নিলয় জানে—তাকে সায়রার কাছে ফিরে যেতে হবে। কিন্তু এই ভবিষ্যতের পৃথিবীতে যেখানে স্মৃতি মুছে ফেলা যায়, ভালোবাসা কি ফিরে আনা যায়?
সে ছুটে যায় পুরনো ঠিকানায়।
কিন্তু সেখানে দাঁড়িয়ে এখন শুধু একটা ফাঁকা ঘর, আর একটি খোলা চিঠি—
“তুই যখন এটা পড়বি, আমি থাকব না।
কিন্তু আমার ভালোবাসা, ওটা কেউ মুছে ফেলতে পারেনি।
তুই চাইলে আবার শুরু করতে পারিস... নিজের ভিতর থেকে।”
---
এই গল্প যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, আমরা চাইলে এর ভিত্তিতে একটি ভবিষ্যৎ-প্রযুক্তিনির্ভর প্রেম ও রহস্যধর্মী উপন্যাস শুরু করতে পারি।
আর যদি একেবারে নতুন কোনো ধাঁচের গল্প চান—হাসির, রূপকথার, ফ্যান্টাসি, বা ঐতিহাসিক—তাও বলতে পারেন।"স্মৃতি-সংরক্ষণ কেন্দ্র"
বছর ২০৫১।
মানুষ এখন চাইলে নিজের যেকোনো স্মৃতি ক্লাউডে সংরক্ষণ করে রাখতে পারে। এমনকি ভুলে যেতে চাওয়া স্মৃতিও ‘আর্কাইভ’ করে রাখা যায়—যতদিন না কেউ চাইছে সেটা আবার মনে আনতে।
ঢাকার অদূরে এক পাহাড়ের পাদদেশে আছে "স্মৃতি-সংরক্ষণ কেন্দ্র - শাখা ৭", যেখানে পুরনো স্মৃতি ঘুমিয়ে থাকে ডিজিটাল ক্যাপসুলে। এই কেন্দ্রে নতুন চাকরি নিয়েছে নিলয়, এক অব্যক্ত অতীতের ছায়ায় ঢাকা যুবক।
প্রথম দিকে সব কিছুই যান্ত্রিক—ফাইল জমা, ব্যাকআপ, ক্লায়েন্ট মেমোরি আপলোড। কিন্তু একদিন সে আবিষ্কার করে একটি অদ্ভুত স্মৃতি-ফাইল, যার উপর লেখা:
“ডিলিটেড রিকোয়েস্ট – পুনরুদ্ধার নিষিদ্ধ”
মালিক: সায়রা তাসনিম
তারিখ: ২০৪১ সালের ৫ জুন।
অবাক হয়ে নিলয় সেই স্মৃতি-ফাইলটি দেখতে শুরু করে, নিষেধ থাকা সত্ত্বেও। এবং সে দেখে...
একটা ছেলেকে নিয়ে সেই স্মৃতি—দুইজন বসন্ত দুপুরে বসে গল্প করছে, কবিতা পড়ছে, নদীর ধারে হাঁটছে। মেয়েটার চোখে ভালোবাসা, ছেলেটার চোখে সংকোচ। আর শেষ দৃশ্যে দেখা যায়, মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বলে—
“যদি আমাকে ভুলেই যাও, তাহলে অন্তত এইটুকু রাখো—আমি চেয়েছিলাম ভালোবাসা, কোনো শর্ত ছাড়া।”
নিলয়ের শরীর কেঁপে ওঠে।
কারণ ছেলেটা ছিল সে নিজেই।
সে ভুলেই গিয়েছিল!
দশ বছর আগে সে নিজেই তার স্মৃতি থেকে এই সম্পর্ক মুছে ফেলেছিল, চাকরি, ভবিষ্যৎ, বাস্তবতা—সব কিছু সামলাতে গিয়ে। কিন্তু সায়রা রেখেছিল তার স্মৃতিকে, যতটা পারা যায় নিজের মধ্যেই, তারপর একদিন সেটাও আর্কাইভ
Md Jony
মন্তব্য মুছুন
আপনি কি এই মন্তব্যটি মুছে ফেলার বিষয়ে নিশ্চিত?