11 w ·Translate

#প্রাপ্য।”

“কিন্তু কেন, আম্মু? লিমন কী এমন খারাপ করেছে?”

অহি বাঁকা ঠোঁটে ভীষণ হেলায় তাচ্ছিল্য হাসলো। লিমনের পাশে বসে থাকা মেয়েটার দিকে তাকিয়ে তার মায়াও হলো। নতুন বউ মুখ নামিয়ে আছে। অহি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বলল,
“কিছু মনে করবেন না, ভাবী। আপনার হাসবেন্ড একজন পটেনশিয়াল রেপিস্ট। তাই তার গালে চড়টা দিতে বাধ্য হলাম।”

লিমন এতক্ষণ চুপ করে থাকলেও এখন মারাত্মক রেগে গেলো। হম্বিতম্বি করে সোফা ছেড়ে উঠে চেঁচিয়ে বলল, “অহি, বাড়াবাড়ি করছো। কোন কারণে তুমি আমাকে রেপিস্ট বলছো? তোমায় কিছু করেছি আমি? কোথাও ধরেছি?”

রেগে গেলেন লিমনের মা-ও। বললেন, “ঠিকই তো, অহি। তুমি আমার ছেলেকে রেপিস্ট কেন বলছো? কোন কারণে? তোমাকে ও কিছু করেছে?”

অহি এবার তপ্ত শ্বাস ফেললো। কতক্ষণ তাকিয়ে রইল ঘরের প্রতিটা মানুষের দিকে। মনে মনে বড়ো হাসি পেলো এরা শিক্ষিত ভেবে।
“পটেনশিয়াল রেপিস্ট মানে সম্ভাব্য ধর্ষক। আজকে আপনার ছেলের ভেতরেই একজন সম্ভাব্য ধর্ষক লুকিয়ে আছে, চাচাী। আপনার ছেলে পাশে বউ রেখে বলছে তার না-কি আমার জন্য অপেক্ষা করা উচিত ছিলো, বিয়ে করা ভুল। শুধু তা-ই না, সে আমাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়ও এমন এমন মন্তব্য করে যে তার ঘরে বউ আছে কেউ ধরতে পারবে না। আমার ছবি দেখে ইনবক্সে সে বলে আমার গালের ডান দিকের তিলটা দেখে তার না-কি শিহরণ জাগে। এসবই একজন সম্ভাব্য ধর্ষকের লক্ষ্মণ। যার মেয়েদের দেখলে শরীরের অঙ্গ গুলো অসংযত হয়ে উঠে সে-ই একদিন কোনো এক মেয়েকে একা পেয়ে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারবে না। আমাদের সমাজের সমস্যা হলো কী জানেন? আমরা যতক্ষণ না প্র্যাক্টিক্যালি কিছু হচ্ছে ততক্ষণ কোনো কিছুকেই বড়ো ব্যাপার মনে করি না। বাজে আকার-ইঙ্গিতকে সামান্য মজা-ঠাট্টা ভেবে উড়িয়ে দিই। এবং এগুলোই একজন ধর্ষক তৈরি করতে সাহায্য করে। আমি ভেবে অবাক হই, আপনারা সবাই-ই না-কি শিক্ষিত অথচ একজন পটেনশিয়াল রেপিস্টের করা অন্যায়কে আপনারা নিতান্তই মজা হিসেবে রেখে দিচ্ছেন।”

অহির কথা থামলো। চোখের কোণা মেয়েটার লাল হয়ে এসেছে রেগে। অবনী বেগমের সাথে তার এই দিকে মিল৷ অতিরিক্ত রেগে গেলে চোখের কোণাটা লাল হয়ে যাবে। নাতাশা বেগম মেয়েকে আর কিছু বললেন না। অহি গটগট করে চলে গেলো ভেতরে। বেশ শব্দ করে আটকে দিলো ঘরের দরজাটা। অহি ঠান্ডা মেজাজের মেয়ে কিন্তু রেগে গেলে তার আচরণ খুবই হিংস্র হয়ে যায়। রাগ কমাতে সে কল দিলো অবনী বেগমকে। এখন এই মানুষটার সাথে কথা বলা খুব দরকার। এই একজন মানুষ যে এখন অহির মন শান্ত করতে পারবে।



