11 میں ·ترجمہ کریں۔

#বাকরুদ্ধ হয়ে গেল সেই যুবক। কী উত্তর দেবে বুঝে উঠতে না পেরে খানিকটা দ্বিধাগ্রস্ত ভঙ্গিতে বলে ফেলল,

-- "শি ইজ মাই কাজিন।"

ডাক্তার নারীটির মুখে একরাশ অপ্রসন্নতা খেলে গেলো তাতে। চোখে সামান্য অনীহা নিয়ে বলল শক্ত কণ্ঠে,

-- "ওনার পরিবারের আর কেউ আসেনি? উনার হাসবেন্ড কোথায়? কাউকে এখনো খবর দেওয়া হয়নি বুঝি? দয়া করে দ্রুত ওনার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। ওনার হাসবেন্ডকে খবর দিন। ওনাকেই পরবর্তী নির্দেশনা দিতে হবে।"

--"আসলে এক্সিডেন্ট তাই বাসায় ইনফর্ম করা হয়নি। পেসেন্ট এর অবস্থা কেমন? ইজ শী ওকে?"

-- "পেশেন্ট আপাতত সংকটমুক্ত। তবে দুঃখজনকভাবে আমরা ওনার সন্তানকে বাঁচাতে পারিনি। মিসক্যারেজ হয়েছে।"

দাড়ানো মুহূর্তে বিনা মেঘে বাজ ভেঙে পড়ল যুবকের মাথায় । চোখ দুটো বিস্ফারিত হয়ে গেল বিস্ময়ে। হতোবিহুল দৃষ্টি যুগল দিয়ে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে রইলো সামনে। এক পর্যায়ে ফিসফিস করে উঠল নিজে নিজেই,

--"বাচ্চা?"

-- "হ্যাঁ। তিন মাসের গর্ভ ছিল ওনার। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। শরীর এখন খুব দুর্বল। তাই ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে।"

এরপর সেখান থেকে যেতে যেতে পুনরায় আবারো বলে গেলেন,

-- "ওনার পরিবারের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করুন। আমি এরপর ওনার হাসবেন্ডকে বিস্তারিত জানিয়ে দেব।"

বলেই সেখান থেকে সরে গেলেন ডাক্তার। রেখে গেলেন এক আকাশ পরিমান অনিশ্চিয়তায় ঘেরা এক মানব কে। হঠাৎই হাঁটু ভেঙে ঠাস করে বসে পড়ল পিছনে থাকা চেয়ারটিতে। মাথাটা নিচু। হাত দুটো কাঁপছে অবিরাম। ভাবনার ভারে নিজেকে সামলে রাখতে পারছে না। ঠিক তখনই হাসপাতালের বাইরে থেকে ছুটে এলো তার ড্রাইভার রহিম সাহেব। মালিক কে এভাবে কাঁপতে দেখে দূর থেকেই চিন্তিত গলায় হাঁক ছাড়লেন,

--"আদ্রাজ বাবা, ঠিক আছেন আপনি?"

আদ্রাজ কিছু বলল না। মাথা তুলেও তাকাল না। রহিমের কথাগুলো তার কানে পৌঁছালেও এই মুহূর্তে মস্তিষ্কে পৌঁছালো না সেসব।

মেহরিশ প্রেগনেন্ট ছিল? এই বাচ্চার বাবা কে?তাহলে কি সে যা ভাবছে তাই? কিন্তু তাহলে হঠাৎ করে মেয়েটি বিদেশ থেকে ফিরে এলো কেন? কী হয়েছিল তাদের মাঝে?
আর পূর্ব-ই বা কোথায়?

প্রশ্নের পর প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে লাগলো আদ্রাজ এর মনে।

**

লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া। সময়, রাত ৩টা।

মধ্যে রাতের ক্যালিফোর্নিয়ার শহরের বাতাসে নিস্তব্ধতায় ঘেরা চারোপাশে মাঝে মাঝে দূরে কোথাও দু একটি গাড়ির হর্ন বা বাতাসে দুলে ওঠা গাছের পাতার মৃদু শব্দ ছাড়া আর কোনো কিছুই কর্ণগোচড় হচ্ছেনা।এই গভীর রাতে শহরের এক কোণে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে বিছানায় সবেই এসে গাঁ এলিয়ে দিয়েছিল সাব্বির।

বিগত দুই মাস যাবৎ এটা তার নিত্য দিনের ভূমিকায় ঠাই নিয়েছে। প্রতিদিনের ক্লান্তিকর যন্ত্রণায় মস্তিষ্ক আর দেহ সমানভাবে ক্লান্ত। আজও তার ব্যতিক্রম নয়। সবেই হাসপাতাল থেকে ফিরেই শরীরটা ছুঁড়ে দিয়েছিল বিছানায়। চোখ দুটো একটু আগেই মাত্র লেগেছিল ঠিক তখনই বালিশের নিচে রাখা মোবাইল ফোনটা কেঁপে উঠল ভাইব্রেট এর শব্দে।

