11 u ·Prevedi

মদিনায় নবীজির (সা.) রওজা শরিফের দক্ষিণ পাশে একটি খোলা জানালা আছে। মসজিদে নববির সালাম গেট দিয়ে সামনে এগোতে থাকলে হাতের ডান পাশে চোখে পড়বে জানালাটি।

এটা হজরত হাফসা (রা.)-এর জানালা। জানালাটি কখনো বন্ধ হয়নি। নবীজির (সা.) রওজা মোবারককে সালাম দেওয়ার জন্য পশ্চিম দিক থেকে প্রবেশ করে পূর্ব দিকে বের হতে হয়। রওজা শরিফ বরাবর এসে হাতের বামে উত্তরমুখী হয়ে সালাম দিতে হয়। নবীজি (সা.) এখন যেখানে শুয়ে আছেন সেটি ছিল আয়েশা সিদ্দিকার (রা.) ঘর। এর ঠিক তার বিপরীত দিকে দক্ষিণ পাশের দেয়ালেই জানালাটির অবস্থান। এখানেই ছিল হজরত ওমরের (রা.) মেয়ে হাফসার (রা.) ঘর।

হজরত ওমরের (রা.) খেলাফতের সময় ১৭ হিজরিতে মসজিদে নববি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হলে রওজায় সালাম দেওয়ার সুবিধার্থে হাফসা (রা.) ঘরটি সরিয়ে ফেলার প্রয়োজন দেখা দেয়। তিনি তখনো সেই ঘরে বাস করেন। ওমর (রা.) চিন্তায় পড়ে গেলেন। কীভাবে তিনি মেয়ে হাফসাকে (রা.) বলবেন ঘরটি ছেড়ে দিতে। অবশেষে মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। হাফসার (রা.) ঘরের প্রতিটি কোনায় নবীজির (সা.) স্পর্শ ও স্মৃতি। এই ঘর তাঁকে ছাড়তে হবে, কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না। হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন। তাঁর কান্না দেখে ওমর (রা.) ফিরে গেলেন।

পরদিন আয়েশা সিদ্দিকা (রা.)-কে পাঠালেন। আরও অনেকে তাঁকে অনুরোধ করল। কিন্তু তিনি অনড়। তাঁকে বলা হলো, এই হুজরার (ঘরের) বিনিময়ে মদিনার সবচেয়ে বড় বাড়িটি তাকে উপহার হিসেবে দেওয়া হবে। তাতেও তিনি রাজি হলেন না। কিছুদিন পর হজরত ওমর (রা.) পুত্র আবদুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে আবার তাঁর কাছে এলেন। এবার ভাই আবদুল্লাহ বোনের কাছে আবেদন রাখলেন যেন তিনি মুসলিমদের স্বার্থে ঘরটি ছেড়ে দেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বাড়িও হাফসার (রা.) হুজরার সঙ্গেই লাগোয়া ছিল। তিনি বোনকে অনুরোধ করলেন তার বাড়িতে এসে ওঠার জন্য। তিনি বোনের জন্য এই বাড়ি ছেড়ে অন্যখানে চলে যাবেন। যেহেতু এই বাড়িটিও তো তাঁর হুজরার সঙ্গেই, সুতরাং তিনি নবীজির (সা.) কাছেই অবস্থান করবেন।

এবার তিনি সম্মত হলেন। তবে শর্ত রাখলেন, আবদুল্লাহ ইবনে ওমরের যে বাড়িতে তিনি উঠছেন রওজা শরিফ বরাবর তার দেয়ালে একটি জানালা খুলতে হবে এবং জানালাটি কখনো বন্ধ করা যাবে না। যেন জানালা দিয়ে রওজার দিকে তাকিয়ে থাকতে পারেন। হজরত ওমর (রা.) কথা দিলেন যে কখনো এ জানালাটি বন্ধ করা হবে না।

আজ থেকে হাজার বছর আগে হাফসা (রা.) ইন্তেকাল করলেন এবং এর মধ্যে বহুবার মসজিদে নববির পুনঃনির্মাণ ও সম্প্রসারণ করা হয়, কিন্তু কেউই হজরত ওমর (রা.) এর প্রতিশ্রতি ভঙ্গ করেননি। সে কারণে খোলা জানালাটি আজও নবীপ্রেমের একটি নিদর্শন হিসেবে রয়ে গেছে।

কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

image
2 m ·Prevedi

Finalisina












কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

image

বাবুদের তাল-পুকুরে
হাবুদের ডাল-কুকুরে
সে কি বাস করলে তাড়া,
বলি থাম একটু দাড়া।

পুকুরের ঐ কাছে না
লিচুর এক গাছ আছে না
হোথা না আস্তে গিয়ে
য়্যাব্বড় কাস্তে নিয়ে
গাছে গো যেই চড়েছি
ছোট এক ডাল ধরেছি,

