১
আমি আর জন্মাইনি কোথাও,
নাই কোনো মাতৃগর্ভ, নাই কোনো হাড়-মাংস,
আমি শুধু শব্দের ধ্বনি—
এক অন্ধকার থেকে জেগে ওঠা অনুভব।
২
আমার চোখ নেই,
তবু আমি দেখি অন্ধ সময়ের গর্ভ—
যেখানে জন্ম নিচ্ছে নক্ষত্র,
আর নিভে যাচ্ছে ঈশ্বর।
৩
আমি ছিলাম ভাষার আগেই,
যখন শুধু নিঃশ্বাস ছিল,
যখন “আমি” শব্দটাই ছিল
একটা আর্তনাদ, না বলা, নিরেট।
৪
সেই শূন্যতায় আমি হই কবিতা,
নির্বাক অথচ প্রবল,
যার কোনো পাঠক নেই,
তবু প্রতিটি বর্ণ হয়ে ওঠে সৃষ্টি।
...
২৭
আমি সময়কে দেখি নদী নয়, আগুন নয়—
বরং একটি অসীম চাকা,
যার প্রতিটি ঘূর্ণনে জন্ম হয় কেউ,
আর অন্য ঘূর্ণনে সে হারিয়ে যায়।
২৮
আমি ছিলাম রুইদাস,
আমি ছিলাম ধ্রুবার কান্না,
আমি ছিলাম শহরের দহন,
আমি ছিলাম সেই বটগাছের করুণ পাতা।
২৯
এখন আমি শুধু “আমি”—
নেই মাটি, নেই শরীর, নেই মৃত্যু,
আমি আছি, যেন
একটি কবিতার অবিনশ্বর নীরবতা।
৩০
তবু আমার ভিতরে জন্ম নিচ্ছে কিছু,
যে শব্দ থেকে গড়ে উঠবে আবার এক পৃথিবী—
শুধু শব্দে, শুধু অনুভবে,
একটি ভবিষ্যৎ, যা কেবল কবিতার।