11 w ·çevirmek

# থাকে হয়তো জিজ্ঞেস করবে বলে। আবির দীর্ঘশ্বাস ছুটির কথা ভাবছে ঠিক তখনই দেখা গেল ছুটিদের ছাদে এসে দাঁড়িয়েছে ছোটনের মতোই একটা ছায়া। আবির ভ্রু কুঁচকায়। ছোটন তো বাইরে। তাহলে? ভার গলায় জিজ্ঞেস করল,

“ ছোটন নাকি? ”

ছোটন এগিয়ে এল।সে যে বাসাতেই আছে, কোথাও যায়নি এটা মূলত আর লুকানোর প্রয়োজন বোধ করল না। কারণ আবির যে হারে প্রতিটা রাতে ছাদে এসে নির্ঘুম কাঁটিয়ে সিগারেট ফুকছে এই তথ্য ছুটিকে দেওয়ার পর ছুটি রেগে আগুন হয়ে আছে। আবিরের উপরই। ছোটনকে বারবার করে বলে পাঠিয়েছে এই লোক আবার সিগারেট ধরলে সোজা ছাদ থেকে ফেলে দিতে। ছোটস অবশ্য গত এক সপ্তাহ যাবৎ এই দুঃসাহসী কাজ সম্পাদন করার চেষ্টা চালিয়েও পারে নি।এই যেমন এখনও ছুটি ফোনকলে আছে। ছোটন ফোনটা হাতে নিয়েই ছাদে এসেছে। বোনকে দেখিয়েছেও আবিরের কার্যকলাপ। এই পর্যায়ে রেলিং ঘেষে দাঁড়িয়ে হেসে বলল,

“ প্রতিদিন রাত বারোটা থেকে চারটা অব্দি এত সিগারেট টেনে কি বুঝাতে চান ভাই? আমার বোনের কথা ভেবে নিজের শরীরের বারোটা নিজেই বাজাচ্ছেন এটা? ”

আবির ঘাড় কাঁত করে তাকায়। তখনও সিগারেটে সুখটান দিয়ে ধোঁয়া ছাড়ায় ব্যস্ত সে। বলে,

“তোর আপু তো ছেড়ে চলেই গেছে, একপ্রকার ছাড়াছাড়ির মতোই তো আছি বল? তো শরীরের বারোটা বাজাই অথবা তেরোটাই তোর আপুর কোন ক্ষতি হবে না এতে। ”

কথাটা শোনামাত্রই ফোনকলে ঘাপটি মেরে থাকা ছুটি ফুঁসে উঠে। রাগে নাক ফুলায় সে। ইচ্ছে হয় আবিরকে কিছু বলে বসতে। কিন্তু উপায় নেই। ফলস্বরূপ কলই রেখে দিল সে। এবার ছোটনই বলল,

“ ছাড়াছাড়ির মতো থাকা আর ছাড়াছাড়ি একই কথা না।নিজের এভাবে অযত্ন না করলেও তো হয়।”

আবির সিগারেট ফেলল। জ্বলন্ত সিগারেটের অংশটাকে পা দিয়ে ফিষে ফেলতে ফেলতে তাচ্ছিল্য করে বলে উঠে,

“ বাদ দে, তুই তো তোর আপুর সাথে আর কথা বলিয়ে দিবি না তাই না? ”

ছোটন জানায়,

“আপুই আপনার সাথে কথা বলবে না। ”

আবির হাসে। কত উন্নতি না ছুটিটার? যে ছুটি তার সাথে কথা বলতে মরিয়া হয়ে থাকত, সে ছুটি আজকাল তাকে এড়িয়ে চলে। তার সাথে কথা হোক এটা ছুটি চায়ই না আজকাল। সময় কত অদ্ভুত!সময় সত্যিই মানুষকে পরিবর্তন করে, সঙ্গে মানুষের অনুভূতিকেও। আবির তাচ্ছিল্য নিয়ে হাসে। এক লাফে ছুটিদের ছাদটায় পৌঁছে ছোটন ঘাড়ে হাত রাখল। বলে,

“ ভালো তো, তোর আপুকে বলিস আমি মরে গেলে একবার দেখে যেতে। নাকি মরে গেলে ও দাম দেখাবে এমন? ”

ছোটন ঘাড় কাঁত করে তাকায়। মুহুর্তেই উত্তর করে,

“ আপু এতোটা স্বার্থপর নয়। ”

আবির মুখ ভেঙ্গিয়ে বলে,

“ তা তো দেখতে পাচ্ছি।নিজের দাম দেখাতে আমাকে উনি ভুলে যেতেও দুবার ভাবেননি। সেলফিশ। ”

কথাগুলো বলেই অন্যদিকে ফিরে চাইল সে। কিয়ৎক্ষন চুপ থেকে কিছু ভাবল। অতঃপর ছোটনের দিকে চেয়ে ক্রুর হাসে সে। ঠোঁট বাঁকিয়ে হেসে ডাকে,

“ ছোটন? ”

ছোটন জবাব দেয়। আবির প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘাড় ঝুুকিয়ে হেসে বলে,

“ তোকে কিডন্যাপ করে নিলে দোষ দিবি না তো আমায়? কিংবা জোরজবরদস্তি করলে?”

