#

‘ আমার সৌভিক কোথায়? ’

‘ এমন করে কেউ? তুমি পড়াটা কমপ্লিট করলেই আমরা সৌভিককে ফোন করবো। ’

সিন্ডারেলা মানতে নারাজ। সৌভিক গতকাল ওর সাথে দেখা করতে আসেনি। শুধু ফোনে একবার কথা বলেছিল। ওর সেজন্য মন খারাপ। পড়াটা কমপ্লিট করে রাখেনি। যার জন্য ম্যাডাম উচ্চস্বরে ওকে কথা শুনালেন। মনি অবুঝ সিন্ডারেলাকে মানাতে না পেরে সৌভিককে কল করলেন। রিসিভ করতেই সিন্ডারেলা মোবাইল কানে নিয়ে ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে উঠলো। যেন সৌভিককে শুনিয়ে কাঁদবে বলেই ও কান্না চেপে রেখেছিল। সৌভিক উদ্বিগ্ন হয়ে উঠলো।

‘ কাঁদছো কেন ফেইরি? ’

স্পিকারে থাকায় মনি সব বললেন। সৌভিক বুঝাতে চেষ্টা করলো সিন্ডারেলা যাতে হোমওয়ার্ক কমপ্লিট করে তাহলে ম্যাডাম বকবে না। সিন্ডারেলা সেটা কানে না নিয়ে বলল,

‘ তুমি গতকাল আসোনি কেন? আমাকেও ফোনও করোনি। আজও এখনো আসোনি। তুমি বুঝি আমাকে ভুলে গেছো, মা বাবার মতো? ’

সৌভিকের কথাটা কলিজায় লাগলো।

‘ কখনোই না ’

‘ তবে আসোনি কেন? আমি তোমার কাছে থাকলে কি হয়? এখানে আমার ভালো লাগে না। আমার ভয় করে, অনেক ভয় করে। ’

সৌভিক বলল,

‘ আমি আসছি মৌন, তোমাকে সন্ধ্যায় এসে এমনি সারপ্রাইজ দিতাম। কিন্তু বুঝলাম সারপ্রাইজ দেওয়ার কারণে তোমাকে আমি কষ্ট দিয়ে ফেলেছি। আমি তোমাকে কষ্ট দিয়ে কখনোই কোনো সারপ্রাইজ দিবো না জান। আমি আসছি, তুমি এভাবে কেঁদো না। ’

‘ তুমি আমাকে নিয়ে যাবে তো? ’

‘ সন্ধ্যায় তোমাকে নিয়ে যাওয়ার অর্ধেক কাজ সম্পন্ন করতাম মৌন। সেটা এখন এসেই করবো। ’

সিন্ডারেলা ফোন রেখে ঠোঁট ফুলিয়ে বসে রইলো।সৌভিক আসার আগ পর্যন্ত মনি ওর পাশে বসে রইলেন। মেয়েটাকে তাকে ঠিক ততোটা আপন ভাবেনি। ভাবার কথাও নয়। মেয়েটি সৌভিককে ছাড়া আর কাউকে নিয়েই ভাবে না।

কুসুম দরজা খুলে দিতেই সৌভিক ঝড়ের গতিতে রুমে এলো। শার্টটা ঘামে ভিজে শরীরের সাথে মিশে গেছে। সিন্ডারেলা দৌড়ে এসে ঝাপিয়ে পড়লো বুকে। সৌভিকের গালে কামড় দিয়ে রাগ প্রকাশ করলো। সৌভিক হাতের ভারী শপিং ব্যাগ গুলো কোনোমতে নিচে রেখে সিন্ডারেলাকে জড়িয়ে ধরলো। মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল,

‘ শান্ত হও, শান্ত হও। এইতো আমি। ’

সিন্ডারেলার নীল চোখ দুটি অশ্রুতে টলমল। সমুদ্রের মতো চোখ দুটোতে সৌভিক নিজের সর্বনাশ দেখতে পায়। অবশ্য ওর সর্বনাশ হতে বাকিও নেই। এই মেয়েটার একটু মন খারাপও সৌভিকের উপর অনেক প্রভাব ফেলে। মনে হয় কেউ কলিজাটা ছিঁড়ে নিয়ে যাচ্ছে।

‘ তুমি গতকাল আসোনি কেন? ’

সৌভিক শপিং ব্যাগ গুলো হাতের ইশারায় দেখালো।

AFace1 লাইক, কমেন্ট, পোস্ট করে ইনকাম করুন। এই ভিডিওটি যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

পরিশেষে বলা যায়, লজ্জাপতি গাছ একটি সহজলভ্য অথচ অত্যন্ত কার্যকর ঔষধি উদ্ভিদ। তবে যেকোনো প্রাকৃতিক ঔষধ ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উত্তম, বিশেষ করে যদি আপনি আগে থেকে কোনো ওষুধ সেবন করেন বা স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে।

ত্বকের নানা রোগ যেমন একজিমা, চুলকানি বা ফোঁড়ার ক্ষেত্রেও এটি দারুণ কার্যকর। পাতার পেস্ট করে আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করলে আরাম মেলে এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কমে যায়।

এই গাছ ঘুমের সমস্যা ও মানসিক অস্থিরতা কমাতেও সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, লজ্জাপতিতে সেরোটোনিন নামক উপাদান থাকে, যা মস্তিষ্কে প্রশান্তি এনে ঘুমের উন্নতি ঘটায়।

হেমোরয়েড বা অর্শ রোগেও লজ্জাপতির ব্যবহার রয়েছে। এর শুকনো পাতা গুঁড়ো করে দিনে দু’বার খেলে রক্ত পড়া কমে এবং ব্যথা উপশম হয়। একইসাথে, পাইলসের জন্য বাহ্যিক প্রয়োগেও পাতার পেস্ট ব্যবহার করা হয়।