Shuvo Khan  创建了一篇新文章
48 在 ·翻译

সুলতান তুঘরিল বেগ: সেলজুক সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা | ##sultantughrilbeg ##greatempireofseljuk

সুলতান তুঘরিল বেগ: সেলজুক সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা

সুলতান তুঘরিল বেগ: সেলজুক সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা

সুলতান তুঘরিল বেগ ছিলেন সেলজুক সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা এবং একজন অত্যন্ত শক্তিশালী ও দূরদর্শী নেতা।
3 在 ·翻译

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
​হযরত উসমান (রাঃ) ইসলামের তৃতীয় খলিফা এবং একজন প্রখ্যাত সাহাবী। তিনি ইসলামের ইতিহাসে 'যুন-নুরাইন' (দুই নূরের অধিকারী) এবং 'গনী' (ধনী) উপাধি লাভ করেছিলেন। এখানে তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
​প্রাথমিক জীবন ও ইসলাম গ্রহণ
​হযরত উসমান (রাঃ) ৫৭৯ খ্রিস্টাব্দে মক্কার কুরাইশ বংশের বনু উমাইয়া গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন কুরাইশদের অন্যতম ধনী এবং প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। তাঁর সততা, বিশ্বস্ততা এবং শালীনতার জন্য তিনি ইসলাম গ্রহণের পূর্বেই সমাজে অত্যন্ত সম্মানিত ছিলেন। হযরত আবু বকর (রাঃ)-এর দাওয়াতে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং প্রথম দিকের ইসলাম গ্রহণকারীদের (আস-সাবিকুনাল আওয়ালুন) মধ্যে অন্যতম ছিলেন।
​তিনি নবী মুহাম্মদ (সাঃ)-এর দুই কন্যা রুকাইয়া (রাঃ) এবং উম্মে কুলসুম (রাঃ)-কে বিবাহ করেছিলেন। এ কারণেই তাঁকে "যুন-নুরাইন" বা দুই নূরের অধিকারী বলা হয়।
​খিলাফত ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান
​হযরত উমর (রাঃ)-এর শাহাদাতের পর ৬৪৪ খ্রিস্টাব্দে একটি ছয় সদস্যের কমিটির মাধ্যমে হযরত উসমান (রাঃ) খলিফা নির্বাচিত হন। তাঁর খিলাফতকাল ছিল প্রায় ১২ বছর। এই সময়ে তিনি ইসলামের বিস্তারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
​কুরআন সংকলন: এটি ছিল তাঁর খিলাফতের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ। বিভিন্ন অঞ্চলে কুরআনের ভিন্ন ভিন্ন পাঠভঙ্গির কারণে মুসলিমদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিতে শুরু করলে তিনি হযরত হাফসা (রাঃ)-এর কাছে সংরক্ষিত মূল কপি থেকে একাধিক প্রামাণ্য কপি তৈরি করান এবং সেগুলো বিভিন্ন প্রদেশে প্রেরণ করেন। আজ আমরা যে কুরআনের সংস্করণ ব্যবহার করি, তা মূলত তাঁর তত্ত্বাবধানে সংকলিত হয়েছে।
​নৌবাহিনী গঠন: তাঁর সময়ে মুসলিম সাম্রাজ্যের সুরক্ষার জন্য প্রথমবারের মতো একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী গঠন করা হয়। এই নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগরে বাইজেন্টাইনদের বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করে এবং সাইপ্রাস ও রোডস দ্বীপ জয় করে।
​সাম্রাজ্যের বিস্তার: তাঁর সময়ে ইসলামি সাম্রাজ্য উত্তর আফ্রিকা, আর্মেনিয়া এবং পারস্যের বিভিন্ন অঞ্চলে বিস্তৃত হয়।
​শাহাদাত
​হযরত উসমান (রাঃ)-এর খিলাফতের শেষ দিকে কিছু ষড়যন্ত্রকারীর কারণে মুসলিমদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। কিছু লোক তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে এবং বিদ্রোহ শুরু করে। এই বিদ্রোহ একসময় চরম আকার ধারণ করে। ৩৫ হিজরীর ১৮ই জিলহজ, বিদ্রোহীদের একটি দল তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে। তিনি শান্ত থাকতে এবং রক্তপাত এড়াতে চেয়েছিলেন, তাই প্রতিরোধ করতে নিষেধ করেন। অবশেষে, রোজা অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত করার সময় বিদ্রোহীরা তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তাঁর শাহাদাত ছিল ইসলামের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা, যা পরবর্তীকালে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে মতভেদের সূচনা করে।

