11 ш ·перевести

# কায়েরীথের দুনিয়া ‌। আর তাই হলো।বাক্যটি তিনবার উচ্চারণ করার সাথে সাথেই নীল পাথরটি ধীরে ধীরে কায়েরীথের হাত থেকে সরে গিয়ে উপরের দিকে ভেসে উঠতে লাগল। নিঃশব্দে এবং প্রচণ্ড শক্তির আভাস নিয়ে পাথরটি চমকিত করে দেয় দুজনকে। সায়েরিন হতবাক দৃষ্টিতে উপরের দিকে মুখ করে তাকিয়ে থাকে। জীবনের প্রথমবারের মতো সে দেখছে এই অমৃত পাথরের জাগরণ। একসময় সায়েরিনের ও ছুঁয়ে দেখার স্বপ্ন ছিল কিন্তু এই কক্ষে সায়েরিনের প্রবেশ নিষেধ ছিল। আজ কায়েরীথের হাত ধরে সেই নিষিদ্ধ সীমা পেরিয়ে এসেছে সে।
শৈশবকালে পিতার কাছে জেনেছিল পাথরের অন্তর্জাগতিক নিয়ম। কীভাবে এই পাথরটিকে শরীরে ধারণ করতে হয় কোন উচ্চারণে জাগাতে হয় সবকিছু শিখেছিলো সে। তবে কখনো নিজে চেষ্টা করতে পারেনি। বৃহৎ অন্ধকারের মাঝে কায়েরীথ উপরে তাকিয়ে আছে। চোখে অল্প হলেও ভয় কাজ করছিল তার। এই নীল পাথরটির চমক শরীরে শিহরণ জাগিয়ে তুলছিলো। আর অজানা প্রত্যাশা! এই পাথরটি শরীরে ধারণ করার পর সে কী পারবে নিজের ইচ্ছে পূরণ করতে? এই চিন্তাই হঠাৎ কায়েরীথের মনে ভর করে বসলো।
আচমকাই প্রবল গর্জনে পাথরটি সরাসরি বুক চিরে ঢুকে পড়ে কায়েরীথের শরীরে। ডান পাশে! বুকের ঠিক ডান পাশেই আঘাত হানে সেই পাথরটি। মুহূর্তেই পোশাক ছিঁড়ে যায়। লন্ডভন্ড হয়ে যায় চারপাশ। প্রাসাদের দেয়াল কয়েক সেকেন্ডের জন্য দুলে উঠে। উন্মুক্ত বুক থেকে রক্ত না ঝরলেও ব্যথার তীব্রতায় চিৎকার করে উঠে কায়েরীথ। বুকের ডান পাশে দুই হাত দিয়ে চেপে ধরে সে। হাঁটু গেড়ে নিচে বসে পড়ে হঠাৎ। সেই চিৎকার ধ্বনিত হয় দেয়াল জুড়ে। সম্পূর্ণ কক্ষ কাঁপিয়ে তোলে। ধীরে ধীরে জ্ঞান হারায় কয়েরীথ। সম্পূর্ণ কক্ষ থেকে কালো ধোঁয়া গুলো নিমিষেই হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। সায়েরিন নিজের কান চেপে ধরেছিল। সে জানতো না এতোটা ভয়ংকর পরিস্থিতি হতে পারে। সামান্য এই পাথরটি পুরো প্রাসাদ কাঁপিয়ে তুলতে পারে সে জানতো না এসব। ধীরে ধীরে এগিয়ে এলো সায়েরিন। নিঃশব্দ তার গতি। কায়েরীথ নিথর হয়ে পড়ে আছে প্রাসাদের মেঝেতে। বুকের ডান পাশে নীল আলো ক্ষীণভাবে জ্বলছে। ঠোঁট অল্প ফাঁক হয়ে আছে। কিন্তু নিঃশ্বাসের কোনো চিহ্ন নেই, বুকের উঠানামা ও বন্ধ বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। মুখ শুকিয়ে গেছে। শরীরে প্রাণের স্পন্দন অনুপস্থিত। সায়েরিন ঝুঁকে কায়েরীথের হাত ছুঁয়ে দেখলো। না কোনো সাড়া নেই। সায়েরিন ভয় পেলো। মনে হতে লাগলো এক শূন্য শরীর পড়ে আছে তার সামনে।
কয়েক মুহূর্ত নিস্তব্ধতা। সায়েরিনকে চমকে দিয়ে হঠাৎ কায়েরীথ চোখ মেলে তাকায়। তীব্র নীল আলো ঝলসে ওঠলো তার দৃষ্টিতে। সায়েরিনের হৃৎপিণ্ড আচমকাই ধ্বক করে উঠে। কেঁপে ওঠলো সে। পিছু হটে গেলো একটু। কিছু বলার আগেই কায়েরীথ ঝটকা দিয়ে ওর গলা চেপে ধরে। সায়েরিনের চোখ বড় হয়ে গেলো। সে দ্রুত দুই হাত তুলে কায়েরীথকে আটকানোর চেষ্টা করলো কিন্তু কায়েরীথের সেই নতুন শক্তির কাছে সে অসহায় হয়ে পড়লো। সরানো সম্ভবপর হলো না সেই হাত।
