হয়েছে। আর আবির এমনিতে ওদের সবার সাথে বন্ধুসুলভ আচরণই করে। যদি কেউ কোনো ভুল করে তবেই আবির তার সাথে রুক্ষ ব্যবহার করে তাছাড়া না।
আর আবিরের সাথে মায়াকে দেখে ওদের দুজনকে নিয়ে অফিসে গসিপও শুরু হয়ে গেছে। কেউ কেউ তো বলছে ওই মেয়েটা হয়তো ওদের আবির স্যারের গার্লফ্রেন্ড। আর উনার এই গার্লফ্রেন্ড এর জন্যই হয়তো ওদের আবির স্যার অন্য কোনো মেয়ের দিকে ভালো ভাবে তাকায় না।
আবির গিয়ে আরমানের কেবিনে নক করলে আরমান ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দেয়। আরমান ওদের দুজনকে আগেই দেখেছে আস্তে। কারণ আরমানের কেবিনের সামনে টা কাঁচের তৈরি। আর তাই পুরো ফ্লোরটা ওর নিজের চেয়ারে বসেই দেখতে পাই ভেতর থেকে, বাইরে কি কখন কি চলছে। আর এই কারণেই ওই ফ্লোরের কেউ কাজে ফাঁকি দিতে পারে না। কারণ ওরা সবাই খুব ভালো করেই জানে যে ওদের বসের নজর সব সময় ওদের উপরেই আছে। আরমান কাজের ব্যাপারে ভীষণ স্ট্রিক্ট। কাজে ফাঁকি দেওয়া আরমান একদম পছন্দ করে না। ওর ভয়ে পুরো অফিস তটস্থ হয়ে থাকে। কারণ আরমান সব সময় গম্ভীর ও রাগী গলায় কথা বলে। যেনো মেজাজ সব সময় মাথার উপড়েই আছে। তবুও এই গম্ভীর কাঠখোট্টা মানুষটার জন্য এই অফিসের অনেক মেয়ে পাগল।
আবির আর মায়া ভেতরে ঢুকতেই আরমান গম্ভীর গলায় বলল, “10 মিনিটস লেট।”
আবির ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলল, “আসার সময় হসপিটালে গিয়েছিলাম মায়ার বাবাকে দেখতে তাই লেট হয়ে গেছে।”
বলতে বলতে আরমানের সামনে থাকা চেয়ারে গিয়ে বসলো আবির। মায়া তখনো দাঁড়িয়ে আছে। আরমান আড় চোখে একবার তাকালো মায়ার দিকে। মায়ার চোখ মুখ এখনো ফুলে আছে, কান্না করার ফলে। চোখ দুটো এখনো লাল হয়ে আছে। আরমান মায়ার এই অবস্থা দেখে কিছু জিজ্ঞাসা করবে ভেবেও কি জিজ্ঞাসা করবে সেটাই বুঝতে পারলো না। তাই আবিরকে জিজ্ঞাসা করল, “কেমন আছে আঙ্কেল এখন?”
আবির একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো, “কোনো ইমপ্রুভমেন্ট নেই। অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে।”
আবিরের এই কথায় আরমান বুঝলো মায়ার মুখের এই অবস্থার কারণ। ও নিজেও একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মায়ার উদ্দেশ্য বলল, “দাও তোমার ডকুমেন্টস গুলো।”
মায়া ওর ব্যাগে থেকে সমস্ত ডকুমেন্টস বের করে আরমানকে দিলো। আরমান সমস্ত ডকুমেন্টস, কোর্সের সার্টিফিকেট দেখলো। সবকিছুই ঠিক ঠাকই আছে। আগের কোম্পানিতেও মায়ার কাজের রিভিউ ভালো। মায়া নিজের কিছু করা ডিজাইনও সাথে করে নিয়ে এসেছিল সেগুলোও দেখালো। সবকিছুই ঠিক আছে, একদম প্রফেশনাল ডিজাইনারদের মতোই। কিন্তু মায়াকে দেখলে বোঝাই যাবে না যে ও এতো ভালো একজন ডিজাইনার। আরমান মায়াকে পেপার পড়ে নিয়ে সাইন করতে বলল। এবং অফিসের সব কিছু রুলস গুলোও পড়ে নিতে বলল। মায়া দেখলো কাগজে লেখা আছে, ও কাজে জয়েন করলে এক বছরের আগে এই কাজ ছাড়তে পারবে না। এটাই এখানকার নিয়ম। সব কিছু পড়ে মায়া আবিরের দিকে তাকালে, আবির বুঝলো মায়ার মনের কথা। আবির বলল, “এগুলোই এখানকার নিয়ম। তুমি জয়েন করলে এক বছরের আগে এই জব ছাড়তে পারবে না। আর আপাতত তোমাকে মাসিক 60,000 বেতন দেওয়া হবে। পড়ে বাড়তে পারে। আর যেহেতু মিস্টার ড্যানিয়েল শুধু মাত্র তোমার বানানো ডিজাইন চাই তাই তোমাকে এই প্রজেক্টের জন্য হেড ডিজাইনার বানানো হবে।”
মায়া আবিরের বলা বেতনের পরিমাণ আর ওকে হেড ডিজাইনার বানানো হবে শুনে ভীষন অবাক হলো। ও এতোটাও আশা করেনি। ও কি সত্যিই পারবে এতো বড়ো কাজের দায়িত্ব নিতে? এই নিয়ে চিন্তিত হলো মায়া। তখন পেপারটা ও হাতে ধরে আছে সাইন করেনি।
আরমান মায়ার অবাক ও চিন্তত মুখ দেখে বলল, “কি হলো মিস মায়া? ভয় লাগছে? পারবে তো এতো বড়ো কাজের দায়িত্ব নিতে। এখন কিন্তু কিছু করার ও নেই, মিস্টার ড্যানিয়েল কিন্তু বলেই দিয়েছে তোমার ডিজাইন ছাড়া অন্য কারোর ডিজাইন নেবেন না।”
মায়া এই কথার প্রতিউত্তরে কিছু বলল না। পেপার টা টেবিলে রেখে সাইন করে বুঝিয়ে দিলো ও এই দায়িত্ব নিতে রাজি। পেপারে সাইন করা হয়ে গেলে মায়া পেপারটা আরমানের দিকে এগিয়ে দিলো।
আবির:- “Welcome to our office miss Maya Talukder. আজ থেকে তুমি আমাদের কম্পানির একজন মেম্বার হলে।”
ঠিক তখনি আরমানের কেবিনে নক হওয়ার আওয়াজ হলো। আরমান ভেতরে আসার অনুমতি দিলে একজন ছিমছাম গড়নের 24-25 বছর বয়সী ছেলে রুমে প্রবেশ করলো। আবির তাকে দেখে বলে উঠলো, “ওহ মিরাজ তুমি এসেছো! আসো আসো। তোমার অপেক্ষাতেই ছিলাম আমি।”
তারপর আবির আরমানকে উদ্দেশ্য করে বলল, “এই হচ
Suraiya Soha
Verwijder reactie
Weet je zeker dat je deze reactie wil verwijderen?