11 که در ·ترجمه کردن

পিরিয়ড চলছে। সারা দিনটায় অসহ্য পেটে ব্যথা নিয়ে সংসারের সব কাজ একা হাতে সামলে নিলাম। সন্ধ্যায় শরীরের সাথে না পেরে বিছানায় সুয়ে ছটফট করছিলাম আমি। বেখেয়ালিতে কখন জানি ঘুমিয়ে পড়লাম। হঠাৎ স্বামীর ধমক। আমি সারাদিন সুয়েই থাকি,কাজ-কাম নাই। আহা! জীবন সুন্দর।

বউয়ের ব্যক্তিগত ডায়েরিতে গোটাগোটা অক্ষরের লেখাটি চোখে পড়তেই হতবাক তানজিল। মেয়েটার পিরিয়ড চলছে আর সেই খেয়াল আজ তার ছিলোই না। উল্টো তানজিল বাহিরের সব রাগ তার উপর ঝেড়েছে। এইতো কিছুক্ষণ আগে অফিস থেকে এসেছিলো তানজিল। সারাদিন প্রচন্ড দকল গিয়েছে শরীরে। এসেই দেখছে বাচ্চা মেয়েটা তার কাঁদছে আর বউ তার অসময়ে আরামসে ঘুমোচ্ছে। তাইতো রেগে গিয়ে ধ'ম'ক দিয়েছিলো, কথা শুনিয়েছে। শায়লা ছিলো নির্বাক। নিজের করা কাপুরুষিকতা আচরণের জন্য ভিতরে অনুশোচনা হলো পুরুষটির।
শায়লা স্বামীর সাথে অভিমান করে ব্যথার ঔষধ না খেয়েই বিছনায় ঘাপটি মে*রে সুয়ে আছে। নিজের কাজের জন্য লজ্জিত তানজিল, লজ্জায় আর কথা বলতে পারলো না শায়লার সাথে। পাশের রুম থেকে এসে চুপচাপ বিছানার একপাশে সুয়ে পড়লো সে। শায়লা এরিমধ্যে একবার মুখ ভার করে নিঃশব্দে ওয়াশরুমে গেলো। তানজিল তড়িঘড়ি করে উঠে গ্লাসের পানির মধ্যে একটা ঘুমের ঔষধ + ব্যথার ঔষধ গুলিয়ে আবারো ঘুমের ভান করে সুয়ে পড়লো। সে জানে শায়লা এসে পানি খাবে। হলোও তাই। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়লো শায়লা। তানজিল ঘুমন্ত বউয়ের কপালে চুমু খেয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো। কিয়াৎ ক্ষণ পরে বউকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।

ভোর ৫ টার এলার্মের শব্দে ঘুম ভাঙে তানজিলের। শায়লা এখনো ঘুমাচ্ছে। তানজিল ডাকলো না। ফ্রেশ হয়ে বাসার সব কাজ সামলে রান্না করে নিলো তিনি। বউয়ের কষ্ট হবে ভেবে গতকালের রাখা সবার জামা-কাপড় ধুয়ে, ঘরটাও মুছে নিলো নিজ হাতে। সব গুছিয়ে আলমারি খুলে দেখলো, বউয়ের প্যাড শেষ। দ্রুত ফার্মেসী থেকে প্যাড ও কিছু ব্যথার ঔষধ এনে ড্রেসিং টেবিলের উপর রেখে দিলো তানজিল।
অতঃপর মেয়েকে উঠিয়ে বাপ-মেয়ে এক সাথে খেয়ে বেরিয়ে পড়লো। মেয়েকে স্কুলে দিয়ে তবেই অফিসে যাবে বাবা।

সকাল দশটায় ঘড়ির টুংটাং শব্দে ঘুম ভাঙে শায়লার। ঘুম ভাঙতেই লাফিয়ে উঠলো সে। এতো বেলা হয়ে গেলো, কতো কাজ বাকি তার। রুম থেকে বের হতেই অবাক হয়ে যায় শায়লা। সবকিছু পরিপাটি, এমনকি দুপুরের রান্নাটাও কমপ্লিট। যা দেখে শুষ্ক ওষ্ঠে হাসির রেখা ফুটে উঠে তার। সে জানে এসব তার পাগলা বর'টা'র কাজ। বুক ভরে শ্বাস ছেড়ে ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে আসে শায়লা। নাস্তাটাও তার রেডি করে টেবিলে ঢেকে রেখেছে তানজিল। তারই উপরে ছোট্ট একটি চিরকুটে লেখা,

"স্যরি বউ! গতকাল একটু মাথাটা গরম ছিলো, তুমি প্লিজ রাগ করো না! তোমারই তো বর, এইবারের মতো ক্ষমা করে দেও জান! আর অভিমান করে থেকো না, বউ! নাস্তাটা খেয়ে ব্যথার ঔষধ খেয়ে নিও।"

ছোট্ট এই চিরকুটিতে যেন অনেক কিছু ছিলো। যা দেখে ততক্ষণাৎ মন ভালো হয়ে গেলো শায়লার। লোকটার উপর এতক্ষণের সব অভিমান, অভিযোগ মিলিয়ে গেলো তার। বার কয়েক লেখাটা পড়ে মুচকি হেসে শুধালো, "পা'গ'ল একটা!"

