থেকে তার বোন বড্ড অভিমানী তবে ইভানকে সে অনেক ভালোবাসে। ইভান ও তার ছোট বোনকে জড়িয়ে ধরে বলে -
"- তোর ইভান ভাই ও তোকে অনেক মিস করেছে। আর বিদেশ থেকে তার ছোট বোনের জন্য অনেক সুন্দর সুন্দর গিফট নিয়ে এসেছে। আই রিয়েলি মিস ইউ বোন "।
ইভান আর নাতাশার খুনসুটির মধ্যে তার বাবা এগিয়ে আসে তার কাছে নিজের ছেলেকে এতো বছর পর দেখে শক্ত করে জড়িযে ধরে তাকে। ছেলের সাথে কথা বলার জন্য অনেক চেষ্টা করছে মিলন সাহেব কিন্তু ছেলের জেদের কাছে হার মানতে হয়েছে তাকে। তবে আজ পনেরো বছর পর ছেলেকে দেখে আবেগ সামলে রাখতে পারে নাই। তবে সকলের মধ্যে একজন বাড়ির কোণায় দাঁড়িয়ে দূর থেকে ইভানকে দেখে যাচ্ছে। সে হলো অরুণা বেগম ওনার সাহস হচ্ছে না ইভানের সাথে কথা বলার।
পনেরো বছর যেই ছেলেকে দেখার জন্য সে অপেক্ষা করছে কান্না করছে কথা বলার জন্য হাজার বার ফোন করেছে। আজ সেই ছেলে যখন তার সামনে এসেছে তখন সব কথা যেনো হারিয়ে গেছে মনের মধ্যে ভয় জন্ম নিয়েছে তার। ইভান সবার সাথে কথা বলে বাড়ির ভিতরে ঢুকে তার চোখ যায় এক জায়গায় শান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলার দিকে। ইভান এগিয়ে যায় তার কাছে সামনে গিয়ে একটু ঝুঁকে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে -
"- কেমন আছো আম্মু? বিদেশ থেকে এতোদিন পরে ফিরে এসেছি নিশ্চয়ই খুশি হও নাই? তবে কি করব যেহেতু এই দেশো জন্ম তাই কোনো না কোনো দিন ফিরে তো আসতে হবে "।
অরুণা বেগম বুঝতে পারে তার ছেলের রাগ এখনো এক বিন্দু ও কমে নাই বরং সেটা সময়ের সাথে দিগুণ বেড়ে গেছে। অরুণা বেগম নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে শান্ত গলায় বলে -
"- এখানে খুশি না হওয়ার কি আছে ইভান। তুমি এই বাড়ির ছেলে বিদেশ থেকে পড়াশোনা শেষ করে ফিরে এসেছো এখানে খারাপ কি। আর আমি তোমার মা ছেলে এতো বছর পর ফিরে এসেছে সেটা দেখে অবশ্যই খুশি হওয়ার কথা আমার "।
"- হু সেটা ঠিক তবে তোমার আচরণ দেখে মনে হচ্ছে না। আচ্ছা বাদ দাও তোমার সাথে কথা বলতে আমার ইচ্ছা করছে না। টায়ার্ড আমি তাই রুমে যাচ্ছি "।
ইভান অরুণা বেগমের দিকে আর না তাকিয়ে নিজের রুমের উদ্দেশ্য রওনা দেয়। অরুণা বেগম নিজের চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারে না মিলন সাহেব এগিয়ে আসে আর বলে -
"- অরুণা যার জন্য সারারাত জেগে রান্না করলে তার সাথে একবার ভালো করে কথা ও বললে না। নিজের ভালোবাসা কতদিন লুকিয়ে রাখবে ইভানের থেকে "।
"- ইভান আমার ছেলে মিলন ওর চোখ দেখে বুঝতে পারি ওর মনের মধ্যে কি চলছে। ছোটবেলা কোনো ঘটনা ও এখনো ভুলতে পারে নাই তাই আমার ভালোবাসার কোনো মূল্য ওর কাছে বর্তমানে নাই "।
অরুণা বেগম কথাটা বলে দীর্ঘ শ্বাস ফেলে এরপর নাতাশাকে বলে -
"- ইনায়া কোথায় নাতাশা? ও কি বাড়িতে এখন?
নাতাশা হেঁসে বলে -
"- আম্মু তুমি যে কি বলো ইনায়া কি এই সময় কখনো বাড়িতে থাকে। দেখো গিয়ে অফিসে কোনো জরুরি বিষয়ের মিটিং করছে। অথবা কোনো বিজনেস কোনো কাজ করছে.
অরুণা বেগম কথাটা শুনে হাসে পাশ থেকে মিলন সাহেব বলে উঠে -
"- আজকে নতুন একটা কাজ শুরু হবে কিন্তু কতজন গুন্ডা কাজ হতে দিচ্ছে না। মনে হয় তোমার মেয়ে এখন তাদের পিটাতে গিয়েছে। তুমি ভালো করে যানো অরুণা তোমার মেয়ে লস একদম পছন্দ করে না "।
"- হুম সেটা আর বলতে আজকে যে সেই লোককে কে বাঁচাবে?
অন্যদিকে একজন লোক তার সাথে বেশ অনেক গুন্ডা নিয়ে একটা বিল্ডিং এর মধ্যে অবস্থায় করছে। দড়িঁ দিয়ে বেশ কয়েকজন শ্রমিকে বেঁধে রাখা হয়েছে গুন্ডাদের মধ্যে যে মেইন লিডার ওনি বলেন -
"- এই লিটনের না কথা পরে ও এই জায়গায় কি করে বিল্ডিং ঘরে উঠতে পারে। তোদের মালিকের এতো বড়ো সাহস যে এই লিটেন আদেশ না মেনে কাজ শুরু করে। আজকে তোরা বুঝতে পারবি এই লিটন কি জিনিস? যদি কারো সাহস থাকে তাহলে আমাকে আটকে দেখা?
লিটনের কথাটা শেষ হওয়ার আগে পিছন থেকে একজন শ্রমিক সামনে এগিয়ে আসে যার মুখ দেখা যাচ্ছে না। সে এসে বলে -
"- কি হয়েছে লিটন সাহেব কোনো সমস্যা? শুধু শুধু আমাদের সাথে কোনো আটকে রেখেছেন দয়া করে ছেড়ে দেন?
"- শোন তোদের কোম্পানির মালিক আমার কথা অমান্য করে এই বিল্ডিং তৈরি করেছে যার শাস্তি তাকে পেতে হবে। যা তোদের এমডিকে খবর দে ও এসে বাঁচিয়ে নিয়ে যাক তোদের?
"- এই কোম্পানির এমডি আমি। কি সমস্যা তোর?
হঠাৎ করে একটা মেয়ের কণ্ঠ শুনে লিটন পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখে সেই শ্রমিক নিজের পড়নের জামা খুলে। এরপর নিজের মাথা থেকে মুখোশ খুলে সেখানে শ্রমিকের ছন্দবেশে একটা মেয়ে ছিলো। পড়তে তার ফরর্মাল ড্রেস সেই মেয়ে এগিয়ে আসে লিটনের দিকে। লিটন বলে -
"- কে তুমি?
"- আমি ইনায়া এই কোম্পানির এমডি। সো মিস্টার লিটন নাইস টু মিট
Suraiya Soha
댓글 삭제
이 댓글을 삭제하시겠습니까?