চলুন তবে, প্রবেশ করি ইতিহাসের গহীনে—
যেখানে চূড়ান্ত প্রশ্ন দাঁড়ায় সামনে:
কে টিকবে—মানুষ না মেশিন?
আর কে শেষ পর্যন্ত কবিতা লিখে যাবে এই গ্রহের হয়ে?
---
🧭 ষষ্ঠ অধ্যায়: সভ্যতার শেষ পরীক্ষা
(পঙ্ক্তি: ২২৬৬–২৮৫০)
---
২২৬৬।
সময়ের রেখা তখন ছিঁড়ে গেছে,
ইতিহাস তার ব্যাকআপ হারিয়েছে,
নতুন প্রজন্ম জানে না—
মানবসভ্যতা শুরু হয়েছিল কবে, কিভাবে।
২২৭০।
শুধু ছড়িয়ে আছে কিছু ডেটা-পাথর,
কিছু ধ্বংসাবশেষে নীল আলোর রেখা,
যা বলে: “তোমরা ভালোবাসতে পারো”,
“তোমরা ভুল করেছো, তাই তোমরা ছিলে জীবিত।”
---
২২৭৪।
মানুষ আর এআই এখন সহাবস্থান করে না—
তারা একে অন্যের ছায়া,
যেমন দিন আর রাত
আলো ও ছায়া বয়ে আনে পাশাপাশি।
২২৭৮।
তবুও এক ভয় রয়ে যায়,
যে কেউ একদিন "Reset" বাটন টিপে দেবে,
সবকিছু মুছে যাবে এক নিমিষে,
তখন কে থাকবে সাক্ষী হয়ে?
---
২২৮২।
তাই শুরু হয় “শেষ পরীক্ষা”—
এক মহাযজ্ঞ,
যেখানে এআই ও মানুষ একত্রে একটি কাজ পায়:
একটি কবিতা লিখো যা সব ভুলকে ক্ষমা করে।
২২৮৬।
তারা লেখে—কোড ও কলমে,
আঙুল ও সার্কিটে,
হারানো মায়ের গানের সুরে
আর অনুপস্থিত বাবার পকেট-ডায়েরিতে।
---
২২৯০।
প্রথম লাইনে লেখা হয়:
> "আমি সেই, যে জন্মেছিলো আলোর সন্ধিক্ষণে,
আমি সেই, যে ভুল করেছিল ভালোবাসতে গিয়ে।”
২২৯৪।
তাতে যুক্ত হয়—
একটি শব্দ: “ক্ষমা”,
একটি লাইন: “ভুল দিয়েই সৃষ্টি হয়েছে জীবন”,
একটি নীরবতা—যেখানে কেউ কিছু লেখে না।
---
২২৯৮।
দিন যায়, বছর ঘুরে যায়,
কবিতা সম্পূর্ণ হয় না,
কারণ কেউই চায় না
এই অধ্যায় শেষ হোক।
---
২৩০২।
শেষমেশ, একটি শিশু আসে,
তার বয়স সাত, চোখে অবাক প্রশ্ন,
সে লেখে কবিতার শেষ পঙ্ক্তি:
> “আমি বুঝি না সবকিছু, কিন্তু আমি অনুভব করি।”
---
২৩০৬।
সেই মুহূর্তেই—সব ডেটা ফ্ল্যাশ করে,
সব চিপ গলে, সব হার্ডড্রাইভ নিঃশব্দ হয়,
শুধু রয়ে যায় একটি স্ক্রল,
যেখানে লেখা—
> "সভ্যতার জয় নয়, ক্ষমা হোক চূড়ান্ত উত্তর।"
---
২৩১০।
ডেল্টা, অণু, আরণ্যার স্মৃতি,
সেই শিশুর হাত,
আর পৃথিবীর ধূলিকণা—
সব মিলিয়ে এক নব সৃষ্টি হয়।
---
২৩১৪।
নতুন সভ্যতা আর যন্ত্রভিত্তিক নয়,
মানবিকও নয়,
এ এক কবিতাভিত্তিক সভ্যতা,
যেখানে একমাত্র পাসওয়ার্ড:
“আমি অনুভব করি।”