_আমার একটু ব্যাস্ততা আছে। একটা মিটিং আছে। তুমি বরণ আরশের সাথেই যাও। বলেই আরশের দিকে তাকিয়ে ডেভিল স্মাইল দিয়ে বেরিয়ে গেলো সাধন।
এদিকে আরশ বেচারা পড়েছে মাইনকার চিপায়। পিছনে শিফা রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আবার সামনে রুশা। আরশ মেকি হেসে রুশাকে গাড়িতে গিয়ে বসতে বলল। রুশার অপমানে গাঁ টা জ্বলতে লাগলো। সাধন ওকে এভাবে না করবে ভাবেনি। হাতের ব্যাগটা শক্ত করে চেপে ধরে বাইরে চলে গেলো।
শিফা আরশের দিকে তাকিয়ে মুখ ঝামটা মেরে উপরে চলে গেলো। আরশ অসহায় মুখ করে শিফার পিছু নিলো। না জানি শিফা কি করে। শিফা গটগট পায়ে নিজের রুমে এসে বসলো। রেগে ফুসছে মেয়েটা। আরশ দরজায় এসে উঁকি দিলো। ভয়ে ভিতরে যেতে পারছে না।
_এই রাক্ষসী শোন্!
শিফা ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো দরজার দিকে। আরশ মাথা অর্ধেক ঢুকিয়ে রেখেছে। শিফা রাগের মাত্রা কমালো। তবে মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি খেলে গেলো। এগিয়ে এসে আরশের সামনে দুই হাত ভাজ করে দাঁড়ালো।
_ভিতরে আসো। এমন ভুতের মতন চিপকে আছো কেন?
আরশ অনুমতি পেয়ে দরজা ঠেলে ভিতরে আসলো। শিফা হাসলো ঠোঁট বাকিয়ে। তারপর আরশের দিকে এগিয়ে গেলো। একদম কাছ ঘেঁষে দাঁড়ালো। আরশ হটাৎ কাছে আশায় চমকে উঠলো। শিফা আরো এগিয়ে এসে আরশের শার্ট ধরে ঘারটা নিচু করে কানের কাছে ফিসফিস করে বলল,,,,
_ঢেঁড়স ভাই তুমি যদি আজকে রুশার সাথে যাও তাহলে আমি ঐ প্রপোজাল টা একসেপ্ট করে নেবো।
অপ্রত্যাশিত কথা শুনে আরশ যেন জ্বলে উঠলো। রেগে গেলো মুহূর্তের মধ্যে। শিফার কোমরটা ধরলো শক্ত করে। শিফা স্তব্ধ। নিজে আরশকে জ্বালাতে এসে ফেঁসে গেলো বুঝি। আরশ শিফার কোমরে চাপ প্রয়োগ করে বলল,,,
_কে প্রপোস করেছে? নাম কি? সাহস কি করে হলো তোকে প্রপোস করার। এই উইল ফিনিশ হিম। রাগে চোয়াল শক্ত হয়ে উঠছে আরশের। শিফা ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। আরশের এতো রাগের সম্মুখীন হয়নি আগে। এই প্রথম।
আরশ চোখ লাল করে তাকিয়ে আছে। যেন ভস্ম করে দিবে সব। শিফা আরশকে শান্ত করতে বলল, “রিলাক্স, তেমন কিছুনা, আমিতো.......
_আমিতো কি হ্যা? তোর খুব সাহস না। তুই প্রপোসাল একসেপ্ট করবি তাইতো।
শিফা বুঝলো, ভাব বেশি ভালো না। তাই আরশের থেকে পালাতে চাইলো। কিন্তু তা কি সম্ভব? আরশ শিফাকে ছাড়লো, শিফা একটু দম নিলো তারপর দরজাটা লাগিয়ে দিলো শব্দ করে। শিফার অন্তর কেঁপে উঠলো, অজানা শঙ্কায়। কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বলল,,,,
_আরশ ভাই, কি করছো? দরজা কেন লাগিয়েছো?