চাঁদনীর আজ কোনো কাজ নেই। বুটিক হাউসেও যেতে ইচ্ছে করছে না। শরীরটা বেশ খারাপ লাগছে। ঘুম থেকে উঠার পরই মাথা ধরেছে যে সেটা আর কমছে না। বাহিরের আকাশে আজ রঙ নেই। ধূসর সাদা আস্তরণে বন্দী এই এক খন্ড সুন্দর দেশটি। তুলোর মতন চারপাশে যেন বরফ বিছিয়ে আছে।
ঘরে থাকতে থাকতে প্রচন্ড বিরক্ত হয়ে অবশেষে সে ঠিক করলো একটু বাহিরে যাবে। লেক জেনেভার কাছটাতে গিয়ে বসবে। ভাবনা অনুযায়ী সে তৈরি হয়ে নিলো। মোটা একটা শীতের পোশাক, কালো টুপিটা পরে নিলো। শীতে গলাটাও বসে আছে। তবুও এই বরফের মাঝে বসে থাকার তার একটা লোভ জন্মেছে।

রাস্তায় তেমন জনমানস নেই। নিরিবিলি চারপাশটা। চাঁদনী হাঁটতে হাঁটতে এসে পোঁছালো লেকটার সামনে। কাঠের বেঞ্চি গুলোতে বরফ জমে জমে হাওয়ায় মিঠাইয়ের মতন দেখাচ্ছে যেন। চাঁদনী কিছু বরফ সরিয়ে বসলো। লেকটার চারপাশে কিছু সংখ্যক মানুষের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। চাঁদনীর মাথা ধরাটাও যেন কিছুটা কমে এসেছে। শান্তি শান্তি পরিবেশে শরীরটাও যে শান্তিতে ভরে গেছে। চাঁদনীর এক দৃষ্টিতে পরিবেশ দেখার মাঝে বাঁধা হলো পকেটের ফোনটা। বেশ শব্দ করেই রিং হলো ফোনটাতে। চাঁদনীর মোটেও ইচ্ছে হলো না ফোনটা ধরার কিন্তু অনবরত রিং হওয়ায় বাধ্য হয়েই ধরলো। যদিও তার মা ভিডিও কল করেছিলেন সে কেটে অডিও কল দিল।
চাঁদনীর কল দিতে দেরি অথচ অপরপাশ থেকে রিসিভ করতে দেরি হলো না রোজা সওদাগরের। রিসিভ করেই ক্রন্দনরত স্বরে বললেন,
“কিরে মা, তোর কি আমাদের কথা একটুও মনে পড়ে না?”

মায়ের এই করুণ কণ্ঠে আপাতদৃষ্টিতে সবারই মায়া হওয়ার কথা কিন্তু চাঁদনীর হলো না মায়া। বরং সে কাঠ কাঠ গলায় বলল, “কী বলবে সোজাসাপটা বলো।”
রোজা সওদাগরের কণ্ঠ এবার পাল্টে গেলো নিমিষেই। এতক্ষণের কান্না, মায়া-মমতার কণ্ঠ হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো যেন। কিছুটা গম্ভীর হয়েই বললেন, “তোর ভালো-মন্দ নিয়ে কি আমরা ভাবতে পারি না? তোরে জন্ম দিয়েছি আমরা। ভুলে যাচ্ছিস?”

“ভুলে যাইনি বলে এখন কলটা রিসিভ করলাম।”

রোজা সওদাগরের কণ্ঠে এবার আবার কোমলতা দেখা দিল, “দেখ মা, তোর বয়স তো কম হচ্ছে না। একত্রিশে পড়ে গেছে। আর কতদিন একা থাকবি?”

