ঝালে ঠোঁট জ্বলে যাচ্ছে অনুর। চোখ থেকে অঝরে পানি পরছে। সিড়ি বেয়ে ঝাপসা চোখে কারো রুমের দরজার কাছে আসতেই ওনুর ডান হাত টেনে কেউ রুমে নিয়ে এসে দরজা লাগিয়ে দেয়।
অন্ধকার হলেও জানালা আর বারান্দা ভেদ করে আসা চাঁদের আলোয়
অনু স্পষ্ট বিহান কে দেখতে পাচ্ছে। সাদা টি-শার্ট গায়ে সুদর্শন বিহান অনুর অশ্রুসিক্ত চোখের দিকে কিছু সময় তাকিয়ে থেকে
অনুর কোমর শক্ত করে চেপে ধরে ঠোঁটে চুমু খেতে লাগে। অনু অপ্রস্তুত কিছুই বুঝে উঠলো না।
শুধু বিহান চুমু খাচ্ছে আর অনুর ঝাল কমে আসছে এটাই অনু বুঝতে পারছে। একটা সময় অনু শিহরণ অনুভব করে শরীরে।
ধিরে ধিরে নিজের দুহাতে বিহানের গলা জড়িয়ে ধরে। এতে জেনো বিহানের চুমু খাওয়ার গতি বেড়ে গেলো।
প্রায় ২০ মিনিট পর অনু বিহান কে সরাতে চাইলে বিহান দেওয়ালের সাথে আরো চেপে ধরে অনুকে।
ঠোঁট ছেড়ে বিহান ঘনঘন নিশ্বাস ফেলছে। অনু চোখ বন্ধ করে আছে। বিহান অনুর কাধ থেকে হাল্কা জামা সরিয়ে
পাগলের মতো চুম্বন করলো। অনু এবার দিক শূন্য হয়ে রইলো। অনুর পুরো দেহ কাপছে। বিহানের প্রতিটা নিশ্বাস অনুকে পাগল করে দিচ্ছে।
বাইরে থেকে কাজিন রুহির কথায় অনু ভয় পেয়ে গেলো। বিহান কে মৃদু ধাক্কা মেরে অনু জামা ঠিক করতেই বিহান অনুর মুখ চেপে ধরে নিচু কণ্ঠে বলে,
এখন বাইরে যাবি না। আগে আমি বাইরে যাবো তার পর আমি ডাকলে তুই নিচে নামবি।অনু শুধু মাথা নাড়ালো। বিহান আর কিছু না বলে অনুর ঠোটে আবার ও একটা চুমু খেয়ে গাল ফুলিয়ে নিশ্বাস নিলো।
গায়ের টি-শার্ট টেনে ঠিক করে দরজা খুলে রুহি কে দেখতে পায়।
বিহান কে দেখেই রুহি একটু রোমান্টিক লাজুক সিনে চলে যায়।
লাজুক হাসি দিয়ে বলে,
আপনি অনু কে দেখেছেন? অনেক সময় ধরে ডাকলাম অনু কে।
বিহান হাল্কা কেশে বলে,
আমি জানি নাকি অনু কোথায়? নিচেই হবে ভালো করে দেখো রুহি।
রুহি মুচকি হেসে বলে,
আপনি ও আসুন আমার সাথে।
বিহান না করতে যেয়ে ও না করলো না। এই সুযোগ অনু রুম থেকে বেড় হওয়ার। বিহান রুহির সাথে নিচে হল রুমে চলে গেলো।
যেখানে ২০ টা বোম্বাই মরিচের ফুচকা চ্যালেঞ্জে জিতে অনুর এই অবস্থা। অনেক মাস পর সব মামাতো- ফুপাতো খালাতো ভাই বোনরা
আত্মীয়রা এক হয়েছে। সব উচ্ছ্বাস আর আনন্দে ভর পুর। আর এই যে বিহান, বিহান আহমেদ। অনুর মায়ের বান্ধুবীর ছেলে।
অনুর মায়ের চাচাতো ভাই কে বিয়ে করে বিহানের মা। দীর্ঘদিন পর আজ ৩ দিন হলো সবাই ছুটি কাটাতে কিছুটা দূরে আসা।
আর এই যে অনুর মামাতো বোন রুহি বিহানের পিছনে কবে থেকে লেগেই আছে। কিন্তু বিহান সাহেব তার হার্ট অনুকে সেই ছোট বেলাতেই দিয়ে বসেছে।যার বহিঃপ্রকাশ এখন করছে। অনু নিস্তব্ধ হয়ে আছে। জানালা দিয়ে শিতল বাতাস বয়ে আসছে।
অনু বুঝতে পারছে না বিহান কী করলো এটা! সেই ছোট থেকেই বিহানের প্রতি একটা দুর্বলতা আছে অনুর। বিহান একজন হার্ট সার্জেন। দেখতে সুদর্শন ও অনেক।
অনুর সব মেয়ে কাজিন গুলোই বিহানের জন্য পাগল। তেমনই বিহানের রাগ কে ও মারাত্মক ভয় পায় সবাই। সেই বিহান কিনা অনুকে চু*মু খেয়েছে?
