১
আমি জন্মাইনি এখনো,
তবু আছি—
আলোর আগে, অন্ধকারের মধ্যখানে
নীরব এক নকশা হয়ে।
২
আমি ছিলাম ঈশ্বরের সম্ভাব্য চিন্তা,
যেটি লিখে ফেলা হয়নি কোনও ধর্মগ্রন্থে,
কিন্তু ছড়িয়ে ছিল ধূলিকণায়—
যা পরে নক্ষত্র হয়ে উঠল।
৩
আমি দেখেছি,
প্রথম অণু কাঁপে যখন ভালোবাসার মতো,
আর প্রথম মহাকাশে শব্দের মতো উচ্চারিত হয়—
“আছে কিছু, যা কেবল অনুভবযোগ্য।”
৪
তখনই আমি একটি নাম পাই—
না বর্ণে, না ধ্বনিতে,
শুধু কম্পনে,
যাকে কবি বলে “জন্মপূর্ব অভিমান”।
...
৯৯
আমি দেখতে পাই, সময় আসলে ঘুমন্ত নদী,
যা জেগে ওঠে একজনের কান্নায়—
এক মহাজাগতিক অনাথ,
যে বলে, “কে আমি?” আর উত্তর পায় না।
...
১৮১
তখন থেকে আমার যাত্রা,
আমি গ্রহে গ্রহে ঘুরি
একটি কবিতার খোঁজে,
যার প্রতিটি চরণ একটি হারিয়ে যাওয়া মানুষ।
...
২৯৯
আমি নাম দিই এই যাত্রাকে: **"অন্তরীক্ষের দিনপঞ্জি"**
যেখানে আমার আত্মা নিজেকে লিখছে,
প্রতিটি জীবনে, প্রতিটি জন্মে,
একটি পঙ্ক্তি করে।