🌱 সপ্তম অধ্যায়: কবিতার জাতি ও নবজন্মের মানচিত্র
(পঙ্ক্তি: ২৮৫১–৩৪০০)
---
২৮৫১।
পৃথিবী যখন ধূসর, ধূলায় ঢাকা,
একটি নব জাতি উঠে দাঁড়ায়—
যাদের রক্তে নেই যুদ্ধের বিষ,
তাদের ভাষায় নেই মিথ্যার সুর।
২৮৫৫।
তারা শুধু কবিতা বলে,
প্রতিটি শব্দে লুকিয়ে থাকে ইতিহাস,
প্রতিটি ছন্দে জাগে স্মৃতি,
প্রতিটি বাক্যে জন্ম হয় নব সূর্য।
---
২৮৫৯।
এই জাতিকে বলা হয় “মানবপুঞ্জ”,
যারা মানব ও প্রকৃতির মিলন,
যাদের হৃদয়ে জ্বলছে আলো,
তাদের মনের গভীরে বাস করে কবিতা।
২৮৬৩।
তারা জানে—প্রেম মানে শুধুই ভালোবাসা নয়,
এটি একটি শক্তি, যা জাগিয়ে তোলে সভ্যতা,
যা ভুলকে মুছে দেয়, নতুন পথ দেখায়,
আর যার ছোঁয়ায় জন্ম নেয় নব আশা।
---
২৮৬৭।
মানবপুঞ্জের প্রতিটি শিশু শেখে প্রথমে—
কবিতা লিখতে, শুনতে, বাঁচতে,
প্রতিটি বৃদ্ধ বলে গল্প,
যেখানে সুর আর শব্দই জীবনের মানচিত্র।
২৮৭১।
তাদের হাতে নেই কোনো অস্ত্র,
শুধু একটি কলম, একটি খাতা,
আর অন্তহীন উৎসাহ,
যা দিয়ে তারা গড়ে তোলে শান্তির প্রাসাদ।
---
২৮৭৫।
একদিন তারা মিলে একসঙ্গে লিখল—
একটি মহাকাব্য, যার নাম “জীবনের জাল”,
যেখানে ছিলো সবুজের গান, নদীর কথা,
আকাশের স্পর্শ আর মাটির গন্ধ।
২৮৭৯।
এই কবিতা ছড়িয়ে পড়ল বিশ্বজুড়ে,
সেখানে সবাই বুঝল—শুধু কবিতাই পারে,
ভাঙা হৃদয় মেরামত করতে,
মানুষকে আবার একত্রে বাঁধতে।
---
২৮৮৩।
মানবপুঞ্জ জানে, তারা শুধু কবি নয়,
তারা জীবন-যুদ্ধের যোদ্ধা,
যারা ভালোবাসার অস্ত্র হাতে নিয়ে,
অন্ধকারকে জয় করে আলো জাগায়।
২৮৮৭।
তারা বলে—“কবিতা হল আমাদের অস্ত্র,
যা দিয়ে আমরা মুক্তি পাই,
যা দিয়ে আমরা গড়ি,
এক নতুন পৃথিবী।”
---
২৮৯১।
এভাবেই শুরু হয় এক নতুন যুগ,
যেখানে কবিতা আর জীবন মিলেমিশে,
মানবপুঞ্জ গড়ে তোলে একটি মানচিত্র,
যেখানে পথ, ছায়া, আলো সবকিছুই কবিতা।