গল্প: পর্দাশীল মেয়ের প্রেমে
লেখক : বোকা রাজপুএ
পার্ট: 05
আগের কলেজে থেকে সব পেপার তুলে আনলাম ফেন্ডদের কাছ থেকে আসতে একটু কষ্ট হচ্ছিলো তারাও ছাড়তে চাইছিলো না।
রাহাত : কিরে এতোই বেইমান হয়ে গেলি একটা মেয়ের জন্য আমাদের এতোদিনের বন্ধুত্ব ভুলে অন্য কলেজে চলে যাচ্ছিস।
মিম: প্লিজ যাস না কাব্য🥺। আর তর সাথে মারপিট করবো না প্লিজ আমাদের বন্ধুত্ব ছেড়ে যাস না। 🙏।
নীল : বন্ধু আমাদের ভুলে থাকতে পারবি 🥺।
আমি : থাকতে হবে রে। আমাকে এখন আরো বেশি শক্ত হতে হবে। এই কলেজে থাকলে ওরে দেখলে আমি ঠিক থাকতে পারবো নারে।
আর মিম প্লিজ রাহাত কে কষ্ট দিস না। ও অনেক ভালো ছেলে তকে অনেক সুখে রাখবে। আর শুন আমি তদের সবার সাথে যোগাযোগ রাখবো মন খারাপ করিস না কেমন।
সবাই : আচ্ছা।
সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম।
রাতে,,
আম্মু : কিরে আগের কলেজ থেকে হুদাই কি কারনে যেনো টিসি নিয়ে চলে আসলি কোন কলেজে ভর্তি হবি এবার ভাবছিস।
কাব্য: হ্যা( *** এই কলেজে ভর্তি হবো। বিমান বাহিনী দ্বারা পরিচালিত। মেবি পড়ালেখার মান টা ভালো। ( আসল লক্ষ বাড়ি ছাড়া দূরে থাকলে নিধির কষ্ট ভুলে থাকতে পারবো {মনে মনে )
আম্মু : তুই যেটা ভালো মনে করিস। আর একটা কথা এখন কেমন যেনো কথা কম বলস কিছূ কি হইছে।
কাব্য: আমার আর কি হবে কিছুই হয়নি। আচ্ছা বাদ দেও কালকে তাড়াতাড়ি উঠতে হবে। গুমুতে গেলাম। বাই গুড নাইট।
আম্মু ; গুড নাইট।
রুমে এসে শুয়ে পড়লাম চোখ দিয়ে পানি পড়তেছে। কাদতে কাদতে ঘুমিয়ে গেছি কখন জানিনা।
সকালে,,
আম্মু: কাব্য উঠ বাবা তাড়াতাড়ি। ৯ টা বাজে।
কাব্য: হুম আম্মু যাও নাস্তা রেডি করো ফ্রেস হয়ে আসছি।
ফ্রেস হয়ে নিচে গিয়ে খাবার খেয়ে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নিয়ে কলেজ গেলাম। কলেজে গিয়ে ওমা গেটের সামনে দাড়োয়ান কাকা দাড়িয়ে।
দাড়োয়ান : কোথায় যাচ্ছ। তুমি তো এই কলেজের না।
কাব্য: আসলে আংকেল। এই স্যারের কাছে যাচ্ছি আজকে ভর্তি হতে আসছি।
দাড়োয়ান : তোমার স্যাররে কল দেও।
মেজাজ টা হাই লেভেলের গরম হয়ে গেল।
কাব্য: (নরম সুরে ) আংকেল এই কাগজপত্র নিয়ে ভর্তি হতে আসছি কোনো ক্রাইম করতে না। আপনি কি ভালোই ভালো যাইতে দিবেন নাকি চলে যাবো।
দাড়োয়ান : আরে বাবা রাগ করছ কেনো যাও ভর্তি হতে যাও।
কাব্য: বাবাহ নিধি তুই মহান আমারে কষ্ট দিয়ে এতোই কঠোর বানাইছোস যে বোদাই পোলাও এখন রাগী পোলা হয়ে গেছে ( মনে মনে )
তো কলেজে গেলাম স্যারের রুমে।
কাব্য: মে আই কাম ইন স্যার।
স্যার : ইয়েস কাম ইন। তুমিই কাব্য তাই না।
কাব্য: জ্বি স্যার। ( আসলে স্যারের সাথে ফোনেই আমার সকল কথা হয়েছে )
কলেজে ভর্তি হয়ে পাশেই একটা ম্যাস ঠিক করলাম। বাসায় এসে আম্মু ক ই গেলা। খাবার দেও।
