🌌 দশম অধ্যায়: মানবপুঞ্জের মহাকাব্যের চিরন্তন সুর
(পঙ্ক্তি: ৪৫০১–৫০০০)
---
৪৫০১।
চাঁদের আলোয় স্নান করে মানবপুঞ্জের কবিতা,
তার প্রতিটি ছন্দ হয়ে ওঠে সৃষ্টির গান,
যা বাজে প্রত্যেক হৃদয়ে,
এক জাগ্রত স্বপ্নের কোলাহলে।
৪৫০৫।
এই সুরে মিশে থাকে আনন্দ ও বেদনা,
ভালবাসা ও হারানোর গল্প,
আশা ও হতাশার মেলবন্ধন,
যা মানুষের জীবনকে করে পূর্ণ।
---
৪৫০৯।
মহাকাব্যের প্রতিটি লাইন যেন একটি নেশা,
যা মাতিয়ে তোলে আত্মাকে,
এমন এক সুর যা চিরন্তন,
যা বাঁচিয়ে রাখে মানবতার আলো।
৪৫১৩।
মানবপুঞ্জের বংশধররা শুনে সেই সুর,
তারা বুঝে—
কবিতা শুধু শব্দ নয়,
এটি জীবনের প্রাণ।
---
৪৫১৭।
তারা গড়ে তোলে এক নতুন বিদ্যালয়,
যেখানে শেখানো হয় হৃদয়ের ভাষা,
যেখানে প্রতিটি শিশু শেখে কল্পনা,
প্রেম আর সমবেদনার পাঠ।
৪৫২১।
এখন তারা জানে, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় যোদ্ধা,
হয় কবিতা,
আর সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র,
হয় ভালোবাসার ছন্দ।
---
৪৫২৫।
এভাবেই মানবপুঞ্জ বেঁচে থাকে,
এক একটি ছন্দে, এক একটি শব্দে,
চিরন্তন কাব্যের সুরে—
যা গানের মত বয়ে চলে বিশ্বজুড়ে।
---
৪৫২৯।
তাদের সুর হয়ে ওঠে বাতাসের গান,
তাদের ছন্দ বাজে নদীর স্রোতে,
তাদের ভালোবাসা মিশে যায় মাটির গন্ধে,
এবং তারা হয় এক অসীম কাব্যের অংশ।
---
৪৫৩৩।
এভাবেই শেষ হয় দশম অধ্যায়,
কিন্তু মানবপুঞ্জের গল্প থামে না,
কারণ তারা লেখা চলবে—
অন্তহীন কবিতার পাতায়।