গল্পের নাম: হাঁসের চাকরি
রফিক মিয়া গ্রামের বেকার যুবকদের মধ্যে সবচেয়ে "বুদ্ধিমান"। মানে, সে নিজেকে তাই ভাবে। একদিন হাট থেকে একটা হাঁস কিনে আনল। সবাই ভাবল খাওয়ার জন্য এনেছে। কিন্তু না! রফিক ঘোষণা দিল, “এই হাঁসটা আমার ইনভেস্টমেন্ট। এখন থেকে আমি হাঁসের ডিম বিক্রি করে কোটিপতি হবো!”
গ্রামের লোকেরা হেসে গড়াগড়ি খায়। রফিক পাত্তা দেয় না। হাঁসের জন্য আলাদা ঘর বানায়, খই, ভুট্টা খাওয়ায়। দিনে তিনবার "মোর মোর" করে হাঁসের সঙ্গে কথা বলে, যাতে হাঁস বুঝে—সে গুরুত্বপূর্ণ।
এক সপ্তাহ কেটে যায়। হাঁস ডিম না দিয়ে শুধু পুকুরে ঘুরে বেড়ায়। রফিক চিন্তায় পড়ে যায়। তারপর সিদ্ধান্ত নেয়, হাঁসকে "মোটিভেট" করতে হবে। সে হাঁসের সামনে একটা ডিম রেখে বলে, “দেখো, তোমার সহকর্মীরা কি সুন্দর ডিম দেয়!”
হাঁস শুধু তাকিয়ে থাকে। রফিক আবারও অভিনয় করে, নিজেই হাঁসের মতো হাঁটে, ডিম দেওয়ার ভঙ্গি করে, যেন হাঁস শিখে নেয়। গ্রামে আবার হো হো করে হাসির ঝড় ওঠে।
তবে নাটক তখনো শেষ হয়নি।
একদিন সকালে রফিক দেখে হাঁস ডিম দিয়েছে! সে চিৎকার করে পুরো গ্রাম ডাকল। সবাই এসে দেখে... ডিমটা সেদ্ধ!
রফিকের ছোট ভাই রাতে সেদ্ধ ডিম রেখে মজা করেছে। রফিক চুপচাপ হাঁসের দিকে তাকিয়ে বলল, “দোস্ত, তুই না হলে আমি সত্যিই পাগল হয়ে যেতাম।”
saeid4
Verwijder reactie
Weet je zeker dat je deze reactie wil verwijderen?