---
গল্প: তোমার আলো
সকালবেলা গ্রামের নদীর ধারে ফোটা কুসুমের মতো হাসছিল আকাশ। মিষ্টি কুয়াশার মাঝে পাখির কলতান আর মাটির গন্ধ একসাথে মিশে ছিল যেন স্বপ্নের মত। সেই ছোট্ট গ্রামেই বড় হয়েছিল রিয়া।
রিয়া ছিল গ্রামের স্কুলে পড়ুয়া মেয়েটি, যার চোখে সবার প্রতি এক অদ্ভুত ভালোবাসার জ্বালা ছিল। সে শখ করে পড়াশোনা করত, আর গাছে পাখির বাসা গড়া, ফুলের যত্ন নেওয়া ছিল তার প্রিয় কাজ।
গ্রামের অন্য প্রান্তে ছিল সুমন। সে ছিল ধীরস্থির, কিন্তু মনের কথা বলতে যেতেই চোখে স্বপ্ন জ্বলে ওঠে। সুমনের বাবা কৃষক ছিলেন, আর সে ছোট থেকেই মাটির সাথে মিশে থাকত।
রিয়া ও সুমনের পরিচয় হয়েছিল স্কুলে। প্রথমে তাদের কথা হতো পড়াশোনার, তারপর ধীরে ধীরে মিষ্টি মিষ্টি হাসির বিনিময় শুরু হল। গাছের নিচে বসে তারা গল্প করত, নদীর ধারে হাঁটত।
একদিন রিয়া সুমনকে বলল, “তুমি জানো? তোমার সাথে কথা বললে আমার মন শান্ত হয়।”
সুমনের গা ঘেমে গেল, সে চুপচাপ মাথা নিচু করল। তার কাছে রিয়ার ওই কথা ছিল এক অমূল্য উপহার।
গ্রামের উৎসবে তারা একসঙ্গে অংশ নিত, গান গাইত, নাচত। প্রত্যেকটি মুহূর্ত তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব আর ভালোবাসার বাঁধন গেড়ে দিত।
কিন্তু সময় বদলাতে শুরু করল। রিয়ার পরিবার শহরে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। বিদায়ের দিন এসে গেল, নদীর পাড়ে তারা একে অপরকে বিদায় বলল।
রিয়া কাঁদল, সুমনের চোখও ভেজা হয়ে গেল। তারা বুঝল, ভালোবাসা শুধু দেখা নয়, মনে থাকার নাম।
শহরের ব্যস্ত জীবন শুরু হলো রিয়ার, কিন্তু তার মন গ্রামের নদীর তীরে, সুমনের সাথে আটকে রইল।
দিনে দিনে তাদের ফোনে কথা হত, চিঠি আসে যায়। দূরত্ব বড় হলেও হৃদয়ের দূরত্ব যেন শূন্য।
এক বছর পর, রিয়া আবার গ্রামের ফিরে এলো। নদীর পাশে সুমনকে দেখে তার মন আনন্দে ঝলমল করল।
তারা জানল, ভালোবাসা মানে ধৈর্য, বিশ্বাস আর সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া।
গ্রামের রূপের মাঝে, নদীর নীরব স্রোতে, তাদের ভালোবাসার গল্প লালিত হলো। তারা একসঙ্গে স্বপ্ন দেখল, ভবিষ্যতের দিনের আলো।
---
শেষ।
---
কেমন লাগল? চাইলে গল্পে আরও সংলাপ, আবেগ বা চরিত্রের বিস্তারিত যোগ করতে পারি। বলবেন!