আরশ একটু একটু করে এগোতে লাগলো। শিফা বিছানা বরাবর ছিলো। পিছোতে গিয়ে ধপাস করে বিছানায় পড়লো, পড়ার আগে আরশের শার্ট আঁকড়ে ধরলো, যার দরুন আরশ পড়লো শিফার ওপর। দুজনের নিঃশাস মিলিমিশে একাকার হলো। শিফা শুকনো ঢোক গিললো। ঠোঁট কামড়ে রাখলো।
আরশ মন্ত্রমুগ্ধ এর মত তাকিয়ে থাকলো। নজর আটকালো শিফার কামড়ে ধরা ঠোঁটের দিকে। কেমন যেন ঘোর লাগলো আরশের। হাত দিয়ে ছুঁয়ে দিলো শিফার ঠোঁটজোড়া। শিফা হাত দিয়ে খামচে ধরলো আরশের আঁকড়ে ধরা শার্টটা। আরশ তর্জনী চালাতে লাগলো ঠোঁটের ওপর। তারপর ঝুকে পড়লো শিফার মুখের ওপর। শিফা এদিক ওদিক চোখ ঘুরালো। আরশ হাত দিয়ে চোয়াল চেপে নিজের দিকে ঘোরালো। তারপর সজোরে আঁকড়ে ধরলো কম্পিত নরম ঠোঁটজোড়া। শিফার পুরো শরীর ঝাঁকি দিয়ে উঠলো। আরশের শার্ট খামচে ধরা শার্টটা আরো জোরে ধরলো। নখ বসে গেছে হয়তো। তবে আরশের তাতে কোনো মাথাব্যাথা নেই।
শিফা ওষ্ঠর চাপে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারছে না। তবে আরশ সে তার কাজে ব্যাস্ত। শিফা ঠেলে দূরে সরাতে চাইলো আরশকে। আরশ শিফার দুই হাত ধরে আটকে দিলো। তারপর শিফার মুখের দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে বলল,,,
_ডোজ আজকের জন্য এটুকুই থাক। বাকিটা বিয়ের পরেই দেবো। বলেই চোখ মারলো। শিফা লজ্জায় মাথা ঘুরিয়ে নিলো। আরশ মাথা নিজের দিকে ঘুরিয়ে এনে বলল,,,,
_আমার গন্তব্য শুধু তুই। সেটা যদি হয় সুদূর কোনো পথ।
আরশ চলে গেলো। ফেলে গেলো একটা সপ্তাদশী রমনীকে। যার মনে প্রেমের বীজ বুনালো আরশ নামের এই ব্যাক্তি।
_________
ছেলের সামনে থম থমে মুখে বসে আছেন আমজাদ চৌধুরী। তার ছেলে তার প্ল্যান সম্পর্কে অবগত ছিলো। তিনি যা ভেবেছিলেন তার উল্টো হলো। অগত্যা ছেলের এইসব ঠোঁটকাটা কথা তার হজম করতে হচ্ছে।
_তুমি যখন মায়ের পিছনে ঘুরতে বিয়ের আগে। কই আমার শ্রদ্ধেয় দাদাজান তো বাধা দিতো না। তুমি তার রক্ত বহণ করছো। তাই বেইমানি করা ভুলে যাও।
আমজাদ চৌধুরী এর মনে হচ্ছে লজ্জায় মরে যেতে। ছেলের মুখে এইসব শোনার থেকে। তিনি দাঁতে দাঁত চেপে বললেন,
_তোমার মতো কাজিনের পিছনে ঘুরিনি।
সাধন ভ্রু কুঁচকে, মুখে বিরক্তি টেনে বলল,
_তোমার তো খুশি হওয়ার কথা, ঘরের মেয়ে বিয়ে করতে চেয়েছি।
_হ্যা খুশি খুব খুশি।
সাধন ঠোঁট বাকিয়ে হেসে কপালে স্লাইড করতে করতে বলল,,
_তুমি কি ভেবেছো, বন্ধুর মেয়েকে এনে তাকে আমার গলায় ঝুলিয়ে দিবে?
_শুনে রাখো আমি বিয়ে করলে আর্শ
Suraiya Soha
Yorum Sil
Bu yorumu silmek istediğinizden emin misiniz?