লাভ স্টোরি

ঢাকার ব্যস্ত রাস্তায়, ধোঁয়া আর হর্নের শব্দে ভরা এক দুপুর। তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই গরমে ফ্যান ছাড়া এক মুহূর্তও থাকা দায়। আনিকা হেঁপে উঠেছিল—বাসার পুরোনো ফ্যানটা একেবারে বিকল। হন্যে হয়ে খুঁজতে খুঁজতে সে ঢুকল এক পুরোনো ইলেকট্রনিকস দোকানে—“জাহাঙ্গীর ইলেকট্রিক সেন্টার”।

দোকানের ভিতরে বেশ ঠান্ডা। দোকানের কোণে একটা পুরোনো হিটার নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল একজন যুবক—চোখে চশমা, পরনে হালকা নীল শার্ট, হাতে মোবাইল। আনিকা তাকে প্রথমে তেমন লক্ষ্য করেনি, কিন্তু হিটারটা নেড়েচেড়ে দেখে যখন সে দোকানদারকে বলল, “ভাই, পাঁচশ ওয়াটের চাই, কম হলে চলবে না,” তখন আনিকার কানে বাজল সেই শব্দ—"পাঁচশ ওয়াট"।

আনিকা হেসে ফেলল। “এই গরমে হিটার?”

যুবকটা ফিরে তাকাল। একটু থমকে গিয়ে বলল, “এটা আমার দাদার জন্য। গ্রামে। ওখানে এখনো ঠান্ডা পড়ে।”

হাসিটা থামিয়ে আনিকা বলল, “তবুও, পাঁচশ ওয়াটের দরকারটা কী?”

ছেলেটা বলল, “ভালোবাসার যেমন গা জ্বালানো ক্ষমতা থাকে, হিটারেরও তো থাকা উচিত, তাই না?”

এই এক লাইনে যেন কিছুর শুরু হয়ে গেল। কথায় কথায় জানা গেল ছেলেটার নাম রায়ান। ইঞ্জিনিয়ার, একাই থাকে মিরপুরে। দুইজনের মাঝে কথা বাড়তে লাগল—ফ্যান, হিটার, তাপ, ঠান্ডা পেরিয়ে জীবন, পছন্দ, পুরোনো সিনেমা আর ভালোবাসার গল্পে।

দোকানদার মাঝেমাঝে বিরক্ত মুখে বলছিল, “আপনারা কি কিছু কিনবেন নাকি গল্প করবেন?”

রায়ান হেসে বলল, “গল্পটাই তো কিনতে এসেছি। পাঁচশ ওয়াটের প্রেমের গল্প।”

সে দিন দোকান থেকে আনিকা ফ্যান কিনে ফিরেছিল, আর রায়ান হিটার। কিন্তু তারা দুজনেই বুঝেছিল—আজ তাদের মধ্যে কিছু একটা জ্বলে উঠেছে। কিছুটা হিটারের মতো, কিছুটা ফ্যানের হাওয়ার মতো—উষ্ণ আর প্রশান্ত।

পরের সপ্তাহগুলোয় তারা আরও দেখা করত। কখনো বইমেলায়, কখনো চা-স্টলে, কখনো স implied্তাহের দুপুরে গুলশানের লেকের ধারে। প্রতিবারই রায়ান হাসতে হাসতে বলত, “এই লাভ স্টোরিটা একদম পাঁচশ ওয়াটের! কম তাপে টিকে ন

একদিন রায়ান জানাল, সে বিদেশে চাকরির অফার পেয়েছে—জার্মানি যাচ্ছে এক বছরের জন্য। আনিকার চোখে জল আসার আগে সে বলল, “আমার কাছে তুই ওই পাঁচশ ওয়াটের উষ্ণতা। দূরে গেলেও আলো নিভবে না।”

এক বছর পর, রায়ান ফিরে এলো। আনিকা তাকে বিমানবন্দরে নিতে গিয়েছিল। হাতে একটা ছোট হিটার—পুরোনো, ধূলো ধরা, কিন্তু এখনো চালু হয়। আর রায়ানের হাতে ছিল একটা ছোট টেবিল ফ্যান।

দুজনেই হেসে উঠল। ভালোবাসা ঠিকই জ্বলে আছে—উষ্ণ, প্রবল, আর স্থায়ী।

মানুষ সামাজিক জীব। সামাজিক হতে হলে পরোপকারী হতে হবে। একজন অন্যজনের বিপদে এগিয়ে আসা, পাশে দাঁড়ানো, সহমর্মী হওয়া, শুধু নিজের সুখের জন্য ব্যস্ত না হয়ে অন্যের মুখে হাসি ফোটাতে চেষ্টা করাই মনুষ্যত্ব।

পরোপকার মানবজাতির শ্রেষ্ঠত্বের অলংকার। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি। মানবজাতির কল্যাণের

এটি সম্পর্ককে করে উষ্ণ, প্রাণবন্ত ও আশাবাদী। হলুদ ভালোবাসা মনকে ভরিয়ে দেয় হাসি আর ইতিবাচকতায়, আনে নতুন সূচনা ও বিশ্বাসের বার্তা, যা চিরকাল হৃদয় আলোকিত করে রাখে।" (≈300 character)

এটি সম্পর্ককে করে উষ্ণ, প্রাণবন্ত ও আশাবাদী। হলুদ ভালোবাসা মনকে ভরিয়ে দেয় হাসি আর ইতিবাচকতায়, আনে নতুন সূচনা ও বিশ্বাসের বার্তা, যা চিরকাল হৃদয় আলোকিত করে রাখে।" (≈300 character)

এটি সম্পর্ককে করে উষ্ণ, প্রাণবন্ত ও আশাবাদী। হলুদ ভালোবাসা মনকে ভরিয়ে দেয় হাসি আর ইতিবাচকতায়, আনে নতুন সূচনা ও বিশ্বাসের বার্তা, যা চিরকাল হৃদয় আলোকিত করে রাখে।" (≈300 character)

এটি সম্পর্ককে করে উষ্ণ, প্রাণবন্ত ও আশাবাদী। হলুদ ভালোবাসা মনকে ভরিয়ে দেয় হাসি আর ইতিবাচকতায়, আনে নতুন সূচনা ও বিশ্বাসের বার্তা, যা চিরকাল হৃদয় আলোকিত করে রাখে।" (≈300 character)