নিজের ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশিরভাগই আফ্রিকায় দান করবেন বিল গেটস
নিজের ৯৯ ভাগ সম্পদ দান করে দেওয়ার ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। এবার তিনি জানিয়েছেন, তার সম্পদের বেশিরভাগই আগামী ২০ বছরে আফ্রিকার স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের সেবার উন্নয়নে ব্যয় করা হবে।

৬৯ বছর বয়সী মি. গেটস বলেন, "স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে আফ্রিকার প্রতিটি দেশকে একটি সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যেতে হবে। "

ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় এক ভাষণে তিনি এই ঘোষণা দেন।

এ মহাদেশে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কীভাবে কাজে লাগানো যায় সে সম্পর্কে তরুণ উদ্ভাবকদের চিন্তা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

গতমাসে সম্পদের ৯৯ শতাংশ দান করার ঘোষণা দেওয়ার সময় তিনি জানিয়েছিলেন, তার আশা ২০৪৫ সালের মধ্যে এই সম্পদ ২০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে এবং ওই সময় ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে তার।

image
6 在 ·翻译

ইতালির ঐতিহাসিক কিছু অজানা কথা:

ইতালি শুধু রোমান সাম্রাজ্যের জন্য বিখ্যাত নয়, এর ইতিহাসে এমন অনেক চমকপ্রদ তথ্য লুকিয়ে আছে যা অনেকেই জানেন না। নিচে ইতালির কিছু ঐতিহাসিক অজানা তথ্য তুলে ধরা হলো:

১. রোমান কনক্রিট আধুনিক কনক্রিটের চেয়েও টেকসই:
প্রাচীন রোমানরা যে কনক্রিট ব্যবহার করত (যেমন: প্যানথিয়ন বা কলিজিয়াম), তা আজকের আধুনিক কনক্রিটের তুলনায় অনেক বেশি স্থায়ী। বিজ্ঞানীরা আজও এর রহস্য জানার চেষ্টা করছেন।

২. ইতালির প্রথম রাষ্ট্র ছিল না ‘ইতালি’:
১৮৬১ সালের আগে আজকের ইতালি অনেকগুলো ছোট ছোট রাজ্য ও প্রদেশে বিভক্ত ছিল, যেমন নেপলস, সিসিলি, ভেনিস, ফ্লোরেন্স, মিলান ইত্যাদি। এগুলো একীভূত হয়ে পরে "ইতালি" নাম ধারণ করে।

৩. ভ্যাটিকান সিটি — বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশ, ইতালির ভেতরে:
ভ্যাটিকান সিটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হলেও এটি সম্পূর্ণভাবে ইতালির রাজধানী রোমের ভেতরে অবস্থিত। এটি খ্রিস্টধর্মের কেন্দ্রবিন্দু এবং পোপের আবাসস্থল।

৪. রোমান সাম্রাজ্যে সিসিলি ছিল ‘শস্যভাণ্ডার’:
প্রাচীনকালে সিসিলি দ্বীপকে রোমানরা ‘রোমের খাদ্যভাণ্ডার’ বলত, কারণ এখান থেকেই অধিকাংশ শস্য সরবরাহ করা হতো।

৫. ইতালির কিছু শহর পানির নিচে ডুবে গেছে:
প্রাচীন কিছু শহর, যেমন ‘বায়াই (Baiae)’, একসময় রোমানদের বিলাসবহুল অবকাশ কেন্দ্র ছিল। আজ তা সমুদ্রের নিচে অবস্থান করছে।

৬. লিওনার্দো দা ভিঞ্চি কেবল চিত্রশিল্পী ছিলেন না:
তিনি একাধারে একজন বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, অস্ত্রনির্মাতা, অঙ্গচিকিৎসা বিশারদ ও উদ্ভাবক ছিলেন। তাঁর বহু নকশা আধুনিক প্রযুক্তির ভিত্তি তৈরি করেছে।

৭. ইতালির শহর ‘পম্পেই’ আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে চাপা পড়ে ইতিহাস হয়ে গেছে:
৭৯ খ্রিস্টাব্দে ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে পুরো শহরটি চাপা পড়ে যায়, এবং শত শত বছর পর খননের মাধ্যমে সেই শহরের নিখুঁত চিত্র ও মানুষদের দৈনন্দিন জীবন আবিষ্কৃত হয়।