কিছু সময়ের ব্যবধানে এক হাতে দিয়েই সায়েরিনকে দূরে ছুঁড়ে ফেলে দিলো কায়েরীথ। দেয়ালের গায়ে গিয়ে আছড়ে পড়ে সায়েরিন।
মাথার পেছন দিক থেকে তীব্র রক্তের ধারা বইতে থাকলো। চোখ বুজলো সায়েরিন। সে বুঝতেই পারলো না কত বড় একটা ভুল করে ফেলেছে কিয়ৎক্ষণ আগে।
কায়েরীথ ধীর গতিতে উঠে বসলো। তার শরীরে তৈরি হলো অদৃশ্য শক্ত কাঠামো। সে দ্রুত পায়ে হেঁটে আসলো সায়েরিনের কাছে। সায়েরিনের মাথায় হাত চেপে ধরলো এবং শোষণ করে নিতে থাকলো তার শক্তি। কায়েরীথ আর নিজের মধ্যে নেই। তাকে সেই নীল পাথরের শক্তি নিজের মতো নিয়ন্ত্রণ করতে লাগলো। তাই আপাতত যা হচ্ছে এতে হুশ নেই ওর। কায়েরীথ অতঃপর বাতাসের বেগে এই কক্ষ থেকে বেরিয়ে উপরিভাগে চলে আসলো।
প্রাসাদের উপরের অংশে তখনো চলছিল চরম ধ্বংসযজ্ঞ। প্রাসাদ কেঁপে ওঠায় সাময়িক সময়ের জন্য থমকে যায় যুদ্ধ। কিন্তু সময় পেরোতেই আবার শুরু হয় হানাহানি। শত্রু বাহিনী ধীরে ধীরে আরহেনিয়ার রাজবংশের উত্তরসূরিদের একে একে ঘায়েল করতে থাকে। এমন সময় নৃশংস রূপে আবির্ভূত হয় কায়েরীথ। যাকে সামনে পায় তাকেই এক হাতে ছিটকে ফেলে। আবার কারো তলোয়ার ছিনিয়ে নিয়ে নিঃসংশয়ে হত্যা করতে থাকে। আর প্রতিটি প্রাণের বিনিময়ে কায়েরীথের ভেতরের শক্তি আরও ঘনীভূত হতে থাকে। হুডো শহরের একজন সাধারণ পুরুষ ছিল কায়েরীথ। যার শরীরে শক্তির অভাব ছিল! শত শত আঘাত ছিল। আর সেই আঘাত আর কাটা দাগ দিয়ে ভরা শরীরের ক্ষত গুলো ধীরে ধীরে মিলিয়ে যেতে থাকলো। ধরা দিলো স্বচ্ছ , সুন্দর ফর্সা হলুদ দেহ।
কায়েরীথের আচরণে দুই পক্ষেই অজানা সংশয় ছড়িয়ে পড়ে। রাজা অ্যালারিক ফেইথ প্রথমে ভেবেছিলেন সম্ভবত নিজ কন্যা আরিসার বর তাদেরকে সহায়তা করতে এসেছে। কিন্তু দ্রুতই তার ভ্রান্তি ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। কায়েরীথের আচরণ দিশেহারা এক যোদ্ধার মতো। চেনা অচেনা বাছবিচার না করে আগুনের মতো সব গ্রাস করছে সে। সামনে এগিয়ে ধ্বংস করে দিচ্ছে সবকিছু। অ্যালারিক ছুটে গিয়ে থামাতে চাইলেন কিন্তু কায়েরীথ তো থেমে থাকবার মানুষ নয়। সামনে দাঁড়ানো এক শক্তিমানকে দেখেই ঝাঁপিয়ে পড়ে সে এবং সময়ের ব্যবধানে ওর তলোয়ার চিঁড়ে ফেলে রাজার কোমরের দিকের অংশ। রাজার শরীর থেকে রক্তের ফোয়ারা ছুটে আসে। হতবাক হয়ে কোমর চেপে ধরেন তিনি। নিজের প্রাণটুকু ধরে রাখার শেষ চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু তার আগেই কায়েরীথ ছিনিয়ে নেয় তার প্রাণশক্তি। আবার ও ঘায়েল করে সেই জায়গায়। একি সাথে মাথা চেপে ধরে শুষে নেয় সকল শক্তি।
রাজ

