পড়ায় ভাবনার জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হলো। সাধন ওকে কোলে বসিয়ে রেখেসে। কোলে আটকে রেখেই গাড়ি স্টার্ট দিলো। পুরো ঘটনা আর্শীয়া হতোভোম্বো। কি থেকে কি হলো। তবে সাধন নিশ্চুপ। আর্শীয়া লজ্জা পাচ্ছে, হ্যা ভীষণ লজ্জা পাচ্ছে। লজ্জায় নড়েচড়ে উঠলো। এতে সাধন বোধহয় বিরক্ত হলো,,,,
_উহু আশু, নড়াচড়া করবি না। চুপচাপ থাক।
ব্যাস আর্শীয়ার নড়াচড়া বন্ধ হয়ে গেল। আদুরে বিড়াল ছানার মত ঘাপটি মেরে থাকলো পুরুষালি উষ্ণ ঘামে ভেজা বক্ষে। সাধনের শরীর থেকে আশা পারফিউম আর ঘামের সংমিশ্রনের তৈরী গন্ধটা আর্শীয়ার হৃদয় নিংড়ে নিচ্ছে। চুপচাপ বক্ষের উষ্ণতা অনুভব করতে লাগলো।
কিছুসময় পর গাড়িটা থামলো একটা নির্জন জায়গায়। তবে জায়গাটা খুব সুন্দর। চারিদিকে হরেক রকমের ফুলের ছড়াছড়ি। কি স্নিগ্ধ পরিবেশ। আর্শীয়া চারিপাশ চোখ ঘুরিয়ে দেখলো। নামতে চাইলো উচ্ছসিত হয়ে। তবে বাধ সাধলো পুরুষটি। দুই হাতের বাঁধন আরো শক্ত হলো। আর্শীয়ার হাড়গুলো ভেঙে যাবে এমন। ছটফট করে উঠলো আর্শীয়া। সাধন হটাৎ বলে উঠলো,,,
_তোকে এখানে কেন এনেছি জানিস?
আর্শীয়া দুই দিকে মাথা নাড়ালো। যার মানে সে জানেনা। সাধন ঠোঁট কামড়ে হাসলো। আবারো মুগ্ধ হলো আর্শীয়া লোকটার এই ঠোঁট কামড়ে ধরা হাসি দেখে।
_চুমু খাবো তাই। দায়সারা উত্তর সাধনের।
এদিকে আর্শীয়ার চক্ষু কোটর ছেড়ে বেরিয়ে আসার উপক্রম। সাধনের মুখে এইধরণের কথা মোটেও আসা করেনি আর্শীয়া। লোকটা কি সুন্দর বলে দিল নিজের ইচ্ছেটা। আর্শীয়া লজ্জায় হাঁসফাঁস করে উঠলো। সাধন আর্শীয়র ঠিক কানের কাছে মুখটা নিয়ে বলল,,,,
_একটা শক্তপোক্ত বড় চুমু খাবো। আমার চুমুপিপাসা পেয়েছে।
আর্শীয়া চোখ বুজে ফেলল শক্ত করে। কি নির্লজ্জ কথাবার্তা। আর্শীয়ার শরীরটা মোচড় দিলো। হাতের বাঁধন ছেড়ে বেরোতে চাইলো। মুখ ফুটে কিছু বলতে উদ্যোত হবে তার আগেই মানুষটার চোখের দিকে নজর পড়লো। কেমন মাদকীয় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আর্শীয়া শুষ্ক ঢোক গিললো। লজ্জায় পুরুষটির বুকে মুখ লুকালো। সাধন ঠোঁট কামড়ে পুনরায় হাসলো।
_আমার থেকে পাওয়া লজ্জা ঢাকতে গিয়ে আমার বুকেই মুখ লুকাচ্ছিস। ব্যাপারটা দারুন। তবে চুমু আমি খাবই। আরো অনেক
Suraiya Soha
Ta bort kommentar
Är du säker på att du vill ta bort den här kommentaren?