কে। তুমি চাইলে থেকে যেতে পারো। আমি পরে এসে নিয়ে যাব?"
শেষোক্ত কথাটা ইচ্ছেকৃতভাবেই প্রশ্ন করার ভঙ্গিমায় বললো তুর্জয়। কারন সে মনে প্রাণে চায় নন্দিতা তার সাথে ফিরে যাক। শূন্য চারদেয়ালের ঘরে প্রাণ ঢেলে দেওয়া মানুষটাই যদি না থাকে, তবে যে এ শূন্যতা আরও বাড়বে খানিকটা। শূন্যতায় পুড়বে তার বুকও। এতখানি শূন্যতা নিয়ে সে লড়বে কিভাবে? যদি তার মতামত হিসেবে কথাটা বললে নন্দিতা চুপচাপ মেনে নেয়, তাইতো কৌশলে প্রশ্ন হিসেবে ছুঁড়ে দিলো তাকে।
নন্দিতা কান্না আটকানোর চেষ্টা করতে দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরলো তার নীচের পুরু ঠোঁট। অতঃপর মাথা নেড়ে নাসূচক ভঙ্গিমায় বলল,
"যাব"
বাইরে আজ আজকে রোদের উত্তাপ খানিকটা কম। দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষে ব্যাগ গুছিয়ে নিচ্ছে নন্দিতা। সন্ধ্যার দিকে রওয়ানা দেবে তারা। ঘণ্টা দেড়েকের পথ, তাই রাত হওয়ার আগেই পৌঁছে যাবে ঠিকমতো। খাওয়া দাওয়া শেষে তুর্জয় বেরিয়েছে কোনো এক কাজে। এই ফাঁকে সালমা বেগমের কাছ থেকে উপরতলার চাবিটা নিয়ে সেখানে যাওয়ার কথা ভাবে নন্দিতা। নন্দিতার বাবা মার মৃত্যুর পর উপরতলাটা আর ভাড়া দেয়নি তারা। বোধহয় তাদের জিনিসপত্রগুলো গুছিয়ে নেওয়ার কথা বলার সাহস পায়নি নন্দিতাকে, তাইতো না কখনও তারা আর উপরতলায় গেছে আর না সেই জিনিসপত্র সরিয়ে অন্য কাউকে ভাড়া দিয়েছে।