গল্প: "পুকুরের ওপারে"
গল্পের শুরু দোহারের এক ছোট্ট গ্রামে—নাম চরবালিয়া। চারপাশে ধানক্ষেত, মাঝে মাঝেই কাশফুলে ঢেকে যাওয়া মেঠো পথ। গ্রামের মাঝখানে একটা প্রাচীন পুকুর, যাকে সবাই বলে “বিবির দিঘি”।
লোকমুখে শোনা যায়, এই পুকুরে রাতে একশো বছর আগে এক নববধূ ডুবে গিয়েছিল। সেই থেকে পুকুরটা নাকি মানুষ "ফিরিয়ে" দেয় না—যাকে একবার ডাকে, সে আর ফিরে আসে না।
নতুন শিক্ষক সুমন্ত যখন গ্রামে আসে, এসব গল্প শুনে সে হেসে উড়িয়ে দেয়। শহরের লোক, ভূতের গল্পে তার বিশ্বাস নেই। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, পুকুরটার ধারে এলেই তার কেমন একটা অদ্ভুত অনুভূতি হয়—জল যেন তাকিয়ে আছে।
এক সন্ধ্যায়, গ্রীষ্মের হাওয়ায় তালপাতা যখন কাঁপছে, সে একা হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে যায় দিঘির ধারে। হঠাৎ শুনতে পায় এক মেয়ের কণ্ঠ—
“তুমি তো কথা দিয়েছিলে...”
সে চমকে ফিরে দেখে কেউ নেই। কিন্তু জল কাঁপছে, যেন কারও পা ডুবেছে তাতে। তার মনে পড়ে যায়—শৈশবে সে এই গ্রামেই একবার এসেছিল, তার ঠাকুরদার বাড়িতে। আর তখন এক মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছিল... নাম ছিল মেঘলা।
সে কি তাহলে সত্যিই কোনো কথা দিয়েছিল? ভুলে গিয়েছিল?
পরদিন সে গ্রামে খোঁজ করে মেঘলার নাম। সবাই বলে, “এই নামে তো কাউকে মনে পড়ছে না।” কিন্তু গ্রামের এক বয়স্কা মহিলা বলে, “মেঘলা ছিল... অনেক বছর আগে, তোরই বয়সী। পুকুরে ডুবে মারা যায়... ঠিক যেদিন তুই গ্রাম ছেড়েছিলি