গল্প: "স্বপ্নের ফেরিওয়ালা"
প্রতি শনিবার, শহরের ব্যস্ত মোড়ে এক বুড়ো লোক এসে বসে—তার নাম কেউ জানে না। গায়ের ছেঁড়া চাদর, মাথায় একটি টুপি, আর পেছনে একটা কাঠের বাক্স।
বাক্স খুলে সাজিয়ে রাখে নানা রকম জিনিস—
একটা সাদা বোতল যার গায়ে লেখা “ভুলে যাওয়া চোখের জল”,
একটা লাল কাপড় মোড়া বাক্স: “শৈশবের হাওয়া”,
একটা চিরুনি: “মায়ের কপালের গন্ধ”,
আর ছোট ছোট কাঁচের শিশি যেগুলোতে সে বলে:
“এগুলো হলো স্বপ্ন। আজকের বিশেষ অফার: এক স্বপ্ন কিনলে একটা স্মৃতি ফ্রি।”
মানুষ হাসে, ছবি তোলে, কেউ কিছু কিনে না। কিন্তু প্রতিবারই এক-দু’জন এমন কেউ আসে, যাদের চোখ একটু আলাদা—একটু হারা হারা।
একদিন আসে এক কিশোর—নাম অরণ্য। সে বলে,
“আমার একটা খুব জরুরি জিনিস চাই। আমি যেন ভুলে না যাই, আমি কে ছিলাম। এমন কিছু আছে?”
ফেরিওয়ালা তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ, তারপর তার কাঠের বাক্স থেকে বের করে একটি পাথরের টুকরো, যার উপর অদ্ভুত ছাপ—যেন আঁচল ভেজা ছিল কোনো এক সময়।
সে বলে:
“এটা রাখ। যখন তুই ভুলে যাবি নিজের নাম, এটা তোর বুক কাঁপাবে। তখন বুঝবি, তুই হারাসনি। শুধু হাঁটছিস।”
অরণ্য পাথরটা নিয়ে যায়। তার জীবনে বহু ঝড় আসে—চাকরি, প্রেম, ভাঙন, ব্যর্থতা। কিন্তু প্রতি শনিবার সেই ফেরিওয়ালাকে দেখতে যায়—একবার শুধু চোখ রাখে।
আর প্রতি সপ্তাহে ফেরিওয়ালা এক নতুন নাম দেয় তাকে—
md ruhul khan
Ta bort kommentar
Är du säker på att du vill ta bort den här kommentaren?