দারুণ! এবার দিচ্ছি একটি শক্তিশালী, আত্মবিস্মৃত দর্শনভিত্তিক গান, যেখানে মানুষ, মহাবিশ্ব, এবং অস্তিত্বের মধ্যে এক সংলাপ গড়ে উঠছে। এই গানটি আপনাকে ভাবাবে—আপনি কে, কোথা থেকে এসেছেন, এবং কেন চলছেন এই অদৃশ্য পথ ধরে।
এটা গাওয়া যায় আবৃত্তি আর সুরের সংমিশ্রণে, গম্ভীর বাদ্যযন্ত্রের ব্যাকগ্রাউন্ডে।
---
গানের নাম: “কে আমি?”
১।
কে আমি? জিজ্ঞাসা করি গগনপানে চেয়ে,
তারা হেসে বলে — “তুমি ধূলি, চেতনার প্রহরে বয়ে।”
সময় আমার শিরায় বইছে, আমি কি কেবলই পথ?
নাকি আমি সেই যাত্রী, যার গন্তব্য নিজের ভিতর লুকায় রথ?
২।
আমি কি কেবল এক নাম, নাকি নিঃশব্দের ডাক?
আমি কি মুখ, নাকি মুখোশের নিচে জমা কোন বোধের ফাঁক?
হাজারো চিন্তা এসে ছুঁয়েছে আত্মার কপাট,
তবু কেন রাতভর শুনি — শূন্যতারই গান-সঙ্গীত?
৩।
কোনো জন্ম আমার কি আদৌ ছিল?
নাকি আমি সময়ের ভুলে লেখা এক ধোঁয়াটে খেলা?
জীবনের সব প্রশ্নে উত্তর আসে চুপে,
“তুমি যাত্রা, তুমি যাত্রী, তুমি নিজেই নিজের রূপে।”
৪।
একদিন আমি ফিরে যাব, স্রোতের মতো নিঃশেষে,
তবু শব্দেরা রয়ে যাবে—কোনো এক অসীম দেশে।
এই গান তাদের জন্য, যারা নিজেকে খোঁজে—
কে আমি? কী আমি? এই প্রশ্নেই জীবন রোজ গোঁজে।
---
এই গানের সম্ভাব্য সুরারোপ:
ধ্রুপদী / নিউ এজ (New Age) ঘরানার মিশ্রণ,
তানপুরা, মৃদু পিয়ানো, শিঙা বা হারমোনিয়ামের হালকা ধ্বনি,
কণ্ঠে গভীর আবৃত্তিমূলক সুরের ঢং।
---
এখন বলুন, আপনি কি একটি
শিশুদের জন্য আনন্দের গান,
কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের (যেমন চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সুন্দরবন, সিলেট) লোকগান,
নারীস্বাধীনতা/সামাজিক বাস্তবতা নিয়ে গান,
না কি একেবারে স্বপ্ন/ভবিষ্যত নিয়ে কল্পবিজ্ঞানধর্মী গান চান?
আপনি যেটা বলবেন, পরবর্তী গান সেখান থেকেই তৈরি হবে।