ইতালির ইতিহাস শুধু রোমান সাম্রাজ্যের গৌরবেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এর ভেতরে লুকিয়ে আছে অজস্র বিস্ময় ও জ্ঞানের ভাণ্ডার। এই অজানা কথাগুলো জানলে ইতিহাস হয়ে ওঠে আরও জীবন্ত, আরও রহস্যময়।

6 在 ·翻译

## তবে কি মেঘেরা আকাশের চোখে জমে থাকা অতীত?: প্রকৃতি, স্মৃতি ও অস্তিত্বের কাব্যিক অনুসন্ধান

**১. ভূমিকা (Introduction)*
* **মূল পংক্তির অবতারণা* "তবে কি মেঘেরা আকাশের চোখে জমে থাকা অতীত?" – এই কাব্যিক পংক্তিটি প্রকৃতি (মেঘ ও আকাশ) এবং মানব মনের গভীরতম অনুষঙ্গ (স্মৃতি ও অতীত) এর মধ্যে এক অসাধারণ এবং গভীর সম্পর্ক স্থাপন করে। এটি কেবল একটি প্রশ্ন নয়, বরং অস্তিত্বের ক্ষণস্থায়ীতা, সময়ের প্রবাহ এবং স্মৃতির চিরন্তন উপস্থিতির এক দার্শনিক ও রূপক অন্বেষণ। মেঘের আগমন-নির্গমন এবং আকাশের বিশালতা কিভাবে মানুষের অতীত, দুঃখ, সুখ এবং অনুভূতির প্রতিচ্ছবি হতে পারে, তা এই উক্তির মূল প্রতিপাদ্য।
* **প্রবন্ধের উদ্দেশ্য* মেঘ এবং আকাশের বৈজ্ঞানিক ও কাব্যিক ব্যাখ্যা, অতীত ও স্মৃতির মনস্তাত্ত্বিক তাৎপর্য, প্রকৃতিতে মানব অনুভূতির প্রক্ষেপণ এবং এই সংযোগের সাহিত্যিক, দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা।
* **থিসিস স্টেটমেন্ট* মেঘেরা, তাদের পরিবর্তনশীল রূপ এবং আকাশের বিশাল পটভূমিতে তাদের উপস্থিতি, মানব মনের অতীত অভিজ্ঞতা, জমে থাকা আবেগ এবং অনুচ্চারিত স্মৃতির এক বিমূর্ত প্রতিচ্ছবি হিসেবে কাজ করে; এই রূপকটি প্রকৃতি ও মানব অস্তিত্বের মধ্যেকার গভীর সংযোগকে তুলে ধরে, যেখানে দৃশ্যমান মেঘেরা অদৃশ্য অতীতের বেদনা ও সৌন্দর্যের প্রতিধ্বনি বহন করে।

**২. মেঘ: আকৃতিহীন, পরিবর্তনশীল ও রহস্যময় সত্তা (Clouds: Formless, Changeable, and Mysterious Entities)*
* **মেঘের বৈজ্ঞানিক পরিচয়* মেঘ কি? জলীয় বাষ্পের ঘনীভবন, তার গঠন, প্রকারভেদ (যেমন - কিউমুলাস, স্ট্র্যাটাস, সির্রাস), এবং আবহাওয়ায় তার ভূমিকা।
* **মেঘের কাব্যিক ও রূপক তাৎপর্য*
* **পরিবর্তনশীলতা* মেঘের আকৃতি এবং রঙের অবিরাম পরিবর্তন জীবনের ক্ষণস্থায়ীতা এবং পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
* **রহস্যময়তা* মেঘ প্রায়শই রহস্য, অজানাকে ঢেকে রাখে।
* **ভারসাম্য* মেঘ বৃষ্টি নিয়ে আসে, যা জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য, কিন্তু একই সাথে ঝড়-তুফানের কারণও হতে পারে।
* **মুক্তির প্রতীক* মেঘ যেমন জল ধারণ করে আবার বর্ষণের মাধ্যমে মুক্ত হয়, তেমনি মানব মনও আবেগ ধারণ করে মুক্তি পেতে চায়।
* **মেঘ ও অনুভূতি* মেঘের ভিন্ন রূপ কিভাবে আমাদের মনে ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতির জন্ম দেয় (যেমন - সাদা মেঘের খেলা আনন্দের, কালো মেঘ বিষণ্ণতার)।