“যতদিন মানুষের কথা শুনলেই ভয় লাগবে, আতঙ্ক লাগবে ততদিন একা থাকবো। আর বিয়ের কথা বললে আমি ফোনই অফ করে দিবো, আম্মু।”

“মানুষের নাতি-নাতনি বড়ো হয়ে যাচ্ছে। আর আমার একটা মাত্র মেয়ে তার…..”
মাকে বাকি কথা আর সম্পন্ন করার সুযোগ দিলো না চাঁদনী। তার আগেই ফোনটা কেটে অফ করে দিলো। রোজ রোজ একই কথা ত

4 hrs ·Translate

তেমন কিছুই না😞মাঝখান থেকে কিছু নোংরা অভিজ্ঞতার স্বীকার ও কিছু নিচু মন মানসিকতার মানুষের সাথে দেখা হল,😔😔😔😔একাকিত্বে পাইনি তাহারে, সুদিনে যে বন্ধু ছিলো আমার😔😔😔
নয়নে নয়ন রেখে হৃদয়ে উঠেছে একাকিত্বের ঢেউ😞😞

,দূর থেকেও থাকে একাকি ভীষণ প্রিয় কেউ।😞

4 hrs ·Translate

মুখে বলোনি,
অথচ দিব্যি ব্যবহারে বুঝিয়েছো, আমি তোমার কেউ নই! অবহেলা-অনাদরে ফেলে রেখে দিনের পর দিন নিঃসঙ্গতার আঁধারে ডুবিয়ে দিয়ে তুমি দূরে থেকেছো!

মুখে বলোনি,
আমাকে তোমার আর ভালো লাগে না। আমি অবুঝ নই। তুমি আগ্রহ হারিয়ে বসে আছো, আমি দিব্যি টের পেয়ে যাই। তুমি তো ভালোবেসে কাছে আসোনি। ভালোবেসে কাছে আসলে, দূরে থাকা যায়? যায় না।

স্বীকার করোনি,
শুধু তোমার মৌনতা আমাকে বুঝিয়েছে, তুমি আসলে ক্লান্ত। আমার এই অতিরিক্ত আবেগ, অতিরিক্ত তোমাকে কাছে পাওয়ার লোভ- তোমাকে পীড়া দিচ্ছে ভীষণ! জিজ্ঞেস করেছি, তুমি আসলে কী চাও? কোনো উত্তর দাওনি। আমি বুঝে গেছি, তুমি আর আমায় চাইছো না।

ভালোবাসোনি,
অথচ দিনের পর দিন ভনিতার খেলায় মেতে উঠেছো আমায় পরাজিত করতে। আমাকে কি সত্যি হারাতে পেরেছো? নাকি মনের অজান্তেই আমায় হারিয়ে ফেললেিপ চিরতরে?

স্বীকার করোনি,
তোমার এইসব ব্যস্ততার অজুহাত, আমাকে ম্যাচুরিটি শেখানো, আবেগ কমাতে বলা, যোগাযোগহীনতায় রেখে মাঝে মাঝে নিয়মরক্ষা করতে খুদে বার্তায় জানান দেয়াটা আসলে ভালোবাসা নয়। অবসর সময়ে বিনোদন নেয়া মাত্র।

সংগৃহীত

8 hrs ·Translate

"কালো পরী" (Kalo Pori) বলতে সাধারণত লোককথা, গল্প বা কবিতায় একধরনের রূপকথার চরিত্র বোঝায়।

অর্থ ও ব্যবহার:

পরী মানে আধ্যাত্মিক/অলৌকিক সত্তা, যাদের সৌন্দর্য, রহস্য আর জাদুকরী ক্ষমতার কথা বলা হয়।

কালো পরী বলতে বোঝায় হয়তো রহস্যময়, অন্ধকার, ভয়ংকর অথবা দুঃখের প্রতীকী কোনো পরী।

অনেক সময় গল্পে "কালো পরী" ব্যবহার করা হয় অশুভ শক্তি বা রহস্যময় অন্ধকার জগতের প্রতিনিধি হিসেবে।