পারিবারিক ভাবে যতবার দেখা হয়েছে বিহান অনুকে কড়া শাষণেই রেখেছে। কোনো ছেলে বা বন্ধুর সাথে ও অনুরকে মিশতে দেয়নি।
সব সময় দূর থেকে ও অনুকে কড়া নজরে রেখেছে বিহান। কিন্তু এবার অনুর প্রতি বিহানের ভালবাসা দেখে অনু নিজেই হতভাগ।
অনুর হার্টবিট কাপছে এখনো। অনু বুকে হাত চেপে ধরে অস্থির কন্ঠে বলে,
বিহান ভাইয়া, তুমি এটা কী করলে!
এই অনু কই তুই?
বিহানের ডাকে অনু কেপে উঠে। দ্রুত পা চালিয়ে রুম থেকে বেড় হয়ে নিচে নামে। সবার মাঝে বসে চা খাচ্ছে বিহান।
অনু একবার সেদিকে তাকিয়ে চোখ নামিয়ে মায়ের কাছে যায়। অনুর মা মেয়ের দিকে তাকিয়ে বলে,
আমি ঠিক আছি আম্মু। তুমি আমাকে একটু চা দাও। চা খেয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করবো।
বিহান অনুর দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছে। অনু বেশ অস্থিরতা অনুভব করছে। নিজেকে স্বাভাবিক রেখে অনু বলে,
মাথা ধরেছে আম্মু।অনুর মা কথা বাড়ালো না। চায়ের কাপ হাতে পেয়ে ফ্লোরে বসে সোফায় বসে থাকা মায়ের কোলে মাথা রেখে অনুর চায়ে চুমুক দিলো।
কিছুটা দুরেই বিহান বসে গল্প করছে। অনুর খালাতো ভাই রুবেল বিহান কে এক প্রকার চেপে ধরে বলে,
এই বিহান ভাই, চলো কাল আমরা ঘুরতে যাই।
কোথায় যাবে ভাই?
রুবেল সহ সবাই ঠিক করে অনুর নানুর বাপের বাড়ি যাবে। বেশ অনেক বছর কেউ সেখানে যায়নি। অনুর মা কে বিহান বলে,
আন্টি তুমি কী বলো?
অনুর মা অনুর মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলে,
অনুর যেহেতু আপত্তি নেই তখন চলো সবাই যাই।
অনু ঘুমের কথা বলে রুমে চলে আসে। বিহানের সামনে থাকা জেনো দায়। অনু বারান্দায় এসে চুপ মেরে দাঁড়িয়ে আছে দেওয়ালে পিঠ লাগিয়ে।
05:55
বুকের ভিতর কেমন করছে। হাজার হোক ক্রাশ চুমু খেয়েছে। সব সময় বিহানের রাগ আর ধমক খেয়ে এসেছে কিন্তু আজ প্রথম বার ভালবাসা পেয়েছে।
অনু চোখ বন্ধ করে সেই সময়টা আবার ও মনে করতে লাগে। হঠাৎ মুখের উপর কারো গরম নিশ্বাস অনুভব হতেই অনু চোখ খুলে একটা শকড খেলো।
বিহান অনুর উপর ঝুকে আছে।
অনুর গলা শুখিয়ে এলো। বুক ধড়ফড় করছে। বিহান নরম গলায় বলে,নিচে মিথ্যে কেনো বললি?
অনু কিছু সময় তাকিয়ে থেকে অনেক কষ্টে বলে,......
গল্প : তোমার_আসক্তি
ফাহিম চৌধুরী
Suraiya Soha
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?