বাংলার একটি শক্তিশালী, স্থানীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে এবং আরব ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং পশ্চিমের সাথে দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগ রয়েছে। ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ(তখনকার ভারত, নেপাল, ভুটান, বাংলা এবং এখনকার পাকিস্তান, ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ) ও মায়ানমার ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করার পর, ভারতীয় উপমহাদেশ দুটি পৃথক রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়: ভারত ও পাকিস্তান। এই বিভাজনটি ছিল ধর্মীয় লাইনের উপর ভিত্তি করে, প্রধানত মুসলিম অঞ্চলগুলি পাকিস্তানের অংশ এবং প্রধানত হিন্দু অঞ্চলগুলি ভারতের অংশে পরিণত হয়েছিল। বাংলা, পূর্ব ব্রিটিশ ভারতের ধর্মীয় ভিত্তিতেও বিভক্ত ছিল, যার পশ্চিম অংশ ভারতের (পশ্চিমবঙ্গ) অংশ হয়ে ওঠে এবং পূর্ব অংশ পাকিস্তানের (পূর্ববঙ্গ) অংশে পরিণত হয়, যা পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বাংলাদেশ হয়। ১৯৭১. বিভাজনের ফলে উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যা বাস্তুচ্যুতি এবং সহিংসতা দেখা দেয়, লক্ষ লক্ষ হিন্দু ও মুসলমান তাদের বাড়িঘর ছেড়ে তাদের নিজ নিজ দেশে চলে যেতে বাধ্য হয়। ঐতিহাসিক নথি অনুসারে, পার্সিয়ানরা বাংলার নামকরণ করেছিল "বঙ্গন" বা "বঙ্গ", যা এই অঞ্চলে বিদ্যমান বঙ্গ রাজ্যের প্রাচীন রাজ্য থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। "বেঙ্গল" শব্দটি ধীরে ধীরে আসল নাম থেকে বিবর্তিত হয় এবং মধ্যযুগীয় সময়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ইরানের জাতিসত্তারা বাংলার জনগণকে "বাঙালি" বলেও উল্লেখ করে, যা সংস্কৃত শব্দ "বাঙ্গালাহ" থেকে উদ্ভূত হয়েছে বলে মনে করা হয়, যার অর্থ "বাংলার বাসিন্দা।" এই শব্দটি পরে ব্রিটিশরা ভারতে তাদের ঔপনিবেশিক শাসনের সময় গৃহীত হয়েছিল এবং আজও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। বাংলা নামে পরিচিত এই অঞ্চলের একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে যা প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে। ১৩শ শতাব্দীতে মুসলিম শাসনের অধীনে আসার আগে এই অঞ্চলটি মৌর্য, গুপ্ত, পাল এবং সেন সহ বিভিন্ন বৌদ্ধ ও পরবর্তীতে কিছু হিন্দু রাজ বংশ দ্বারা শাসিত হয়েছিল। মুঘলরা পরবর্তীতে ১৬শতকে বাংলা জয় করে এবং ১৮ শতকে ব্রিটিশদের আগমন পর্যন্ত শাসন করে। এর আগে ও পরে বারো ভূঁইয়া ও হাসন রাজার জমিদার পরিবারের মতন বেশ কিছু বাঙালি ও অবাঙালি মুসলমান সুলতান, নবাব, জমিদারদের বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল শাসন করা হয়।