ছোটন বুঝে উঠে না। বোকার মতো জিজ্ঞেস করে,
” মানে?”

আবির আরো শক্ত করে ঝেকে ধরে ছোটনাকে। একদম ঝেকে ধরে কাঁধে হাত রেখেছে যেন৷ বলে,

“ তোর ফোনে নিশ্চয় ছুটির সাথে কন্ট্যাক্ট করার কোন ওয়ে থাকবে?তুই তো ওর সাথে যোগাযোগ রাখছিসই নিয়মিত তাই না?”

“ হু আব...”

কথাটা সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই আবির ছোটনকে ছাদ থেকে ঠেলে ধরে কিছুটা।যেন আরেকটু ধাক্কা দিলেই ছোটন সোজা বিল্ডিংয়ের নিচে পড়বে। ছোটন ভয় পায়। কোনভাবে বলে,

“ আপনি আবির ভাই?”

আবির হেসে বলে,

“ তোর আপুকে কল করে কথা বলতে বল। নয়তো সোজা নিচে ফেলে দিব ছোটন। তুই কি নিচে যেতে চাস?”

ছোটন শুকনো ঢোক গিলে। ততক্ষনে কোনরকমে মাথা নাড়ায় সে। আবির তাড়া দেখিয়ে বলে,

“ এবার তাড়াতাড়ি ছুটিকে কল দে। নাহলে সোজা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিব ছোটন ”

উত্তর আসে,

“ দিচ্ছি আবির ভাই।”

অতঃপর ছোটন করে সোজা হয়ে দাঁড় করায় আবির। অপেক্ষায় থাকে ছুটি কখন কল তুলবে। অবশেষে ছুটি যখন কল তুলল ভিডিও কলের ফোন স্ক্রিনে সে চেয়ে থাকে।
ছুটির চোখে চশমা। কাঁধ অব্দি চুলগুলো ছেড়ে দেওয়া৷ ছুটি কি চুল কেঁটেছে?ছোট করেছে? কোন প্রয়োজনে? আবির তাকিয়ে দেখে। নাকে নাকফুলটা জ্বলজ্বল করছে৷ দেখতে সুন্দর লাগছে মেয়েটাকে। আবিরকে অবশ্য দেখা যাচ্ছে না।ফলস্বরূপ ছুটি রেগেমেগেই বলে ফেলল,

“ বলেছিস ঐ বেয়াদব লোককে সিগারেট আর না ফুঁকতে? এভাবে রাত জেগে সিগারেট ফুঁকে শরীরের বারোটা বাজাচ্ছে কেন? কোন প্রয়োজনে? আবার বলছে তোর বোনের কিছু হবে না? এই লোক পেয়েছে কি আসলে হুহ?"

আবির শুনে। লুকিয়ে লুকিয়ে তাহলে এখন তাকে পর্যবেক্ষণ করা হয় এখন? যেটা সে এতকাল ফলো করত সেটাই তার উপরে এপ্লাই করা হচ্ছে? বাহ! ভালো তো। সে হাসে। আড়ালে খবর রাখলেও ধরা যে পড়ে গেছে এইটা আবিরের ভালো লাগছে। এতকালের সমস্ত রাগ তার এক মুহুর্তেই হাসিতে পরিণত হয়েছেে।ছুটি আবারও বলল,

“ কি হলো কথা বলিস না কেন? তোরে যে দেশে রেখে আসছি? কোন কারণে? সঠিত কাজই যদি না করতে পারিস তাহলে তুই কিসের ভাই আমার? ঐ লোক এখন কোথায়? কি করছেন উনি? আবারও সিগারেট ফুঁকছে? ফুঁকছে কিনা বল... ”

ছোটন উত্তর করে না। একবার ঘাড় ফিরে শুধু আবিরের দিকে চায়। আবার ফোনের স্ক্রিনে তাকায়। আবির হাসে শুধু। ছুটি ফের বলে,

” যদো সিগারেটই ফুঁকে থাকে তাহলে প্লিজ সিগারেটের জ্বলন্ত দিকটা চেপে ধর উনার ঠোঁটে। বেয়াদব পুরুষ মানুষ কোথাকার। আমি এই পুরুষমানুষ জীবনেও চাই না। ”

আবির হাসে এব

একটা সময় ছিল, যখন যেকোনো সম্পর্কের সাথে নিজেকে আকড়ে রাখতে চাইতাম। নিজের সবটুকু দিয়ে সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতাম। যত্নবান ছিলাম খুব। কিন্তু দিন শেষে সেই আকড়ে ধরা সম্পর্কগুলো থেকেই সবচেয়ে বেশি দুঃ'খ পেয়েছি!