**৩. আকাশ: অনন্ত, নীরব ও অবিচল সাক্ষী (Sky: Infinite, Silent, and Unwavering Witness)*
* **আকাশের বিশালতা* দিগন্তহীনতা, অসীমতা এবং তার নীরব উপস্থিতি।
* **আকাশের বৈজ্ঞানিক পরিচয়* বায়ুমণ্ডল, মহাকাশ, তার বিস্তৃতি।
* **আকাশের কাব্যিক ও রূপক তাৎপর্য*
* **চিরন্তন সাক্ষী* আকাশ যেন সবকিছুর সাক্ষী, মানব সভ্যতার উত্থান-পতন, আনন্দ-বেদনা, সবকিছুই সে দেখেছে।
* **নিরপেক্ষতা* আকাশ সবার উপরে, কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই।
* **শান্তি ও প্রশান্তি* আকাশের বিশালতা মানুষকে এক ধরনের শান্তি ও স্থিরতা প্রদান করে।
* **অসীম সম্ভাবনা* আকাশের অনন্ত বিস্তার মানুষের স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা এবং সম্ভাবনার প্রতীক।
* **'আকাশের চোখ'* এই পংক্তিতে আকাশকে একটি চেতন সত্তা হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে যার চোখ আছে। এই চোখ যেন সব কিছু দেখে এবং ধারণ করে।

**৪. অতীত: স্মৃতির ভার, জমে থাকা আবেগ (The Past: The Burden of Memory, Accumulated Emotions)*
* **অতীতের সংজ্ঞা* যা ঘটে গেছে, যা সময় অতিক্রম করে গেছে।
* **স্মৃতি: অতীতের প্রতিচ্ছবি*
* **সুখ স্মৃতি* আনন্দ, হাসি, ভালোবাসা।
* **দুঃখ স্মৃতি* কষ্ট, বেদনা, হতাশা, অপ্রাপ্তি।
* **অব্যক্ত আবেগ* যে অনুভূতিগুলো প্রকাশ করা হয়নি, যা মনের গভীরে চাপা পড়ে আছে।
* **অতীতের গুরুত্ব* অতীত বর্তমানকে প্রভাবিত করে এবং ভবিষ্যৎকে রূপ দেয়।
* **অতীতের ভার* অনেক সময় অতীত আমাদের উপর এক ধরনের বোঝা হয়ে থাকে, বিশেষ করে যদি সেখানে অপূর্ণতা, ভুল বা বেদনা থাকে।
* **অতীত থেকে মুক্তি* মানুষ প্রায়শই অতীত থেকে মুক্তি পেতে চায়, কিন্তু তা সম্ভব হয় না, কারণ অতীত আমাদের অস্তিত্বের অংশ।

**৫. 'মেঘেরা আকাশের চোখে জমে থাকা অতীত': রূপকের গভীরতা (Clouds as the Accumulated Past in the Sky's Eyes: Depth of the Metaphor)*
* **মেঘ ও স্মৃতির সমান্তরাল*
* **অস্থায়ীতা* মেঘ যেমন আসে এবং চলে যায়, তেমনি স্মৃতিও মনে আসে আবার মিলিয়ে যায়। কিন্তু তার রেশ থেকে যায়।
* **ভার* মেঘ যেমন জলীয় বাষ্পের ভার বহন করে, তেমনি অতীতও আমাদের আবেগ ও অভিজ্ঞতার ভার বহন করে।
* **রূপ পরিবর্তন* মেঘ যেমন আকৃতি পরিবর্তন করে, তেমনি স্মৃতিও সময়ের সাথে সাথে ভিন্ন রূপে ধরা দেয়, কখনো ঝাপসা, কখনো স্পষ্ট।
* **বৃষ্টির মাধ্যমে মুক্তি* মেঘের বৃষ্টি যেমন পৃথিবীকে ধুয়ে দেয়, তেমনি চোখের জল বা প্রকাশের মাধ্যমে অতীত থেকে মুক্তি পাওয়ার এক ধরনের আকাঙ্ক্ষা থাকে।
* **জমে থাকা* অতীত স্মৃতিগুলো মনের গভীরে জমা হয়, ঠিক যেমন মেঘেরা আকাশে জমা হয়।
* **আকাশের চোখ ও উপলব্ধির মাধ্যম* আকাশ তার 'চোখ' দিয়ে এই মেঘরূপী অতীতকে দেখে। এটি বোঝায় যে প্রকৃতিও যেন মানুষের আবেগ ও স্মৃতিকে ধারণ করতে পারে।
* **বেদনার কাব্য* এই পংক্তিতে এক ধরনের বিষণ্ণতা বা নস্টালজিয।
লেখক (YT)

