম্পর্কের আসল পরীক্ষা শুরু হয়। সৌরভ একটা চাকরির খোঁজে অন্য শহরে চলে যায়। রূপা তখনও নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়, কিন্তু তাদের ভালোবাসা আরও দৃঢ় হয়। প্রতিদিন রাতে ভিডিও কলে কথা বলা, একে অপরের খোঁজ নেওয়া—এভাবেই তারা একে অপরের পাশে থাকত।
​কিন্তু হঠাৎ রূপার পরিবার তার বিয়ে ঠিক করে ফেলে। ছেলেটি প্রতিষ্ঠিত, বিত্তবান। রূপা এই খবরটা সৌরভকে জানাতে ভয় পাচ্ছিল। অবশেষে যখন সে সৌরভকে জানায়, সৌরভের পৃথিবীটা যেন ভেঙে পড়ে। সে রূপাকে বোঝানোর চেষ্টা করে, কিন্তু রূপা পরিবারের চাপের কাছে অসহায় ছিল।
​রূপা: "আমি জানি, আমাদের দুজনের স্বপ্ন ছিল একসাথে থাকার। কিন্তু আমার বাবার সম্মান... আমার পক্ষে এই বিয়েটা না করা সম্ভব নয়।"
​সৌরভ: "তাহলে কি সব শেষ হয়ে যাবে? আমাদের এতদিনের ভালোবাসা, স্বপ্ন... সব মিথ্যে হয়ে যাবে?"
​রূপা কাঁদতে কাঁদতে ফোন রেখে দেয়। সৌরভের মন ভেঙে যায়, কিন্তু সে হাল ছাড়ে না। সে ঠিক করে, রূপাকে সে কিছুতেই হারাতে দেবে না। পরের দিনই সে নিজের চাকরি ছেড়ে দিয়ে রূপার শহরে ফিরে আসে।
​রূপার বাড়ির সামনে এসে সৌরভ রূপাকে ফোন করে।
​সৌরভ: "আমি তোমার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছি। তুমি যদি সত্যিই আমাকে ভালোবাসো, তাহলে একবারের জন্য বেরিয়ে এসো।"
​রূপা দ্বিধায় পড়ে যায়। সে এক মুহূর্তের জন্য ভাবে, কী করবে? তারপর তার মনে পড়ে সৌরভের বলা প্রতিটি কথা, তাদের একসাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত। সে তার মনের কথা শোনে, ভালোবাসাকে বেছে নেয়।
​রূপা দৌড়ে বেরিয়ে আসে। তাদের দুজনকে দেখে রূপার পরিবার অবাক হয়ে যায়। অনেক বোঝানো এবং অনেক কষ্টের পর রূপার বাবা তাদের ভালোবাসাকে মেনে নিতে বাধ্য হন।
​আজও সৌরভ আর রূপা তাদের পুরনো গল্পটা মনে করে হাসে। তাদের ভালোবাসা প্রমাণ করেছে যে সত্যিকারের ভালোবাসার সামনে কোনো বাধাই বড় নয়। তাদের গল্পটা কেবল দুটি মানুষের গল্প নয়, বরং ভালোবাসা এবং বিশ্বাসের জয়।

নিজের খরচ নিজেই চালাতে পারবেন, এমন ভালো একটা জব আছে, ঘরে বসে করতে পারবেন।
প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ইনকাম
যোগ্যতা: বাংলা পড়তে পারলে হবে।

জীবনে কোনো কিছুর জন্য অপেক্ষা করো না, নিজেই সেই সুযোগ তৈরি করে নাও। যারা তোমায় ছোট করে দেখে, একদিন তাদের চোখে বড় হয়ে উঠো। নিজেকে প্রমাণ করতে হলে কাজ করো চুপচাপ। 💪
#motivation #workhard #provethemwrong

4 sa ·Isalin

এক বনে একটা শেয়াল বাস করত। সে নিজেকে বনের অন্য পশুপাখির চেয়ে বেশি চালাক মনে করত। এই চালাক শেয়ালের প্রতিবেশী একটা বক। শেয়াল বককে ঠকিয়ে একটু মজা করতে চেয়েছিল।

তাই সে একদিন বককে নিমন্ত্রণ করেছিল। বক শেয়ালের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে এল। শেয়াল চালাকি করে একটা থালায় কিছু পাতলা ঝোল পরিবেশন করল।

বক তার লম্বা ঠোঁট দিয়ে থালা থেকে এক ফোঁটা ঝোলও খেতে পারল না। একদিকে শেয়াল নিজেই থালার সবটুকু ঝোল চেটেপুটে খেয়ে নিল। বককে ঠকাতে পেরে শেয়াল মনে মনে খুব খুশি হয়েছিল।

কিন্তু সে মুখে বলল, “আমি খুব দুঃখিত যে ঝোলটা আপনার পছন্দ হয়নি, তাই একটুও খাননি।” বক বলল, “আমি বেশ খেয়েছি!“” তারপর সে শেয়ালকে বলল, “কাল আপনি আমার বাড়িতে খাবেন।”

পরদিন এই চালাক শেয়াল সেজেগুজে বকের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে গেল । বক জানত, শেয়াল কাঁকড়া খেতে খুব ভালোবাসে। বক তাই কাকড়ার ঝোল রান্না করেছিল।

কিন্তু সে থালায় পরিবেশন না করে ভারী কুঁজোর মধ্যে ঝোল পরিবেশন করেছিল। কুজোর সরু গলায় শেয়াল মুখ ঢুকাতে পারল না ।

কাকড়ার ঝোলের সুগন্ধে তার খিদে আরও বেড়ে গিয়েছিল। তাই সে খিদের জ্বালায় কেবল কুঁজোর গা চাটতে লাগল। এদিকে বক তার লম্বা গলা কুঁজোর মধ্যে ঢুকিয়ে সহজেই সবটুকু ঝোল খেয়ে নিল।

শেয়ালের অবস্থা দেখে বক জিজ্ঞাসা করল, “কেমন হয়েছে ঝোলটা?” শেয়াল আর কী বলে? সে জিভ চাটতে চাটতে বলল, “তা মন্দ কী!”

বাড়ি ফিরবার সময় শেয়াল আপন মনে বলল- বক আজ আমায় উচিত শিক্ষা দিয়েছে।