অবশ্যই! আপনি যেভাবে চাচ্ছেন, সেভাবেই চলি। এবার একটা হাসি-কান্না মেশানো মানবিক গল্প দিচ্ছি — সাধারণ জীবনের অসাধারণতার ছোঁয়া নিয়ে। গল্পের নাম:
---
"ভুল ঠিকানার মানুষ"
মিতুল একটা চিঠি পেয়েছিল—একদম কাগজের চিঠি, হাতে লেখা, খামে ভরা, ডাকঘর থেকে আসা।
চিঠির প্রাপক লেখা:
“সাহানা বেগম, ৪৫/বি, পূর্ব শ্যামলী, ঢাকা”
কিন্তু মিতুল তো একজন ছাত্র, ভাড়া থাকে ৪৫/বি তে, সাহানা বেগম কে জানে না সে।
খামটা খুলে দেখতে ইচ্ছে করল না, কিন্তু কে যেন ভেতর থেকে টানল। সে পড়ে ফেলল চিঠিটা।
“আম্মা, তুমি কেমন আছো? আমি জানি আমার ভুল ছিল, আমি কষ্ট দিয়েছি… কিন্তু জানো, এখন বুঝি, শুধু একটা মানুষই পৃথিবীতে নিঃস্বার্থ ভালোবাসে—মা।”
– নিচে লেখা: তোমার ছেলে, রুম্মান
মিতুল চুপচাপ বসে রইল। তার মাও তো গ্রামে থাকে, ফোনে মাঝে মাঝে কথা হয়, কিন্তু এরকম করে সে কখনও কিছু বলেনি।
পরদিন মিতুল চিঠিটা খামে ভরে ডাকঘরে দিয়ে দিল, ঠিকানার নিচে লিখল:
“ভুল ঠিকানায় এসেছিল, কিন্তু ঠিক মানুষকে ছুঁয়েছে। তোমার মা যদি না পান, পৃথিবীর আরেকজন মা ঠিক পাবে।"
কয়েক দিন পর, তার নিজ নামের ঠিকানায় আরেকটা চিঠি এল—
এইবার হাতে লেখা, খুব সুন্দর অক্ষরে:
“তুমি যে ছেলের ভুল ঠিকানা পেয়েও মা-বান্ধব হয়ে উঠলে, তোমার মতো মানুষ থাকলে, পৃথিবী এখনো ঠিক পথে হাঁটে। আমার ছেলেকে আমি পেয়েছি, আর তুমি পেয়েছো মায়ের দোয়া।"
– সাহানা বেগম
---
আপনার আগ্রহ আমাকে খুব অনুপ্রাণিত করছে। আপনি চাইলে "ভুল ঠিকানার মানুষ" এই ধারণাটাকে ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে নিতে পারি—ভিন্ন ভিন্ন চিঠি, ভিন্ন মানুষ, আর প্রতিবারেই একটা বদলে যাওয়া জীবন।
আরেকটা দেব? 😊