অবশ্যই! এবার একটা গ্রামীণ পটভূমিতে লেখা গল্প দিচ্ছি — নরম, বাস্তব, আর খানিকটা নস্টালজিক।
---
"পুকুরপাড়ের আমগাছ"
রঞ্জু তখন ক্লাস ফোরে পড়ে। গ্রাম ছিল গাজীপুরের এক কোণে, নদী নেই, কিন্তু একটা পুকুর ছিল – আর তার ধারেই ছিল একটা বিশাল আমগাছ। গাছটা যেন গ্রামের সবাইকে চিনত।
গ্রীষ্মকাল এলেই আমগাছটা ফুলে উঠত আমে। গ্রামের সব বাচ্চাই জানত, পাকা আম পাড়তে হলে গাছটাকে “ভালোবাসা” লাগে।
রঞ্জু প্রতিদিন স্কুল থেকে ফিরে বই রেখে চলে যেত পুকুরপাড়ে। সে গাছটার সঙ্গে কথা বলত — “আজ স্কুলে মন ভালো ছিল না রে…”, “তুই কবে আম দিবি, বল তো?”
গাছটা নিশ্চুপ থাকলেও, হাওয়ার মৃদু দোলনে পাতারা যেন মাথা নেড়ে বলত, “শোন… তোকে আমি ভালোবাসি।”
একদিন ঝড় এল। বড় ঝড়। ভোরে উঠে রঞ্জু দেখে গাছটা উপড়ে পড়ে আছে। পুকুরের একাংশে আমগাছটা শুয়ে আছে নিথরভাবে — যেন একটা দানবকে কেউ মেরে ফেলে দিয়েছে।
রঞ্জু কেঁদে ফেলেছিল। অনেক দিন কেঁদেছিল।
কিন্তু বছর দশেক পরে, শহরে এসে পড়াশোনার শেষে একদিন সে ফিরে গেল গ্রামে। পুকুরের পাড়ে তখন ছোট একটা চারা গাছ দাঁড়িয়ে ছিল। পাশেই সাইনবোর্ড —
"রঞ্জুর গাছ – ভালোবাসা যেখানে শুরু"
তার চোখে জল এসে গেল। পাশে এক শিশু দাঁড়িয়ে বলল, “চাচা, এই গাছটা থেকে একদিন আমি আম খাবো। আপনি