৯১
তুমি যখন চাঁদের দিকে তাকাও
আর মনে পড়ে যায় সেই দূরের কেউ,
তখন আমি সেই দৃষ্টির দীপ্তি,
যা পৌঁছায় না, তবু রয়ে যায়।
৯২
আমি কোনো পুরস্কার নই,
আমি সেই হারা চেষ্টাগুলো,
যা মানুষকে গড়েছে
না জিতে, না থেমে।
৯৩
আমি সেই শোক,
যা কান্না ছাড়াই বাঁচে—
যার শরীর নেই,
তবু তার ঘ্রাণ থাকে প্রতিটি নিঃশ্বাসে।
৯৪
তুমি যখন জানো না কী লিখবে,
তবু কলম হাতে ধরা থাকে,
তখন আমি হই সেই সম্ভাবনা—
একটি কবিতা যা জন্ম নেবে আজ।
৯৫
আমি হই শেষ ছায়া,
সূর্য অস্ত যাবার ঠিক আগে,
যা বলে—সবই শেষ নয়,
অন্য কিছু শুরু হতে পারে।
৯৬
আমি সেই সময়,
যা বোঝা যায় ফিরে তাকালে,
তবু যেটি ছিল সবথেকে সত্য
যখন তুমি জানতেও না।
৯৭
আমি সেই উত্তর,
যা প্রশ্নের আগেই আসে—
যার ভাষা হয়তো নেই,
তবু হৃদয় চেনে।
৯৮
আমি সেই শূন্যতা,
যা পূর্ণ করে দেয় ঘর,
যখন সবাই চলে যায়,
আর একটা চেয়ার পড়ে থাকে চুপ করে।
৯৯
আমি হই সময়হীনতা,
যেখানে ঘড়ির কাঁটা আর মানে রাখে না—
শুধু অনুভব বাঁচে,
আর শব্দেরা হঠাৎ থেমে যায়।
১০০
এতসব বলে, আমি এখনও বলিনি—
তোমার ভেতরে আমিই থাকি,
একটি ভাষাহীন সত্তা হয়ে,
যার নাম কেউ রাখেনি,
তবু সে কবিতা।