Md Jony  
11 w ·Translate

---

গল্প: ধূপ-ছায়ার মেলবন্ধন

নতুন সকালে গ্রামের মাটি থেকে উঠে আসা সূর্যের আলো খোলা আকাশে ঝলমল করতে লাগল। গ্রামটা যেন সারা রাতের অন্ধকার কেটে নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। চন্দন মিয়া তার ছোট্ট ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকল, সামনে ছড়িয়ে থাকা সবুজ ধানক্ষেত আর দূরে গগনচুম্বী আকাশের নিচে গড়ানো পাহাড়ের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে।

চন্দন মিয়া ছোটবেলা থেকেই গ্রাম্য জীবনের মাধুর্য ভালোবাসত। ধানক্ষেতের মাঝে পা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে তার মনে হতো, পৃথিবীর সব সুখ যেন তার নিজের। তার বাবার সারা দিনের পরিশ্রম আর মায়ের স্নেহময় নজরদারি চন্দনের জীবনকে মসৃণ করে তুলত।

গ্রামের স্কুলে পড়ার সুবাদে চন্দন শহরের জীবন সম্পর্কে কিছুটা জানত, কিন্তু তার হৃদয় সবসময়ই গ্রামীণ শান্তির পক্ষে দোলাচলে। সে স্বপ্ন দেখত একটা জীবন যেখানে থাকবে শান্তি, ভালোবাসা আর পরিবারের সান্নিধ্য।

একদিন দুপুরের খাবারের সময়, গ্রামের পুরনো রাস্তার পাশে বসে চন্দন ও তার ছোট বোন লীলা গল্প করছিল। লীলা বলল, “দাদা, শহরে যে স্কুলগুলো আছে, সেখানে কী অনেক ভালো বই থাকে? ওরা কি শহরের বাইরে গ্রামের ছেলেমেয়েদের মতো মাঠে দৌড়াতে পারে?”

চন্দন হেসে বলল, “শহর আর গ্রাম দুই ভিন্ন জগত, লীলা। কিন্তু আমার বিশ্বাস, ভালো বই আর প্রকৃতির মাঝে মিশে গেলে জীবনের আসল শিক্ষা মেলে।”

কিন্তু দিনের শেষে, চন্দন জানতে পারল, গ্রামের পাশের নদী ধরে একটা নতুন শিল্প কারখানা হচ্ছে। গ্রামবাসীরা এতে ভালো চাকরি পাবে বলে উচ্ছ্বসিত, কিন্তু চন্দনের মনে একটা সন্দেহ কাজ করল — এই পরিবর্তন কি প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ? তার চেনা নদী, পাখি আর সেই শান্তিপূর্ণ বায়ু কি ক্ষতিগ্রস্ত হবে?

পরের দিন সকালে, চন্দন গ্রামের কিছু বড়দের সঙ্গে বসে এই বিষয়ে আলোচনা করল। অনেকেই বলল, “আমাদের জন্য ভালো সুযোগ। এখন আর শুধু কৃষিকাজ নয়, নতুন কাজের দরজা খুলবে।”

কিন্তু চন্দন জানত, প্রকৃতির যত্ন না নিলে আগামী দিনে গ্রামের মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সে সিদ্ধান্ত নিল গ্রামের তরুণদের সঙ্গে মিলে একটা পরিবেশ সচেতন কমিটি গঠন করবে, যারা নতুন পরিবর্তনের সঙ্গে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করবে।

দিনগুলি কেটেছিল চিন্তা আর কাজের মাঝে। চন্দন আর তার বন্ধুরা নদীর পাড়ে বৃক্ষরোপণ করত, ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করত আর নতুন কারখানার কাজের পরিবেশ দূষণ কমানোর উপায় নিয়ে শহরের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করত।

একদিন সন্ধ্যায়, গ্রামের মাঠে এক ছোট আয়োজনে চন্দন বলল, “আমাদের গ্রাম শুধু সমৃদ্ধিই নয়, প্রকৃতির সঙ্গে মেলবন্ধন বজায় রাখাও আবশ্যক। কারণ প্রকৃতি আমাদের মা, আর আমরা তার সন্তান।”

সবাই তার কথায় অভিভূত হয়ে গিয়েছিল। ছোট থেকে বড়, সবাই একসাথে কাজ করতে শুরু করল।

বছর কয়েকের মধ্যে গ্রামটি বদলে গেল—নতুন রাস্তা, শিল্প কারখানা, আর সঙ্গে alongside পরিপাটি সবুজ পার্ক। প্রকৃতি আর আধুনিকতার এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটে গেল এই ছোট গ্রামে।

চন্দন বুঝতে পারল, জীবন মানে শুধু আধুনিকতা নয়, সংস্কৃতি ও প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসাও। সেই ভালোবাসাই তৈরি করে জীবনের সত্যিকারের মূল্য।


---

শেষ।

AFace1 লাইক, কমেন্ট, পোস্ট করে ইনকাম করুন। এই ভিডিওটি যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

3 hrs ·Translate

পরিশেষে বলা যায়, লজ্জাপতি গাছ একটি সহজলভ্য অথচ অত্যন্ত কার্যকর ঔষধি উদ্ভিদ। তবে যেকোনো প্রাকৃতিক ঔষধ ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উত্তম, বিশেষ করে যদি আপনি আগে থেকে কোনো ওষুধ সেবন করেন বা স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে।

3 hrs ·Translate

ত্বকের নানা রোগ যেমন একজিমা, চুলকানি বা ফোঁড়ার ক্ষেত্রেও এটি দারুণ কার্যকর। পাতার পেস্ট করে আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করলে আরাম মেলে এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কমে যায়।

3 hrs ·Translate

এই গাছ ঘুমের সমস্যা ও মানসিক অস্থিরতা কমাতেও সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, লজ্জাপতিতে সেরোটোনিন নামক উপাদান থাকে, যা মস্তিষ্কে প্রশান্তি এনে ঘুমের উন্নতি ঘটায়।

3 hrs ·Translate

হেমোরয়েড বা অর্শ রোগেও লজ্জাপতির ব্যবহার রয়েছে। এর শুকনো পাতা গুঁড়ো করে দিনে দু’বার খেলে রক্ত পড়া কমে এবং ব্যথা উপশম হয়। একইসাথে, পাইলসের জন্য বাহ্যিক প্রয়োগেও পাতার পেস্ট ব্যবহার করা হয়।