আম্মু : ভর্তি হ ইছিহ। যা ফ্রেস হয়ে আয় খাবার দিচ্ছি।
কাব্য: আচ্ছা। ফ্রেস হয়ে এসে খাবার টেবিলে বসলাম।
কাব্য: আম্মু সব কিছু রেডি রাখো কাল ম্যাস এ চলে যাবো।
আম্মু : মানে এসব কি বলছিস তরে ছাড়া কোনো দিন থাকছি 🥺। বাইক কিনে দেই সেটা দিয়ে যা। তবু একা করে যাস না প্লিজ।
কাব্য: আম্মু তুমি কি চাও না আমি ভালো রেজাল্ট করি। যদি চাও তাহলে রাজি হও।
আম্মু: আচ্ছা যা। যখন যেতে চাস তাহলে কোনো মানা করবো না।
কাব্য: এইতো আমার লক্ষী আম্মু।
আম্মু : হ ইছে ডং না করে খাবার শেষ কর আমি সব কিছু রেডি করে দিচ্ছি।
কাব্য: ওকে। খাবার শেষ করে রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লাম।
সকালে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ম্যাস এ আসলাম। (আসলে কোনদিন একা থাকিনি তো তাই কষ্ট হচ্ছি তাদের ছেড়ে চলে আসতে )
পরেরদিন কলেজে গেলাম।
ক্লাস করতেছি সব স্যার ম্যাম নাম জিগ্যেস করল কোন কলেজে আগে থাকতাম এখনো কেনো আসলাম। এন্ড সব ছাএ বলতেছে সবাই টিসি নিতে চায় তুমি আসলা কেন।
কাব্য: কাব্য রিক্স নিতে পছন্দ করে। ( আসলে আমি মুখ ফুটে বলতে পারতেছিনা যে মাংকার চিপায় পড়ে গেছি ব ই প্রায় শেষের দিকে পড়ানো শেষ কলেজে আসতে না আসতেই সি টি এক্সাম )
তো ২ দিন বাদে বাদে পরীক্ষা আর নিয়মিত ক্লাস এই নিয়েই জীবন চলতেছে।
রনি : কাব্য তুই রিলেশন করিস না।
কাব্য : আই হেট র্গাল চিৎকার করে। (আশে পাশের সব স্টুডেন চেয়ে আছে রাগ ওঠে গেছে রিলেশন নাম শুনে 🤬)
রনি : সরি ভাই রাগ করিস না বুঝতে পারিনি তুই মেয়ে মানুষ দেখতে পারোস না।
কাব্য ; আমার সামনে ভুলেও কোনো মেয়ের নাম নিবি না।
রনি: ওকে।
কলেজে আসার পর কয়েকটা মেয়ে আসে পাশে আমার দিকে চেয়ে থাকে একজন আরেকজনরে আমাকে দেখিয়ে বলে দেখ তর দুলাভাই। এমন করে ঝগড়া করে। যখন আমার রাগি চোখ দেখে তো সরে যায়। আসলে আমি ঘৃণা করি মেয়েদের। এভাবেই ক্লাস আর ম্যাসে থেকেই দিন কাটছিল। আব্বু আম্মু সাথে কথা হয়। এখন ক্লাসে সব পড়া ধরতে পেড়েছি পিছিয়ে যাওয়া।
এককথায় স্যার দের পছন্দের ছাএ আমি সেই প্রথম দিন দেখে। একটি ম্যাম আছে সবাই ভয় পায় সবাইকে বকা অপমান দিয়ে শেষ করে ফেলে আর আমার প্রিয় ম্যাম টা আমাকে সব সময় বাবা বলে ডাকতো। তো.....
৯ মাস পরে...
আর ২ মাসের মতো আছে পরে ফাইনাল পরীক্ষা। সবসময় পড়া নিয়ে ব্যাস্ত তবে ইদানিং লক্ষ করছি কলেজে একটি পর্দাশীল মেয়ে সবসময় আমার দিকে তাকিয়ে থাকে বুঝিনা কেনো তবে তার কাজল কালো আখীঁ দোটো মাশাল্লাহ্। ওই ডাগর ডাগর চোখের দিকে তাকাতে যে কেউ মায়ায় পড়তে ব্যাস্ত । রাস্তা দিয়ে গেলেও তার বান্ধবীদের মাঝখানে থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখে। এসবে পাত্তা দেইনা।