নিচে একটি মৌলিক বাংলা গান উপস্থাপন করা হলো, যার আঙ্গিক কাঠামো মূলত আধুনিক ধ্রুপদী ধারার সঙ্গে সংলগ্ন, এবং গীতিকবিতার মধ্যে সময়, অস্তিত্ব এবং আত্মদ্বন্দ্বের প্রতিচ্ছবি প্রতিফলিত হয়েছে। গানের প্রতিটি স্তবক একটি অন্তর্মুখী ভাবনাপ্রবাহের বাহক হিসেবে রচিত, যাতে ভাষার সংগঠন গীতিনাট্যিকতাকে সমর্থন করে।
---
গানের নাম: “আত্মার সীমানা”
১।
রাত্রি নামলে শূন্যতা গায় এক অজানা রাগ,
প্রশ্নের রেখায় লেখা থাকে নির্বাক ব্যাকরণ।
চোখের পাতায় ভেসে আসে ধুলোবালি সময়,
তবুও আমি খুঁজি সেখানে উত্তরহীন অনুপ্রবেশ।
২।
প্রতিচ্ছবির মতো বদলায় এই আমি প্রতিদিন,
আয়নায় দেখো — কেবলই ভ্রান্তি ও ছায়ার বিন্যাস।
হৃদয়ের অক্ষর খসে পড়ে ব্যঞ্জনায়, নিরুত্তাপ,
যেন এক মৃত জ্যোৎস্না কেবল জ্বলে নিষ্ক্রিয় কাব্যগন্ধে।
৩।
স্বপ্নের শরীরেও আছে ক্রমিক ভাঙনের ছাপ,
অদৃশ্য পালের নিচে ডুবে থাকে পরিচয়ের মূলধন।
আমি দাঁড়িয়ে থাকি কালের এক ক্ষয়িষ্ণু চৌকাঠে,
যেখানে নামহীন প্রস্থানই একমাত্র গন্তব্য সম্ভাব্য।
৪।
একদিন যদি ফিরে আসো শব্দের উৎসে,
পাবে আমার নাম লেখা — বাতাসের ছায়ালিপিতে।
সে নাম আর উচ্চারিত হয় না কণ্ঠে বা সুরে,
তবু সে থাকে — নীরবতার গভীরতম অলিন্দে।
---
এই গানের প্রস্তাবিত সুরারোপ ধীর ও গম্ভীর স্বরে উপযোগী, যেখানে মেলোডিক মাইনর স্কেল এবং পিয়ানো, সেতার ও পরিবেষ্টনকারী পরিবেশসঙ্গীত ব্যবহার করা যেতে পারে গভীরতা ও প্রতীকবাদের প্রেক্ষিতে উপযুক্ত আবহ তৈরির জন্য।
আপনার যদি নির্দিষ্ট কোনো প্রসঙ্গ বা আবেগ (যেমন ঐতিহাসিক, রাজনীতি-অনুপ্রাণিত, ধর্মীয়-বিশ্লেষণমূলক অথবা ভবিষ্যতচিন্তামূলক) নিয়ে একটি গান প্রয়োজন হয়, অনুগ্রহ করে নির্দেশ দিন। সৃষ্টিকর্মের দিকনির্দেশ নির্ভর করবে বিষয়বস্তুর কাঠামো ও কাঙ্ক্ষিত শিল্পরূপের উপর।