11 میں ·ترجمہ کریں۔

ক্ষমতার শীর্ষে থেকেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে ছেড়েছেন রাজপ্রাসাদ! আল্লাহর নীতি প্রতিষ্ঠায় নিজের ছেলেকেও এক বিন্দু ছাড় দেন তিঁনি। ছেলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে করেছেন তাকে পরাহত।

পুরোটা জীবন ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ত্যাগ করেছেন যিনি, তিঁনি হলেন সিরিয়ার দামেস্কের রাজকন্যা, প্রভাবশালী শাসকের স্ত্রী ও মা জুমুররুদ খাতুন।

ইতিহাসের অন্যতম মহীয়সী এই নারীর জন্ম আধুনিক সিরিয়ার দামেস্কে। তাঁর পিতা ছিলেন সাফওয়াতুল মুলুক জাওয়ালি। যিনি দামেস্কের সেলজুক শাসক ছিলেন। তাঁর ভাই আবু নাসের শামসুল মুলুক দুকাকও পরবর্তী সময়ে শাসক হিসেবে নিযুক্ত হন।

ব্যক্তিগত জীবনে জুমুররুদ খাতুন একজন নেককার ও আল্লাহভীরু নারী ছিলেন। জীবদ্দশায় তিঁনি উস্তাদ আবু মুহাম্মদ তাউস ও আবু বকর কুরতুবি (রহ.)-এর কাছে কোরআন পাঠ করেন এবং নসর বিন ইবরাহিম মাকদিসি (রহ.)-এর কাছে হাদিস শ্রবণ করেন। জুমুররুদ খাতুন অধিক পরিমাণে নামাজ-রোজা ও দান-সদকা করতেন।

সেলজুক শাসনের সময়কালে এবং পূর্বেও অন্যায়ভাবে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পুরুষদের খোজা করা হতো। এই প্রথা তখন ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। কিন্তু জুমুররুদ খাতুন এই প্রথাকে বৈধ মনে করতেন না। তাই, রাজপ্রাসাদের কোনো খোজার সঙ্গে তিনি নির্জন হতেন না। এই নিয়ে তিঁনি প্রতিবাদও করেছেন।

তিনি প্রথমে বুরি বিন তুগতেকিনকে বিয়ে করেন। ১১৩২ খ্রিস্টাব্দে, জুমুররুদ খাতুনের ছেলে শামসুল মুলক ইসমাইল দামেস্কের শাসক হন। কিন্তু তিনি ন্যায়পরায়ণ না হওয়ায় তিঁনি তাকে পছন্দ করতেন না।

দিনে দিনে জনগণের প্রতি ইসমাইলের অ*ত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়। একসময় ইসমাইল ইমামুদ্দিন জাংকিকে দামেস্কের ক্ষমতা গ্রহণের আহ্বান জানান। বিষয়টি জুমুররুদ খাতুনের অবগত হলে, তিঁনি মামলুক সেনাদের সহযোগিতায় প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

১৪ ফেব্রুয়ারি, ১১৩৫ খ্রিস্টাব্দে তাঁর বাহিনী ইসমাইলকে হত্যা করে। বড় ছেলে নিহত হওয়ার পর দ্বিতীয় ছেলে শিহাবুদ্দিন মাহমুদ সিংহাসনে আরোহণ করেন। এ সময় দামেস্কের স্বাধীনতা রক্ষা ও ছেলের রাজত্ব সুসংহত করতে তিঁনি ক্ষমতার অংশীদার হন এবং মা-ছেলে উভয়ের পক্ষে আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করেন।

মুসলিম ইতিহাসে ক্ষমতার অংশীদার হিসেবে কোনো নারীর পক্ষে এমন শপথগ্রহণের ঘটনা খুবই বিরল। খলিফা তাঁকে বরখাস্ত না করে, কেবল ছেলের নিয়োগকে অনুমোদন দেন।

১১৩৮ খ্রিস্টাব্দে, ইমামুদ্দিন জাংকি তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার আগ পর্যন্ত জুমুররুদ খাতুন পরোক্ষভাবে দামেস্ক শাসন করেন।

ছেলের মৃত্যুর পর আরও এক বড় বলিদান দেন, জুমুররুদ খাতুন। নিজ দেশের পরিস্থিতি ঠিক রাখতে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার আশায় তিঁনি বিয়ে করেন ইমামুদ্দিন জাংকিকে।

