ই মায়াকে ওই বেঞ্চ এ শুইয়ে দিলো। অনেকক্ষণ থেকে কোলে নিয়ে আছে, তাই ওর পুরো হাত ব্যাথা করছে।
মায়া অজ্ঞান আর আরমানের কোলে থাকাই ওর গায়ের ওরনা কিছুটা এলোমেলো হয়ে গেছে। সামনে একজন বয়স্ক লোক। তাই আরমান কিছুটা সংকোচ নিয়েই মায়ার গায়ের ওরনাটা কিছুটা টেনে নামিয়ে দিলো। তারপর লোকটার দিকে ঘুরে বলল, “আসলে আমাদের গাড়িটা মাঝ রাস্তায় খারাপ হয়ে গেছে। আর ও বজ্রপাতের ভয়ে জ্ঞান হারিয়েছে।”
লোকটি:- “ওহ বুঝতে পেরেছি। তা ও তোমার বউ বুঝি?”
আরমান এই কথার প্রতিউত্তরে কি বলবে বুঝতে পারলো না। তখন একজন মধ্য বয়সী মহিলা এগিয়ে এসে তাড়াতাড়ি বলল, “কি সব বলছো তুমি? ওদের দেখেই তো বোঝা যাচ্ছে যে ওরা স্বামী স্ত্রী। আর তুমি প্রশ্ন করছো?”
তারপর আরমানের দিকে তাকিয়ে মহিলাটি বলল, “তুমি ওকে এখানে শোয়ালে কেন বাবা? ভিতরে নিয়ে আসো। ওই টুকু বেঞ্চ থেকে পড়ে যাবে মনে হচ্ছে। তুমি ওকে ভিতরে নিয়ে আসো।”
মহিলাটির কথায় আরমান আবারো মায়াকে কোলে তুলে নিলো, তারপর মহিলাটিকে অনুসরণ করে এগিয়ে গেলো ভিতরের দিকে। একটা ছোট্ট ঘরে একটা ছোট্ট কাঠের চৌকি। তাতে মহিলাটি তাড়াতাড়ি করে একটা কাঁথা বিছিয়ে দিলো, সাথে একটা বালিশও দিলো। এটা দেখে আরমান বলল, “আন্টি ও তো ভিজে গায়ে আছে, কাঁথা ভিজে যাবে তো।”
মহিলাটি:- “ওহ কোনো ব্যাপার না বাবা। তোমরা বড়ো ঘরের মানুষ, শুধু চৌকিতে শোয়ালে গায়ে হাতে ব্যাথা করবে। তুমি চিন্তা করো না, জামা কাপড় পাল্টানোর পর আবারও আমি কাঁথাটা পাল্টিয়ে দেবো। তুমি শুইয়ে দাও তোমার বউকে।”
আরমান আর কিছু না বলে মায়াকে শুইয়ে দিলো। মহিলাটি বলল, “ওর তো জামা গুলো পাল্টাতে হবে বাবা। না হলে ঠাণ্ডা লেগে যাবে।”
আরমান:- “হ্যাঁ আন্টি। প্লিজ ওর এই ভিজে জামাটা একটু পাল্টানোর ব্যবস্থা করুন।”
মহিলাটি:- “হ্যাঁ বাবা আমি দেখছি। তুমি আসো তোমারও তো জামা প্লাটাতে হবে। তুমিও ভিজে গেছো।”
(পরবর্তী পর্ব এই পেজে পেয়ে যাবেন)
https://www.facebook.com/share/19BxWdTt3h/
আরমান বেরিয়ে এসে বারান্দায় দাঁড়ালো। দুই কামরার মাটির বাড়ি। ঘরে গুলো ছোটো ছোটো। বাড়িটির পিছনের দিকে দোকানটি। আর সামনেই রোড। বাড়ি যাওয়া আসার এই রাস্তায় এই দোকানটিকে প্রতিদিন দেখে আরমান। আশেপাশে কোনো ঘর বাড়ি নেই। এরই মধ্যে দূরে জোড়ে কোথাও বজ্রপাত হলো তাই কারেন্ট চলে গেলো। সাথে সাথে অন্ধকার হয়ে গেলো চারিপাশ। লোকটি এবং মহিলাটি তাড়াতাড়ি করে হ্যারিকেন জালালো দুটো। একটা হ্যারিকেন নিয়ে মহিলাটি ছুটে গেলো মায়া যেই ঘরে আছে সেই ঘরে।
লোকটি জানালো তাদের নাকি বস্তির ভিতরে আগে বাড়ি ছিল। আর এই দোকান অনেক আগেই করেছিল। তাদের এক মেয়ে ছিলো, কঠিন রোগ হয়েছিল তার। টাকা পয়সার অভাবে ঠিক মতো চিকিৎসা করাতে পারেনি। তাই মারা গেছে। জীবন তো কারোর জন্য থেমে থাকে না। জীবনে চলতে গেলে টাকার দরকার। উনি ইনকাম করা বন্ধ করে দিলে তো আর পেট চলবে না। তাই উনি দোকানে আসলে বউ তার মেয়ের শোকে সারা দিন কান্না করতো। বউকে বাড়িতে একা রেখে এসেও দোকানে তার মন টিকতো না তাই এই কারণে এই ফাঁকা জায়গা এই ছোট্ট বাড়িটা বানানো।
মহিলাটি মায়াকে যেই ঘরে রাখা হয়েছে সেই ঘর থেকে বেরিয়ে অন্য ঘরে গিয়ে একটা নতুন লুঙ্গি গেঞ্জি আর একটা শাড়ি নিয়ে এসে আরমানের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল, “এই নাও বাবা ভিজে জামা কাপড় গুলো পাল্টে এগুলো পড়ে নাও। তুমি বলছি বলে আবার রাগ করো না, বুঝতে পারছি বড়ো ঘরের মানুষ তোমরা। তবুও তুমি বলছি কারণ তোমরা আমাকে ছেলে মেয়ের বয়সী।”
আরমান তৎক্ষণাৎ বলে উঠলো, “আরে আন্টি, তুমিটাই ঠিক আছে। ওহ কোনো ব্যাপার না। আমি রাগ করছি না। বরং ভালো লাগছে।”
মহিলাটি মুচকি হেসে বলল, “তোমরা বড়ো ঘরের হলে কি হবে মনটা কিন্তু অনেক ভালো।”
আরমান কিছুটা বোকা হেসে লুঙ্গি গেঞ্জি এবং শাড়িটা দেখিয়ে বলল, “কিন্তু আন্টি আমি তো শাড়ি পড়াতে পারি না। আর এই লুঙ্গিও পড়তে পারি না।”
মহিলাটি:- “আরেহ দেখছো! আমিও না, হ্যাঁ সেটাই তো তুমিই বা কিভাবে শাড়ি পড়াতে পারবে? কোই আমাকে দাও আমিই পড়িয়ে দিচ্ছি। আর তোমার চাচা দেখিয়ে দেবে কিভাবে লুঙ্গি পড়তে হয়। আসলে তোমার চাচি লুঙ্গি ছাড়া তো আর কিছু পড়ে না তাই এইসব প্যান্ট আমাদের ঘরে নেই তাই কিছু মনে করো না বাবা।”
আরমান:- “না আন্টি আমি কিছু মনে করছি না। আপনি যান, ওর জামাটা পাল্টে দিন।”
মহিলাটি চলে গেলো। আর এদিকে আরমান শার্ট কোর্ট খুলে গেঞ্জি পড়ে নিলেও লুঙ্
Suraiya Soha
Ta bort kommentar
Är du säker på att du vill ta bort den här kommentaren?