আবার কবিতা বা প্রেমের গল্পে "কালো পরী" হতে পারে কারো গভীর কালো চোখের রূপক।

উদাহরণ:

কোনো গল্পে নায়কের শত্রু হতে পারে "কালো পরী", যে অন্ধকার শক্তির নিয়ন্ত্রক।

কবিতায় প্রেমিকার সৌন্দর্য বোঝাতে বলা যায়, “তোমার কালো চোখ যেন কালো পরী”।

👉 চাইলে আমি আপনাকে একটা ছোট গল্প লিখে দিতে পারি যেখানে “কালো পরী” চরিত্রটি আসবে।

আপনি কি চান আমি একটা গল্প লিখি কালো পরী নিয়ে, নাকি শুধু বর্ণনা দেব?

8 hrs ·Translate

"কালো পরী" (Kalo Pori) বলতে সাধারণত লোককথা, গল্প বা কবিতায় একধরনের রূপকথার চরিত্র বোঝায়।

অর্থ ও ব্যবহার:

পরী মানে আধ্যাত্মিক/অলৌকিক সত্তা, যাদের সৌন্দর্য, রহস্য আর জাদুকরী ক্ষমতার কথা বলা হয়।

কালো পরী বলতে বোঝায় হয়তো রহস্যময়, অন্ধকার, ভয়ংকর অথবা দুঃখের প্রতীকী কোনো পরী।

অনেক সময় গল্পে "কালো পরী" ব্যবহার করা হয় অশুভ শক্তি বা রহস্যময় অন্ধকার জগতের প্রতিনিধি হিসেবে।

আবার কবিতা বা প্রেমের গল্পে "কালো পরী" হতে পারে কারো গভীর কালো চোখের রূপক।

উদাহরণ:

কোনো গল্পে নায়কের শত্রু হতে পারে "কালো পরী", যে অন্ধকার শক্তির নিয়ন্ত্রক।

কবিতায় প্রেমিকার সৌন্দর্য বোঝাতে বলা যায়, “তোমার কালো চোখ যেন কালো পরী”।

👉 চাইলে আমি আপনাকে একটা ছোট গল্প লিখে দিতে পারি যেখানে “কালো পরী” চরিত্রটি আসবে।

আপনি কি চান আমি একটা গল্প লিখি কালো পরী নিয়ে, নাকি শুধু বর্ণনা দেব?

8 hrs ·Translate

"কালো পরী" (Kalo Pori) বলতে সাধারণত লোককথা, গল্প বা কবিতায় একধরনের রূপকথার চরিত্র বোঝায়।

অর্থ ও ব্যবহার:

পরী মানে আধ্যাত্মিক/অলৌকিক সত্তা, যাদের সৌন্দর্য, রহস্য আর জাদুকরী ক্ষমতার কথা বলা হয়।

কালো পরী বলতে বোঝায় হয়তো রহস্যময়, অন্ধকার, ভয়ংকর অথবা দুঃখের প্রতীকী কোনো পরী।

অনেক সময় গল্পে "কালো পরী" ব্যবহার করা হয় অশুভ শক্তি বা রহস্যময় অন্ধকার জগতের প্রতিনিধি হিসেবে।

আবার কবিতা বা প্রেমের গল্পে "কালো পরী" হতে পারে কারো গভীর কালো চোখের রূপক।

উদাহরণ:

কোনো গল্পে নায়কের শত্রু হতে পারে "কালো পরী", যে অন্ধকার শক্তির নিয়ন্ত্রক।

কবিতায় প্রেমিকার সৌন্দর্য বোঝাতে বলা যায়, “তোমার কালো চোখ যেন কালো পরী”।

👉 চাইলে আমি আপনাকে একটা ছোট গল্প লিখে দিতে পারি যেখানে “কালো পরী” চরিত্রটি আসবে।

আপনি কি চান আমি একটা গল্প লিখি কালো পরী নিয়ে, নাকি শুধু বর্ণনা দেব?