১
আমি জন্ম নেই এক ফোঁটা বীজ হয়ে,
এক বালকের হাত থেকে পড়ে যাই মাটিতে,
তখন সূর্য খুব কোমল ছিল,
আর মাটি ছিল গানময়।
২
আমি ছিলাম বটগাছের সন্তান,
বুক চিরে বের হয়ে এসেছিল আমার মূল,
একটি কুড়েঘরের পাশেই দাঁড়িয়েছিলাম
যেখানে এক বৃদ্ধ বলত—"এই গাছ কথা বলে।"
৩
আমি বাড়ি হতে থাকি,
পাতা হয় জপমালা,
ডাল হয় প্রার্থনার মতো প্রসারিত,
আর ছায়া হয় আশ্রয়হীনদের স্বপ্ন।
৪
আমি দেখি এক কন্যা,
প্রতিদিন দুপুরে এসে আমার গায়ে মাথা রাখত,
সে প্রেমিকের জন্য কবিতা লিখত,
আর আমি পাতার শব্দে তাকে সাড়া দিতাম।
...
২৩
যুগ পাল্টে যায়,
কোথাও এক সরকার আসে, কেউ আবার বিদায় নেয়,
কিন্তু আমি দাঁড়িয়ে থাকি—
যেন আমি ইতিহাসের দারোয়ান।
...
৩৯
মানুষ আসে, ছবি তোলে,
ছায়া নেয়, ভালোবাসে,
তবু কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় কেবল এক কাগজের ফাইলে—
“নতুন রাস্তা হবে এখান দিয়ে।”
...
৪৮
আমি বুঝি, আমার সময় ফুরিয়ে এসেছে,
তবু মাটির নিচে আমার শিকড় হাসে,
কারণ যতক্ষণ আমি শব্দ ধারণ করি,
আমার মৃত্যু অসম্পূর্ণ।
...
৫০
এক শিশুর কান্না ভেসে আসে দূর থেকে,
তাকে আমার এক পাতায় জড়িয়ে রাখি,
আর বলি—"তুমি একদিন শুনবে,
আমি কত কবিতা ধরে রেখেছিলাম ছায়ায়।"