সাব্বির বিভ্রান্ত হাতে ফোনটা কানে তুলতেই ওপাশ থেকে ভেসে এল তীব্র উৎকণ্ঠিত কণ্ঠ,

--জি, সাব্বির সাহেব বলছেন? আমি সিটি হসপিটাল থেকে বলছি। রুম নং ৩৪ বেড নং ১১ আপনাদের পেশেন্টের জ্ঞান ফিরেছে। কিন্তু জ্ঞান ফেরার পর থেকেই ওনি অস্বাভাবিক আচরণ করছে। পুরো হাসপাতাল মাথায় তুলে ফেলছে। হাত থেকে কেনেলা টেনে খুলে ফেলে বেরিয়ে যেতে চাইছে। আমরা আর সামাল দিতে পারছি না। প্লিজ,যলদি চলে আসুন!”

ঘুম মুহূর্তেই চোখ থেকে উবে গেল সাব্বিরের। বুকের ভেতর বজ্রপাত এর সৃষ্টি হল । গত দুই মাস যাবৎ এই দিনটার জন্যই চাতক পাখির ন্যায় ছটফট করেছে তারা। অবশেষে সেই কাঙ্খিত মুহূর্তর অবশান ঘটলেও সেই সঙ্গে এমন এক আচরণের কথা শুনে গলা শুকিয়ে এলো সাব্বিরের।

তা সত্ত্বেও সময় নষ্ট না করে সাব্বির বিছানা থেকে ঝাঁপিয়ে উঠে ফোনটা পকেটে চালান করে একটা টি-শার্ট গায়ে চাপিয়ে ছুটে বেরিয়ে পড়ল বাইরে। বাইকের স্টার্টে রাতের নীরবতা ছিন্ন করে সোজা রওনা দিল হাসপাতালের দিকে। রাস্তায় যেতে যেতে তন্ময়কে ফোন করে সব জানিয়ে দিল সাব্বির।

প্রায় মিনিট ৩০ এর মধ্যেই সাব্বির পৌঁছে গেল সেখানে। তার ঠিক পেছনেই তন্ময়। হাসপাতালের ভেতরে ঢুকতেই ওরা দুজন থমকে দাঁড়ালো। চারপাশে নার্স, ওয়ার্ড বয়, রিসেপশনিস্ট সবাই আতঙ্কে ছুটোছুটি করছে। পুরো জায়গাটা অস্বাভাবিক রকম অস্থির।

সাব্বির আর তন্ময় দ্রুত ছুটে গেল সেই কেবিনের দিকে। কেবিনে ঢুকেই যা দেখল তাতে তাদের পায়ের নিচের মাটি সরে গেল ওদের। চারজন পুরুষ ডাক্তার পূর্বকে বিছানার সঙ্গে চেপে ধরে রেখেছে। দুজন হাত দুপাশ থেকে শক্ত করে ধরে রেখেছে। আর দুজন ওর পা। একজন নার্স ইনজেকশনে ঘুমের ওষুধ ভর্তি করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলেই এখন ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

ঠিক তখনই তন্ময় চিৎকার করে উঠল,

--"স্টপ! থামো! ওকে ছেড়ে দাও!"

সাব্বির দ্রুত এগিয়

5 گھنٹے ·ترجمہ کریں۔
✨🌸…!🖤🥀
-স্বার্থ যেখানে শেষ,
– বদনাম সেখান থেকে শুরু…!! 🙂🥀
🖤•─┼┼•🖤
000●━━━━━━━━━━━━● 042
⇆ㅤㅤㅤㅤ. ◁ㅤㅤ❚❚ㅤㅤ▷ㅤㅤㅤㅤ↻
6 گھنٹے ·ترجمہ کریں۔

AFace1 লাইক, কমেন্ট, পোস্ট করে ইনকাম করুন। এই ভিডিওটি যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

8 گھنٹے ·ترجمہ کریں۔

পরিশেষে বলা যায়, লজ্জাপতি গাছ একটি সহজলভ্য অথচ অত্যন্ত কার্যকর ঔষধি উদ্ভিদ। তবে যেকোনো প্রাকৃতিক ঔষধ ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উত্তম, বিশেষ করে যদি আপনি আগে থেকে কোনো ওষুধ সেবন করেন বা স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে।

8 گھنٹے ·ترجمہ کریں۔

ত্বকের নানা রোগ যেমন একজিমা, চুলকানি বা ফোঁড়ার ক্ষেত্রেও এটি দারুণ কার্যকর। পাতার পেস্ট করে আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করলে আরাম মেলে এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কমে যায়।

8 گھنٹے ·ترجمہ کریں۔

এই গাছ ঘুমের সমস্যা ও মানসিক অস্থিরতা কমাতেও সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, লজ্জাপতিতে সেরোটোনিন নামক উপাদান থাকে, যা মস্তিষ্কে প্রশান্তি এনে ঘুমের উন্নতি ঘটায়।