11 w ·Translate

# রুম অবধি ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এটা দেখে প্রত্যয়ের ঠোঁটে তাচ্ছিল্য ফুটে উঠেছে। সে দিলশাদকে বলল,

"এখনো তুই তোর মনেরটাই করলি।ওর পেটে এখনো ক্ষুধা ছিল। আর তুই বললি ও চলে গেল।"

"প্রত্যয় কি হচ্ছে এসব?"

"সত্যর মুখোমুখি হতে হবে তোদের দুজনের।নির্জনা, তুমি হুট করে এসেছো ওদের জীবনে।হুট করে এসে তুমি ওর সাথে যে ব্যবহার করছো কতোটা যুক্তিযুক্ত?"

"ও কোনো বাচ্চা মেয়ে না।"

"কিন্তু ও বাইরের পৃথিবী সম্পর্কে এতোটাও জানে না।তোমার পাশে বসে থাকা মানুষটাকে জিজ্ঞেস করে দেখো সে কতোটা সীমিত করেছে ওর পৃথিবীকে।এই বাসার গার্ডরা অবধি তাকে চিনে না।কেন চিনে না?কারণ দিলশাদের গাড়ি ব্যতীত ও এই বাড়ির গেট অবধি যায়নি।স্কুল, কলেজে নিয়ে যাওয়া এমনকি ওর প্রতিটা বিষয় কেবল দিলশাদ নিজে দেখতো।নৈঋ ব্যাডমিন্টন পছন্দ করে, দিলশাদ ওর জন্য পুরো একটা ব্যাডমিন্টন ক্লাব নিজের বাড়িতে বানিয়ে দিলো। নৈঋ কৃষ্ণচূড়া পছন্দ, বাড়ির লনে ওর জন্য কৃষ্ণচূড়া গাছ আনা হলো।নৈঋ সমুদ্র পছন্দ, সমুদ্রের পাড়ে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভিলা তৈরী করলো। আজ হুট করে নৈঋ পারবে এই দিলশাদকে অন্যের সাথে ভাগ করে নিতে? ও তোমাকে মেনে নেয়নি? না করতে পারবে? ও তোমার সাথে সহজ হতে চায়নি? কিন্তু তুমি ভুল বুঝলে। যথেষ্ট চেষ্টা করছে তোমার সাথে কথা বলার।আর কেউ না দেখুক আমি দেখেছি।তোমার সাথে দিলশাদের বিয়ের কথা ঠিক হওয়ার পর ও সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছিল।আর তুমিই ওকে আঘাত করেছো।এটার অবশ্য দরকার ছিল।না হলে নৈঋ কখনো ওর পরিবারের কাছে ফিরতে চাইতো না।"

"তুমি সব দোষ আমায় দিচ্ছো প্রত্যয়?আর দিলশাদ তুমি কিছু বলবে না?এই মেয়েকে খোঁজার জন্য তুমি আমাদের বিয়েটা এভাবে নষ্ট করেছো?"

দিলশাদ নীরবে দুজনের কথা শুনছিল।প্রত্যয়ের বলা কথাগুলোর থেকেও সে আরো অনেক কিছুই করেছে নৈঋতার জন্য।যখন যখন নৈঋতার পরীক্ষা চলতো সে পুরো সময় অপেক্ষা করেছে বাইরে। বিগত আটটা বছরে এক মুহুর্তের জন্যও নৈঋতাকে নিজের চোখের সামনে থেকে দূরে রাখেনি। এমন নয় তার কাছে সুযোগ ছিল না অমৃতার সাথে যোগাযোগ করার।কিন্তু সে যোগাযোগ করেনি। নৈঋতাকে যখন সে প্রথম কোলে নিয়েছিল, মেয়েটার ছোট্ট আঙুল তাকে আঁকড়ে ধরেছিল শক্ত করে।অমৃতা নৈঋর মা।কিন্তু অমৃতা কি কখনও শুনেছে সেই কান্নার শব্দ, যখন একবার পেট ব্যথায় সারা রাত ধরে নৈঋ কেঁদেছিল?অমৃতা কি জানে, মেয়েটা টম অ্যান্ড জেরি দেখে কাঁদে, কারণ সে ভাবে জেরিকে কেউ ভালোবাসে না?দিলশাদের নীরবতায় যেন ঘরটা আরও ভারী হয়ে উঠেছে।প্রত্যয় গলায় তীক্ষ্ণতা এনে বললো,
"তুমি কি সত্যিই বুঝতে পারছো তুমি কী করছো, নির্জনা?"

"আমি কী করছি, প্রত্যয়?তুমি তো এখন সেই মেয়েটার হয়ে আইনজীবীর মতো কথা বলছো। বাবা নেই, মা নেই, পরিবারের কেউ তার কথা বলে না।একটা উড়ে এসে জুড়ে বসা মেয়ে। দয়া করেই ওর জায়গা হয়েছে এই বাড়িতে।আর আমি? আমি কারো দয়ায় আসিনি।"

"নৈঋ কোনো দয়ায় নেই। সে এই বাড়ির।
তোমার যেমন দাবি, তেমনি ওরও আছে। এমনকি তার চেয়েও বেশি। কারণ তুমি এসেছো আজ দুদিন হয়নি। এই দেয়ালগুলোর মধ্যে ওর শ্বাস রয়েছে, ওর কান্না রয়েছে।"

"কান্না?"—নির্জনার কণ্ঠে উপহাস।
"ও কাঁদে তো? দেখেছো কখনও কিভাবে চোখ গরম করে তাকায়? কেমন করেই না আমার দিকে বিষ ছুঁড়ে দেয় দৃষ্টিতে!একটা বাচ্চা মেয়ে! কিন্ত তাতে শিশুসুলভ কিছু নেই। বরং ভয়ংকর একটা দখলবাজ মন—এই বাড়িতে, এই ঘরে, এমনকি দিলশাদের বুকেও নিজের একচেটিয়া দাবী রেখে দিয়েছে!"