বিয়ের পর তিঁনি আলেপ্পো শহরে চলে যান। বিয়ের কিছুদিন যেতেই ইমামুদ্দিন জাংকির পারিবারিক ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার পূরণের দায়িত্বহীনতা ও ব্যর্থতা তাঁর চোখে পড়ে। সেই সাথে জনসাধারণের প্রতি অবিচার তিঁনি একেবারেই সহ্য করতে পারেন নি।

প্রতিবাদসরূপ তিঁনি ইমামুদ্দিন জাংকির সংসার ত্যাগ করেন। তিঁনি চাইলে এইসব দেখেও কিছু না মনে করে ইমামুদ্দিনের প্রাসাদে আয়েশি জীবন যাপন করতে পারতেন। কিন্তু তা তিনি করেন নি। একই সময়ে, ১১৩৯ খ্রিস্টাব্দে, তাঁর ছোট ছেলে নিহত হন। যার ফলে, দামেস্কে তাঁর পরিবারও ক্ষমতাচ্যুত হয়।

এসব নানা কারণে, তিঁনি হিজরতের সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে মক্কায় যান এবং সেখানে এক বছর অবস্থান করেন। এরপর মদিনায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। শেষ বয়সে তিঁনি নিঃস্ব হয়ে যান।

অথচ একসময় তিঁনিই বিশাল অর্থ দিয়ে দামেস্কের বিখ্যাত খাতুন মসজিদ নির্মাণ করেন। সেই সাথে মসজিদের আঙিনায় মাদরাসাও প্রতিষ্ঠা করেন। মাদরাসা-মসজিদ পরিচালনায় যেন সমস্যা না হয়, সেই জন্য বিপুল পরিমাণ সম্পদ ওয়াকফ করেন।

তবে, নি:স্ব হলেও কখনও অন্যের কাছে হাত পাতেন নি তিঁনি। জীবিকার জন্যে গম ও বার্লি চালনার কাজ করতেন। এতে যে সামান্য অর্থ পেতেন তা দিয়েই কষ্টে জীবন যাপন করতেন। এবং বেশির ভাগ সময় আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকতেন তিঁনি।

৫৫৭ হিজরিতে বীরাঙ্গনা এই নারী ইন্তেকাল করেন। ইসলাম প্রতিষ্ঠায় তাঁর এই আত্নদানের স্বীকৃতি মহান রাব্বুল আলামীন নিশ্চয় তাঁকে দিবেন।

8 گھنٹے ·ترجمہ کریں۔
✨🌸…!🖤🥀
-স্বার্থ যেখানে শেষ,
– বদনাম সেখান থেকে শুরু…!! 🙂🥀
🖤•─┼┼•🖤
000●━━━━━━━━━━━━● 042
⇆ㅤㅤㅤㅤ. ◁ㅤㅤ❚❚ㅤㅤ▷ㅤㅤㅤㅤ↻
9 گھنٹے ·ترجمہ کریں۔

AFace1 লাইক, কমেন্ট, পোস্ট করে ইনকাম করুন। এই ভিডিওটি যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

12 گھنٹے ·ترجمہ کریں۔

পরিশেষে বলা যায়, লজ্জাপতি গাছ একটি সহজলভ্য অথচ অত্যন্ত কার্যকর ঔষধি উদ্ভিদ। তবে যেকোনো প্রাকৃতিক ঔষধ ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উত্তম, বিশেষ করে যদি আপনি আগে থেকে কোনো ওষুধ সেবন করেন বা স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে।

12 گھنٹے ·ترجمہ کریں۔

ত্বকের নানা রোগ যেমন একজিমা, চুলকানি বা ফোঁড়ার ক্ষেত্রেও এটি দারুণ কার্যকর। পাতার পেস্ট করে আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করলে আরাম মেলে এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কমে যায়।

12 گھنٹے ·ترجمہ کریں۔

এই গাছ ঘুমের সমস্যা ও মানসিক অস্থিরতা কমাতেও সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, লজ্জাপতিতে সেরোটোনিন নামক উপাদান থাকে, যা মস্তিষ্কে প্রশান্তি এনে ঘুমের উন্নতি ঘটায়।