Favicon 
www.facebook.com

Aktualisiere deinen Browser

4 часы ·перевести

তেমন কিছুই না😞মাঝখান থেকে কিছু নোংরা অভিজ্ঞতার স্বীকার ও কিছু নিচু মন মানসিকতার মানুষের সাথে দেখা হল,😔😔😔😔একাকিত্বে পাইনি তাহারে, সুদিনে যে বন্ধু ছিলো আমার😔😔😔
নয়নে নয়ন রেখে হৃদয়ে উঠেছে একাকিত্বের ঢেউ😞😞

,দূর থেকেও থাকে একাকি ভীষণ প্রিয় কেউ।😞

4 часы ·перевести

মুখে বলোনি,
অথচ দিব্যি ব্যবহারে বুঝিয়েছো, আমি তোমার কেউ নই! অবহেলা-অনাদরে ফেলে রেখে দিনের পর দিন নিঃসঙ্গতার আঁধারে ডুবিয়ে দিয়ে তুমি দূরে থেকেছো!

মুখে বলোনি,
আমাকে তোমার আর ভালো লাগে না। আমি অবুঝ নই। তুমি আগ্রহ হারিয়ে বসে আছো, আমি দিব্যি টের পেয়ে যাই। তুমি তো ভালোবেসে কাছে আসোনি। ভালোবেসে কাছে আসলে, দূরে থাকা যায়? যায় না।

স্বীকার করোনি,
শুধু তোমার মৌনতা আমাকে বুঝিয়েছে, তুমি আসলে ক্লান্ত। আমার এই অতিরিক্ত আবেগ, অতিরিক্ত তোমাকে কাছে পাওয়ার লোভ- তোমাকে পীড়া দিচ্ছে ভীষণ! জিজ্ঞেস করেছি, তুমি আসলে কী চাও? কোনো উত্তর দাওনি। আমি বুঝে গেছি, তুমি আর আমায় চাইছো না।

ভালোবাসোনি,
অথচ দিনের পর দিন ভনিতার খেলায় মেতে উঠেছো আমায় পরাজিত করতে। আমাকে কি সত্যি হারাতে পেরেছো? নাকি মনের অজান্তেই আমায় হারিয়ে ফেললেিপ চিরতরে?

স্বীকার করোনি,
তোমার এইসব ব্যস্ততার অজুহাত, আমাকে ম্যাচুরিটি শেখানো, আবেগ কমাতে বলা, যোগাযোগহীনতায় রেখে মাঝে মাঝে নিয়মরক্ষা করতে খুদে বার্তায় জানান দেয়াটা আসলে ভালোবাসা নয়। অবসর সময়ে বিনোদন নেয়া মাত্র।

সংগৃহীত

8 часы ·перевести

"কালো পরী" (Kalo Pori) বলতে সাধারণত লোককথা, গল্প বা কবিতায় একধরনের রূপকথার চরিত্র বোঝায়।

অর্থ ও ব্যবহার:

পরী মানে আধ্যাত্মিক/অলৌকিক সত্তা, যাদের সৌন্দর্য, রহস্য আর জাদুকরী ক্ষমতার কথা বলা হয়।