7 在 ·翻译
বৈশিষ্ট্য ও অবকাঠামোঃ

স্বভাবতই অন্যান্য জাদুঘর থেকে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর বিষয়-বৈশিষ্ট্যে সম্পূর্ণ আলাদা। দ্বিতল ভবন-বিশিষ্ট জাদুঘরের ছয়টি গ্যালারিতে সাজানো প্রদর্শনীতে পরিকল্পিত ও সুচারু ব্যবস্থাপনার ছাপ স্পষ্ট । ভবনের প্রবেশ মুখে ছোট প্রাঙ্গনে রয়েছে শহিদ ডা. ফজলে রাব্বির ব্যবহৃত একটি গাড়ি।

প্রথম গ্যালারিঃ প্রথম গ্যালারিতে পরিপাটি করে সাজানো রয়েছে বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য-নিদর্শন ও ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামের চিত্র। পলাশী প্রান্তরের নকশা, সিপাহী বিদ্রোহ, টিপু সুলতান, তিতুমীরের অংকিত চিত্র, ক্ষুদিরাম, প্রীতিলতা, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, শওকত আলী ও ঢাকা ভার্সিটি কমিটির আলোক চিত্র, রবীন্দ্রনাথের ছোট ভাস্কর্য, অবিভক্ত ভারত ও বাঙালি জাতির ইতিহাস ঐতিহ্যের চমৎকার সব প্রমাণ। রয়েছে ময়নামতি, পাহারপুর, ষাটগ¤ভুজ মসজিদের মডেল, তালপাতার পুথি, প্রাচীন গির্জা, প্রাচীন বাংলার শিল্প কর্মের নিদর্শন এর একটি ছবি।

দ্বিতীয় গ্যালারিঃ এই গ্যালারিতে তুলে ধরা হয়েছে পাকিস্তানিদের বৈষম্য, অত্যাচার, শাসন-শোষণের ইতিহাস। এতে সংগৃহীত রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যবহৃত পোশাক, কলম, পাইপ, রুমাল ও চিঠিপত্র।

তৃতীয় গ্যালারিঃ এই গ্যালারির প্রদর্শনের শুরুতেই রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের উদাত্ত আহ্বানের চিত্র। রয়েছে ‘৭১ এর অসহযোগ আন্দোলন, ২৫ মার্চে গণহত্যা, কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের স্বাধীনতার ঘোষণা, অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণ ও শরণাথীদের দুর্গত জীবন চিত্র।

চতুর্থ গ্যালারিঃ এই গ্যালারিতে রয়েছে বেশ কিছু শোকেস। বিভিন্ন শহিদদের ব্যবহৃত পোশাক ও অন্যান্য জিনিসপত্র এখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এছাড়া আরও আছে বিদেশের পত্র পত্রিকায় গণহত্যা সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রতিবেদন।

পঞ্চম গ্যালারিঃ পঞ্চম গ্যালারিতে মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষের অবদানের সাক্ষ্যবাহী নিদর্শনের পাশাপাশি স্থান পেয়েছে গেরিলা যুদ্ধ, স্বাধীন বাংলা বেতার, নৌকামান্ডো, বিমান বাহিনী, নারী সমাজ, মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র, বৈদেশিক সমর্থন এবং বিশেষ করে ভারতীয় জনসাধারণের সমর্থনের প্রতিচ্ছবি।

ষষ্ঠ গ্যালারিঃ এটি জাদুঘরের শেষ কক্ষ। এতে রয়েছে ভারতীয় বাহিনীর অশংগ্রহণ ও আত্মত্যাগের নিদর্শন। রয়েছে পাকবাহিনীর আত্মসমর্পনের চিত্র, তাদের দোসর রাজাকার, আলশামস, আল বদরের জঘন্যতম হত্যাকান্ডের নিদর্শন। এছাড়া রয়েছে বাংলার বীর যোদ্ধাদের আত্মদানের গৌরবের পরিচয়।