"তুমি ওর সাথে প্রতিযোগিতা কেন করছো? তোমাদের সম্পর্ক প্রতিযোগিতার নয়।দিলশাদ কিছু বলছিস না কেন?না ভাই তোকে কিছু বলতে হবে না।আজকের দিনটা তো থাকতে দিবি?না দিলেও সমস্যা নেই আমি ওকে নিয়ে যাচ্ছি।রাতটা সুহানার কাছে থাকবে না হয়, আগামীকাল চলে যাবে।"

প্রত্যয় উঠে দাঁড়াতেই দিলশাদ বলল,
"কিড্ডোর রুমে আমি অনুপস্থিত থাকা কালে কোনো পুরুষ এলাউ না প্রত্যয়।ওকে বিশ্রাম নিতে দে।"

নির্জনার দিকে তাকিয়ে দিলশাদ বলল,
"শী ইজ মাইন নির্জনা। ডোন্ট ক্রস ইউর লিমিট।"

"তাহলে ওকে কেন বিয়ে করছো না দিলশাদ? যার পাশে অন্য কোনো পুরুষকে সহ্য হয় না, যার সামান্য আঘাতে তুমি ক্ষতবিক্ষত হচ্ছো৷ তাকে কেন বিয়ে করছো না।"

"আর ইউ ম্যাড? শি ইজ আ লিটল গার্ল। ইলহামের ভাগ্নি।"

"চোখ খুলে তাকাও দিলশাদ, তুমি বুঝবে কি করছো তুমি।"

নির্জনা চলে গেছে অনেকক্ষণ। প্রত্যয় তার আগেই রেগে বেরিয়ে গেছে।ড্রয়িং রুমে বসে দিলশাদ দীর্ঘ সময় নিয়ে তাকিয়ে রইল দেয়ালের দিকে। ডিজিটাল ফটোফ্রেমটায় আসছে একের পর এক নৈঋতার ছবি।
কখনো হাইস্কুলে উঠার পর প্রথম দিনের ছবি।যেদিন দুই বেনী করেছিল সে। আবার কখনো দিলশাদের কোলে ঘুমন্ত ছোট্ট নৈঋ, কপালে কৌটোভরা ঘামের রেখা।কৃষ্ণচূড়ার নিচে বসে ছবি আঁকা নৈঋ, সাদা জামা আর ক্যানভাসে লাল রঙ।সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়িয়ে একা, ঢেউয়ের দিকে তাকিয়ে থাকা এক কিশোরী—যার পেছনে ঝাঁকড়া চুল বাতাসে উড়ছে।

দিলশাদের ঠোঁটে হাসি ফুটে উঠেছে। সে দুই হাতে নিজের চুলগুলো ঠিক করলো। সে মিথ্যে বলেনি।নির্জনাকে তার ভালো লাগে।

💞💞"ভালোবাসা হলো এমন এক অনুভূতি যা দেখা যায় না ছোঁয়া যায় না
—কেবল হৃ'দয় দিয়ে অনুভব করা যায়-
💗🥀"

💖💖"তুমি আমার জী'বনের সেই মানুষ যার সাথে কাটানো প্রতিটা মু'হূর্ত স্ব'প্নের মতো সু'ন্দর-💗🥀"

❤️‍🩹❤️‍🩹"ভালোবাসা মানে একস'ঙ্গে থাকার প্রতি'শ্রুতি সুখে-দুঃখে হাত না ছাড়ার অ'ঙ্গীকার-💗🥀"

💑 💑"তোমার একটি হাসি আমার দিনের সব ক্লা'ন্তি দূর করে দেয়-💗🥀"

🌙🌙"তুমি আমার আকাশের চাঁ'দ আমার জী'বনের আলো আমার হৃ'দয়ের স্প'ন্দন-💗🥀"

💝💝"ভালোবাসা কখনো দূ'রত্ব বোঝে না, শুধু বোঝে হৃ'দয়ের টান-💗🥀"

🥰🥰"তোমার ভালোবাসার ছোঁয়ায় আমার পৃ'থিবী বদলে যায় যেন এক নতুন সকাল জ'ন্ম নেয়-💗🥀"

❤️❤️"ভালোবাসা হলো দুটি আ'ত্মার একত্রে পথচলা যেখানে একে অপরের সুখই সবচেয়ে বড় আনন্দ-💗🥀"

🖤🖤"বেঁ'চে থাকুক পৃ'থিবীর সকল ভালোবাসা!

21 m ·Translate

AFace1 লাইক, কমেন্ট, পোস্ট করে ইনকাম করুন।
এই ভিডিওটি যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

1 h ·Translate

আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

image
1 h ·Translate

যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

1 h ·Translate

যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.