শায়লা নাস্তা করে আবারো একটু সুয়েছে। তান্মধ্যে, কখন জানি প্যাড বেধ করে বিছানার চাদরে ছো'প ছো*প র'ক্ত লেগেছে খেয়ালই করেনি সে। হঠাৎ করেই হুঁশ আসতেই তড়িঘড়ি করে উঠে পড়ে শায়লা। ঘড়ির কাঁটায় বারোটা ছুঁই ছুঁই। এক্ষুণি স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে যেতে হবে তার। বেখেয়ালিতে র"ক্ত মাখা শাড়ীতেই বেরিয়ে পড়লো সে। হঠাৎ করেই গলির মোড়ে কিছু ছেলে তাকে দেখে হাসছে। একজন আরেক-জনকে দেখিয়ে ঠা*ট্টা করে বলছে,

" দেখ, দেখ মামা! লাল সী'ল ওয়ালী যাচ্ছে। উফফ পিছনটা কি জোস লাগছে না!"

ছেলেদের বি*শ্রী মার্কা কথা কানে আসতেই থেমে গেলো শায়লার চলন্ত পা। নিজের অবস্থান সতর্ক করতেই লজ্জায় পড়ে গেলো মেয়েটা। আঁচল দিয়ে পিছনের র'ক্তে'র দাগটা আড়াল করতে ব্যস্ত হয়ে গেলো সে। নিজেকে কিঞ্চিৎ পরিপাটি করে, ছেলে গুলোকে আগাগোড়া একবার পরখ করে নিলো সে। হঠাৎ করেই ঠা*স ঠা*স শব্দ হলো। মেয়েকে নিতে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে তানজিল ও এসেছিলো এখানে। ছেলে গুলোর জ'ঘ'ন্য কথা গুলো তার কান এড়ালো না।মুহুর্তেই তে'ড়ে গিয়ে সশব্দে চড় বসিয়ে দিলো এদের। ততক্ষণাৎ নিজের গায়ের শার্ট বউয়ের কোমড়ে বেঁধে দিলো তানজিল। মিনিট সময়ের মধ্যে নোংরা বাক্য বলা ছেলেটার শার্টের কলার ধরে তানজিল বললো,

"পিরিয়ড একটি পবিত্র জিনিস।এটা নিয়ে তোমারা মজা করছো বে'য়া'দ'বের দল। এই যে লাল সী'ল বলছো, এটা তোমাদের মা-বোনেরও হয়।
এই প্রক্রিয়া জীবনের এক অংশ, যা মেয়েদের মাতৃত্বের স্বাদ দেয়। মেয়েদের পিরিয়ড চক্র নিয়ে যারা মজা করে আসলে ওরা নির্বোধ।
তোমরা এই সাধারণ জিনিসটাই জানোনা যে, তোমরা যে মায়ের গর্ভে জন্মিয়েছো সেই মায়ের পিরিয়ড না হলে তোমাদের জন্মই হতো না। যাদের জন্ম এই রক্তের উৎসে, আর তারাই নাকি এই জিনিস নিয়ে মজা করে। ছি! তোমারা পারলে একটা মেয়ে'কে সাহায্য করো, নয়তো এড়িয়ে যাও। তবুও নেক্সট টাইম কোনো মা-বোনকে বি'প'র্য'স্ত অবস্থায় দেখে বি'শ্রী ইঙ্গিত দিও না।"

মুখের বাক্য শেষ করে ধা'ক্কা দিয়ে ছেলেটাকে ছেড়ে শায়লার কাছে আসে তানজিল। ছেলে গুলো মাথা নিচু করে চলে গেলো। তানজিল সেদিকে একপলক তাকিয়ে, বউকে আলতো হাতে জড়িয়ে ব্যস্ত কণ্ঠে বললো,

"তুমি ঠিক আছো শায়লা?"

হ্যাঁ,আমি ঠিক আছি। স্যরি তানজিল! আমি আসার সময় খেয়াল করিনি।"

"ইট’স ওকে। কিন্তু, তুমি আসতে গেলে কেনো আজ? আমি তো তোমাকে টেক্সট করে জানিয়ে দিলাম, মেয়ে'কে আমি নিয়ে আসবো।"

"কি বলেছিলে? আমি তো দেখিনি।"

তানজিল কিছু না বলে, মুচকি হেসে শায়লার হাত ধরলো। মেয়ে'কে নিয়ে দ্রুত বাসায় চলে আসলো ওরা। আসার সময় মা-মেয়ের পছন্দের বিরিয়ানি এনেছে তানজিল।

36 متر ·ترجمه کردن

আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

image
40 متر ·ترجمه کردن

যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

41 متر ·ترجمه کردن

যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

41 متر ·ترجمه کردن










দি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

1 ساعت ·ترجمه کردن

World cup 🍵











ভিডিওটি যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

image