আমার জীবনেও প্রেম এসেছিল। যাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবেসে ছিলাম। নিজের সবটুকু দিয়ে তাকে আকড়ে রেখেছিলাম, খুব সোহাগে আদরে। নিজের অস্তিত্ব ভুলে তাকেই নিজের অস্তিত্ব বানিয়ে ছিলাম। যার জন্য দিনশেষে নিজেকে আর খুঁজে পাই নি। এতে করে তার চলে যাওয়াতে আমিই কষ্ট পেয়েছিলাম।

যার হাত ধরে সব কিছু ভুলে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই মানুষটাও বুঝে নি আমায়। সব কিছুর জন্য আমাকেই দোষারোপ করল। নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারায় টিকলো না সেও শেষ পর্যন্ত!

এক সময় আমার অনেক বন্ধু ছিল। নিজের ভালোর কথা চিন্তা না করে, ওদের ভালো রাখতে ব্যস্ত ছিলাম। ওদের একটা ডাকে নিজের সবটুকু ঢেলে দিতাম। অথচ আমার বিবর্ণ সময়ে ওদের পাশে পাই নি। খেয়াল করলাম, আমিই ওদের প্রয়োজনের পাত্রই ছিলাম কেবল। প্রিয়জন আর হতে পারি নি।

একটা সময় ছিল, যখন আত্মীয় স্বজনের কাছে খুব প্রিয় ছিলাম। সবাই বলত আমার মতো ভালো আর কেউ হয়ই না নাকি। রূপে গুনে যেন মা লক্ষ্মী! কিন্তু যখন দুঃসংবাদগুলো আমায় আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে ছিল তখন তারাই সবার প্রথমে চোখ বাকিয়ে ছিল!

বাবা মায়ের আদরের ছিলাম খুব। সব সময় মাথায় করে রাখত। অথচ যখন দেখতে পেল আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হচ্ছে না আর তখন সেই আমিই যেন তাদের চোখের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে। এখনও মাথায় রাখে, তবে সেটা বোঝা ভেবে!

বিশ্বাসের নামে বিশ্বস্ত মানুষগুলো আমায় চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে ছিল, সবকিছু আমারই ভুল! তাই এখন আর কোনো সম্পর্কের উপর বিশ্বাসটা ঠিক রাখতে পারি না। কাঁচের মতো ভেঙে যাওয়া এই আমি এখন শুধু নিজের উপর বিশ্বাস করতে পারি। কেউ ভালো করতে চাইলে এখন আর বিশ্বাস হয় না বরং তার দিকে মুচকি হেসে “আমি ভালো আছি” বলে পাশ কাঁটিয়ে যাই।
এখন এভাবেই চলছে জীবন আমার, চলুক না!

💞💞"ভালোবাসা হলো এমন এক অনুভূতি যা দেখা যায় না ছোঁয়া যায় না
—কেবল হৃ'দয় দিয়ে অনুভব করা যায়-
💗🥀"

💖💖"তুমি আমার জী'বনের সেই মানুষ যার সাথে কাটানো প্রতিটা মু'হূর্ত স্ব'প্নের মতো সু'ন্দর-💗🥀"

❤️‍🩹❤️‍🩹"ভালোবাসা মানে একস'ঙ্গে থাকার প্রতি'শ্রুতি সুখে-দুঃখে হাত না ছাড়ার অ'ঙ্গীকার-💗🥀"

💑 💑"তোমার একটি হাসি আমার দিনের সব ক্লা'ন্তি দূর করে দেয়-💗🥀"

🌙🌙"তুমি আমার আকাশের চাঁ'দ আমার জী'বনের আলো আমার হৃ'দয়ের স্প'ন্দন-💗🥀"

💝💝"ভালোবাসা কখনো দূ'রত্ব বোঝে না, শুধু বোঝে হৃ'দয়ের টান-💗🥀"

🥰🥰"তোমার ভালোবাসার ছোঁয়ায় আমার পৃ'থিবী বদলে যায় যেন এক নতুন সকাল জ'ন্ম নেয়-💗🥀"

❤️❤️"ভালোবাসা হলো দুটি আ'ত্মার একত্রে পথচলা যেখানে একে অপরের সুখই সবচেয়ে বড় আনন্দ-💗🥀"

🖤🖤"বেঁ'চে থাকুক পৃ'থিবীর সকল ভালোবাসা!

42 m ·çevirmek

AFace1 লাইক, কমেন্ট, পোস্ট করে ইনকাম করুন।
এই ভিডিওটি যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

1 h ·çevirmek

আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

image
1 h ·çevirmek

যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.