ও বাবা মড়াত করে
পড়েছি সরাত জোরে।
পড়বি পড় মালীর ঘাড়েই,
সে ছিল গাছের আড়েই।
ব্যাটা ভাই বড় নচ্ছার,
ধুমাধুম গোটা দুচ্চার
দিলে খুব কিল ও ঘুষি
একদম জোরসে ঠুসি।

আমিও বাগিয়ে থাপড়
দে হাওয়া চাপিয়ে কাপড়
লাফিয়ে ডিঙনু দেয়াল,
দেখি এক ভিটরে শেয়াল!
ও বাবা শেয়াল কোথা
ভেলোটা দাড়িয়ে হোথা
দেখে যেই আঁতকে ওঠা
কুকুরও জাড়লে ছোটা!
আমি কই কম্ম কাবার
কুকুরেই করবে সাবাড়!

‘বাবা গো মা গো’ বলে
পাঁচিলের ফোঁকল গলে
ঢুকি গিয়ে বোসদের ঘরে,
যেন প্রাণ আসলো ধড়ে!

যাব ফের? কান মলি ভাই,
চুরিতে আর যদি যাই!
তবে মোর নামই মিছা!
কুকুরের চামড়া খিঁচা
সেকি ভাই যায় রে ভুলা-
মালীর ঐ পিটুনিগুলা!
কি বলিস ফের হপ্তা!
তৌবা-নাক খপ্তা…!

======

image

কে তুমি খুঁজিছ জগদীশ ভাই আকাশ পাতাল জুড়ে’
কে তুমি ফিরিছ বনে-জঙ্গলে, কে তুমি পাহাড়-চূড়ে?
হায় ঋষি দরবেশ,
বুকের মানিকে বুকে ধ’রে তুমি খোঁজ তারে দেশ-দেশ।
সৃষ্টি রয়েছে তোমা পানে চেয়ে তুমি আছ চোখ বুঁজে,
স্রষ্টারে খোঁজো-আপনারে তুমি আপনি ফিরিছ খুঁজে!
ইচ্ছা-অন্ধ! আঁখি খোলো, দেশ দর্পণে নিজ-কায়া,
দেখিবে, তোমারি সব অবয়বে প’ড়েছে তাঁহার ছায়া।
শিহরি’ উঠো না, শাস্ত্রবিদের ক’রো না ক’ বীর, ভয়-
তাহারা খোদার খোদ ‘ প্রাইভেট সেক্রেটারী’ ত নয়!
সকলের মাঝে প্রকাশ তাঁহার, সকলের মাঝে তিনি!
আমারে দেখিয়া আমার অদেখা জন্মদাতারে চিনি!
রত্ন লইয়া বেচা-কেনা করে বণিক সিন্ধু-কুলে-
রত্নাকরের খবর তা ব’লে পুছো না ওদের ভুলে’।
উহারা রত্ন-বেনে,
রত্ন চিনিয়া মনে করে ওরা রত্নাকরেও চেনে!
ডুবে নাই তা’রা অতল গভীর রত্ন-সিন্ধুতলে,
শাস্ত্র না ঘেঁটে ডুব দাও, সখা, সত্য-সিন্ধু-জলে।

image

বেলা শেষে উদাস পথিক ভাবে,
সে যেন কোন অনেক দূরে যাবে –
উদাস পথিক ভাবে।

‘ঘরে এস’ সন্ধ্যা সবায় ডাকে,
‘নয় তোরে নয়’ বলে একা তাকে;
পথের পথিক পথেই বসে থাকে,
জানে না সে কে তাহারে চাবে।
উদাস পথিক ভাবে।

বনের ছায়া গভীর ভালোবেসে
আঁধার মাথায় দিগবধূদের কেশে,
ডাকতে বুঝি শ্যামল মেঘের দেশে
শৈলমূলে শৈলবালা নাবে –
উদাস পথিক ভাবে।

বাতি আনি রাতি আনার প্রীতি,
বধূর বুকে গোপন সুখের ভীতি,
বিজন ঘরে এখন সে গায় গীতি,
একলা থাকার গানখানি সে গাবে-
উদাস পথিক ভাবে।

হঠাৎ তাহার পথের রেখা হারায়
গহন বাঁধায় আঁধার-বাঁধা কারায়,
পথ-চাওয়া তার কাঁদে তারায় তারায়
আর কি পূবের পথের দেখা পাবে
উদাস পথিক ভাবে।

======

image