কালো পরী বলতে বোঝায় হয়তো রহস্যময়, অন্ধকার, ভয়ংকর অথবা দুঃখের প্রতীকী কোনো পরী।

অনেক সময় গল্পে "কালো পরী" ব্যবহার করা হয় অশুভ শক্তি বা রহস্যময় অন্ধকার জগতের প্রতিনিধি হিসেবে।

আবার কবিতা বা প্রেমের গল্পে "কালো পরী" হতে পারে কারো গভীর কালো চোখের রূপক।

উদাহরণ:

কোনো গল্পে নায়কের শত্রু হতে পারে "কালো পরী", যে অন্ধকার শক্তির নিয়ন্ত্রক।

কবিতায় প্রেমিকার সৌন্দর্য বোঝাতে বলা যায়, “তোমার কালো চোখ যেন কালো পরী”।

👉 চাইলে আমি আপনাকে একটা ছোট গল্প লিখে দিতে পারি যেখানে “কালো পরী” চরিত্রটি আসবে।

আপনি কি চান আমি একটা গল্প লিখি কালো পরী নিয়ে, নাকি শুধু বর্ণনা দেব?

8 часы ·перевести

"কালো পরী" (Kalo Pori) বলতে সাধারণত লোককথা, গল্প বা কবিতায় একধরনের রূপকথার চরিত্র বোঝায়।

অর্থ ও ব্যবহার:

পরী মানে আধ্যাত্মিক/অলৌকিক সত্তা, যাদের সৌন্দর্য, রহস্য আর জাদুকরী ক্ষমতার কথা বলা হয়।

কালো পরী বলতে বোঝায় হয়তো রহস্যময়, অন্ধকার, ভয়ংকর অথবা দুঃখের প্রতীকী কোনো পরী।

অনেক সময় গল্পে "কালো পরী" ব্যবহার করা হয় অশুভ শক্তি বা রহস্যময় অন্ধকার জগতের প্রতিনিধি হিসেবে।

আবার কবিতা বা প্রেমের গল্পে "কালো পরী" হতে পারে কারো গভীর কালো চোখের রূপক।

উদাহরণ:

কোনো গল্পে নায়কের শত্রু হতে পারে "কালো পরী", যে অন্ধকার শক্তির নিয়ন্ত্রক।

কবিতায় প্রেমিকার সৌন্দর্য বোঝাতে বলা যায়, “তোমার কালো চোখ যেন কালো পরী”।

👉 চাইলে আমি আপনাকে একটা ছোট গল্প লিখে দিতে পারি যেখানে “কালো পরী” চরিত্রটি আসবে।

আপনি কি চান আমি একটা গল্প লিখি কালো পরী নিয়ে, নাকি শুধু বর্ণনা দেব?

8 часы ·перевести

"কালো পরী" (Kalo Pori) বলতে সাধারণত লোককথা, গল্প বা কবিতায় একধরনের রূপকথার চরিত্র বোঝায়।

অর্থ ও ব্যবহার:

পরী মানে আধ্যাত্মিক/অলৌকিক সত্তা, যাদের সৌন্দর্য, রহস্য আর জাদুকরী ক্ষমতার কথা বলা হয়।

কালো পরী বলতে বোঝায় হয়তো রহস্যময়, অন্ধকার, ভয়ংকর অথবা দুঃখের প্রতীকী কোনো পরী।

অনেক সময় গল্পে "কালো পরী" ব্যবহার করা হয় অশুভ শক্তি বা রহস্যময় অন্ধকার জগতের প্রতিনিধি হিসেবে।

আবার কবিতা বা প্রেমের গল্পে "কালো পরী" হতে পারে কারো গভীর কালো চোখের রূপক।

উদাহরণ:

কোনো গল্পে নায়কের শত্রু হতে পারে "কালো পরী", যে অন্ধকার শক্তির নিয়ন্ত্রক।

কবিতায় প্রেমিকার সৌন্দর্য বোঝাতে বলা যায়, “তোমার কালো চোখ যেন কালো পরী”।

👉 চাইলে আমি আপনাকে একটা ছোট গল্প লিখে দিতে পারি যেখানে “কালো পরী” চরিত্রটি আসবে।

আপনি কি চান আমি একটা গল্প লিখি কালো পরী নিয়ে, নাকি শুধু বর্ণনা দেব?