লে আরিশ আর কারো কোন কথা না শুনে গলা ছেড়ে জুথিকে ডাকতে,জুথি ফারি গল্প রেখে দুজন দুজনার দিকে তাকিয়ে বললো,
‘এখন আবার ডাকছে কেন?
‘আমি কিভাবে বলবো? তুইও যেখানে আমিও তো সেখানে।
‘আমি যাব না বাবা। মাথা দু’দিক নাড়িয়ে।
‘তুই থাক আমি যাই। তুই বরং এখানে বসে থাক ভাই এসে তোকে কোলে করে নিয়ে যাবে আনে। শয়তানি হেসে,
‘ফারিইই,
‘কি? তুই জানিস না ভাইয়ের স্বভাব? ভাই নিজে ডেকেছে,সেখানে তুই যাবি না। তাহলে তো তোকে কোলে করেই, নিবে তাই না?
ফারির ঠ্যাস মারা কথায় জুথির মুখটা ভেজার করে বললো,
‘দূর *রম্বা, সারাদিন আঠার মত লেগে থাকতে হবে। বলে ফারি, জুথি সিঁড়ি বেয়ে নিচে এসে দেখে শুধু ওরা না ইভা,রোদ পাশাপাশি বাড়ির সবাই পেরায় এক জায়গায়।জুথি সবাইকে এক জায়গায় দেখে এক কিনারে দাঁড়িয়ে বললো,
‘ডেকেছেন কেন?
‘বিয়ে করতে।
‘মানে?
‘কিছু না, এখানে এসে বস। ওর পাসটা দেখিয়ে,গম্ভীর কণ্ঠে।
জুথি কে এক জায়গায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আরিশ ধমকে বললো,
‘এখানে বসতে পারলাম না?
জুথি আরিশের ধমক খেয়ে হালকা কেঁপে উঠে মিনমিন করে বললো,
‘বসছি তো, অসভ্য লোক সবসময় শুধু ধমকে কথা বলে,জুথি মনে মনে এসব বলে ভাংচি কেটে আরিশের পাশে বসতে,আরিশ উঠে দাঁড়িয়ে প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে মাঝারি একটা প্যাকেট বের করে সেটা থেকে ছোট একটা বক্স খুলে দুটো ডায়মন্ড রিং বের করে, জুথির হাতটা নিয়ে অনামিকা আঙ্গুলে একটা রিং পরিয়ে পাশাপাশি প্যাকেট থেকে একটা হীরের বালা বের করে ওর হাতে পরিয়ে দিয়ে বললো,
‘নে,এটা তোর পরীক্ষার গিফট, আর এটা আমার আঙ্গুলে পড়িয়ে দে। বলে অন্য রিংটা ওর সামনে ধরে।
জুথি হাতের রিং ও বালা,টা দেখতে দেখতে বললো,
‘পরীক্ষা তো শেষ, এখন গিফট? যাইহোক আপনাকে ধন্যবাদ।
‘হুম এটা পরিয়ে দে,
‘আপনি পড়ে নিলেই তো পারেন?
ওর কথায় আরিশ রাগি,দৃষ্টি নিয়ে তাকাতে, জুথি আরিশের হাত থেকে রিংটা নিয়ে পড়াতে নিলে আরিশ ওর অনামিকা আঙ্গুলটা সামনে ধরতে জুথি টুপ করে পরিয়ে দিল।জুথি রিং টা পরিয়ে দিতে আরিশ একবার সেটা দেখে, পেপারগুলো ওরদিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,
‘এগুলোতে সাইন কর।
জুথি আরিশের গম্ভীরতা দেখে ভয়ে ভয়ে বললো,
‘এগুলো কিসের পেপার?
‘সাইন করতে বললাম না তোকে? ধমক দিয়ে।
জুথি আরিশের ধমক খেয়ে মাথা নিচু করে বললো,
‘করছি তো, বলে প্রথমের একটা পেপারে সাইন করে আরিশের সামনে দিতে আরিশ বললো,
‘তোকে একটায় সাইন করতে বলছি? সবগুলোতে সাইন কর। আবারো ধমকে।
জুথি আরিশের পরপর ধমক খেয়ে, সবগুলো পেপারে সাইন করে,আরিশের কাছে দিতে আরিশ পেপার গুলো নিয়ে সেগুলোতে সাইন করতে করতে বললো,
‘বয়স কত তোর?
জুথি আরিশের এমন প্রশ্নে মনে মনে বিরক্তি নিয়ে বললো,
‘আপনি জানেন না?
‘তোর থেকে জানতে চাইছি। সই শেষ করে ওর দিকে করা দৃষ্টিতে তাকাতে দেখে জুথি ঢোগ গিলে একবার সবার দিক আড় চোখে তাকিয়ে বললো,
‘এভাবে তাকানোর কি আছে? বলছি তো।
‘হুম,
‘১৬ শেষ হয়ে ১৭ বছর চলছে।
‘ও, তুই তো SSC পরিক্ষা দিয়েছিস, তাহলে বল তো, মেয়েদের কিংবা ছেলেদের বিয়েতে কি বলতে হয়?
জুথি একবার সবার দিক তাকাচ্ছে তো, একবার আরিশের দিকে তাকাচ্ছে,ওর মাথায় আসছে না? আরিশ ভাই সব কিছু জেনে শুনে ওর কাছে জিজ্ঞেস করছে কেন?ও কিছু বলতেও পারছে না, থাপ্পড় খাওয়ার ভয়ে,এসব ভেবে বিরক্তি নিঃশ্বাস ফেলে বললো,
‘এটা কে না জানে? উভয় পক্ষকেই কবুল বলতে হয়।
‘কি বললি? বুঝলাম না।
‘কবুল বলতে হয়।
‘জোরে বল, ভ্রু কুঁচকে।
‘আরে বাবা কবুল, কবুল বলতে হয়।
‘আলহামদুলিল্লাহ। তুই তো বিয়ে সম্পর্কে ভালোই জানিস। যে উভয়পক্ষকে কবুল কবুল কবুল, তিনবার বলতে হয়।—এতোটুকু বলে আরিশ পেপারগুলো গুছিয়ে ফাইলে রাখতে রাখতে বললো,
‘মৌ,তোর কাজ শেষ, তুই তোর রুমে যা। বলে
Suraiya Soha
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?