অজানা আমন্ত্রণ
ঢাকার পুরান শহরের গলি-ঘুপচিতে, গোয়েন্দা রাফি তার ছোট্ট অফিস চালাতো। ছেঁড়া সোফা, পুরনো ধূলিধূসর ডেস্ক আর দেয়ালে ঝুলে থাকা অর্ধেক ছেঁড়া ম্যাপ—এই ছিল তার রাজত্ব।
একদিন দুপুরে, ঠিক যখন রাফি নুডলস খেতে বসেছে, দরজায় কড়কড় শব্দ হলো। একজন কুরিয়ার ছেলে একটা পুরোনো খাম দিয়ে গেল। খামের গায়ে কোনো প্রেরকের নাম নেই, শুধু একটা বাক্য লেখা:
"যদি সত্যি জানার সাহস থাকে, কাল বিকেল পাঁচটায় লালবাগ কেল্লায় এসো—একজন অপেক্ষা করছে।"
রাফি চোখ সরু করলো। এটা নিছক মজা? নাকি কোনো ফাঁদ? তবে রহস্যের গন্ধ পেলেই রাফির মাথায় যেন আগুন জ্বলে ওঠে।
---
অধ্যায় ২: কেল্লায় অদ্ভুত ছায়া
পরদিন বিকেল। লালবাগ কেল্লা অদ্ভুতভাবে ফাঁকা। ছায়া পড়েছে লাল ইটের গায়ে। রাফি অপেক্ষা করছিলো ঠিক পাঁচটার সময়, যখন একটা কালো ছাতা হাতে এক মহিলা ধীরে ধীরে এগিয়ে এলো।
"আপনি কি রাফি?" — মহিলার কণ্ঠ ছিল দৃঢ় কিন্তু কাঁপা।
"হ্যাঁ," — রাফি চোখ মেলে তাকাল, "তবে আপনি কে?"
"আমি লায়লা। আমার ভাই ইমরান ১০ দিন আগে নিখোঁজ হয়েছে। পুলিশ বলছে ও আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু আমি জানি, সেটা মিথ্যে। তার মৃত্যুর আগের রাতে সে আমাকে এই চিঠিটা দিয়েছিল।"
লায়লা একটা ভাঁজ করা কাগজ রাফির হাতে দিলো। চিঠিতে লেখা:
"যদি আমি কাল বেঁচে না থাকি, বুঝবে—তারা এসে গেছে। খুঁজো, ছায়ার নিচে গোপনটা লুকানো।"
রাফি চুপ করে গেলো। “তারা” কে? কী সেই ছায়া?
---
অধ্যায় ৩: ছায়ার নিচে রহস্য
রাফি ইমরানের শেষ অবস্থান খুঁজতে লাগলো। তদন্ত করতে গিয়ে সে জানলো, ইমরান একটি রহস্যময় সংগঠনের কথা বলত, যারা ইতিহাসের পুরনো ধনসম্পদ খুঁজে বের করত। লালবাগ কেল্লার নিচে এক গোপন সুড়ঙ্গ আছে—এমন গুজব বহুদিন ধরেই রয়েছে।
রাফি কেল্লার পুরাতন মানচিত্র খুঁজে পায় এবং বুঝতে পারে, "ছায়ার নিচে" মানে হয়তো কেল্লার দেয়ালে পড়া কোনো নির্দিষ্ট সময়ের ছায়া নির্দেশ করছে গোপন প্রবেশপথ।
একদিন বিকেল ৫টা ১৭ মিনিটে, সূর্য ঠিক এক কোণ থেকে দেয়ালে ছায়া ফেলে—সেখানে একটা ইট একটু বাইরে উঠে আছে।
রাফি চাপ দেয়—টিক! একটা শব্দ হয়, আর পাশের দেয়ালটা ধীরে ধীরে সরে গিয়ে খুলে যায় একটা গোপন স
গ
