11 안에 ·번역하다

_________________

সাধন রাতে ফিরলো একটু দেরি করে। বাসার সবাই ততক্ষনে ঘুমিয়ে গেছে। শুধু সাধনের মায়ের ঘরে এখনো আলো জ্বলছে। সাধন নিজের ঘরে না গিয়ে সোজা মায়ের রুমে ঢুকলো। সাধনের মা তখন অপেক্ষা করছিলো ছেলের।

_তোমাকে কতদিন বলবো মা, তুমি আমার জন্য অপেক্ষা করবে না। ঘুমিয়ে পড়বে।

অনিমা বেগম খাট থেকে নেমে ছেলের দিকে তাকিয়ে মায়াভরা হাসি দিয়ে বলল,,,,

_তোর খাবারটা গরম করে দিবো তাই অপেক্ষা করছিলাম। হাতমুখ ধুয়ে আয়। আমি খাবার গরম করে দিচ্ছি।

সাধন মায়ের হাতটা ধরে বলল,
_আমি এখন কিছু খাবোনা মা। তোমার সাথে কথা ছিলো।

অনিমা বেগম ছেলেকে ইশারায় বসতে বললেন।সাধন মায়ের পাশে বসলো।

_আর্শীয়া কে নিয়ে তোমার কোনো আপত্তি আছে।
_আর্শীয়াকে আমি মানুষ করেছি। ওর প্রতি আপত্তি থাকার কোনো ব্যাখ্যা দেখছি না।
_তুমি আশুকে মেনে নিচ্ছ?
_ও আমার মেয়ের মতো। এবার না হয় বৌমা হিসাবে মানলাম।

সাধন মায়ের সাথে আরো কিছুক্ষন গল্প করে তারপর নিজের ঘরে গেলো।

কেটে গেলো আরো কিছুদিন। সাধন আর আর্শীয়া নিজেদের অনুভূতির প্রকাশে ব্যাস্ত। আর দুইদিন মাত্র হাতে রয়েছে বিয়ের। চৌধুরী বাড়ি নতুনরূপে সাজতে ব্যাস্ত। বিয়েটা খুবই জাঁকজমক ভাবে দিচ্ছে আমজাদ চৌধুরী। ইতিমধ্যে সমস্ত আত্মীয় স্বজনদের দাওয়াত দেওয়া শেষ। স্নিগ্ধ, স্নিগ্ধা, সাম্য, নিশিও হাজির।

আর্শীয়া ঘরে বসে ছিলো। ওকে ঘিরে রয়েছে ওর কাজিনগোষ্ঠী। নিশী তো নাচতে নাচতে বলল,,,

_অনেক দিন পরে একটা কাজিন বিয়ে খেতে যাচ্ছি।
পাশ থেকে স্নিগ্ধ ওর মাথায় গাট্টা মেরে বলল,,
_কাজিন বিয়ে আবার কী?
নিশী স্নিগ্ধর চুল টেনে ধরে বলল,,,,
_এইযে আশুপুর সাথে সাধন ভাইয়ের বিয়ে। ওরা আবার কাজিন। তাহলে তো কাজিন বিয়েই হলো তাইনা??

সবাই একসাথে হেসে উঠলো। স্নিগ্ধ আর নিশী রিলেশনে আছে। বেশিদিন হয়নি। তবে ওরা প্রেম কম ঝগড়া বেশি করে। মারামারি টাও হয় মাঝেমাঝে।

বিকেলে সবাই শপিং এ যাবে। সেই অনুযায়ী সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। স্নিগ্ধার বর আসতে পারেনি। সে কাজের স্বার্থে দেশের বাইরে গেছে। তাই স্নিগ্ধা মুড অফ করে বসে আছে।

হটাৎ ওদের শোরগোলের মধ্যে সেখানে উপস্থিত হলো দুই ভাই। সাধনের পিছনে আরশ। একমাত্র বোনের বিয়ে, তাইতো আরশ সকাল থেকে ছুটোছুটি করছে। ঘরে ঢুকে প্রথমে চোখে পড়লো আর্শীয়ার লাজুক মুখটা। আরশ কিছু একটা ইশারা করতেই সবাই মিটিমিটি হেসে বেরিয়ে যেতে লাগলো। সাধন তখনো ঠায় দাঁড়িয়ে আছে দরজার সামনে। আর্শীয়ার দিকে তাকিয়ে। আর্শীয়ার দম আটকে আসার মতো অবস্থা। সেদিনের কথা মনে পড়ে গেলো। আরো মিইয়ে গেলো লজ্জায়।

শিফা বেরিয়ে যাচ্ছিলো, আরশ ওর হাত ধরে টেনে অন্যেদিক নিয়ে গেলো।

_কুফার বাচ্চা, দেখছিস না সবাই প্রেম করছে। চল আমরাও একটু ঐদিক থেকে প্রেম করে আসি।

শিফাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ছাদের দিকে টেনে নিয়ে গেলো আরশ।

সাধন দরজা চাপিয়ে ধীর পায়ে সামনের দিকে এগোতে লাগলো। সাধন যতই এগোচ্ছে আর্শীয়ার গলাটা যেন ততই শুকাচ্ছে। আর্শীয়া বিছানায় বসে ছিলো। সাধন এসে ঠিক ওর সামনে বসলো। আর্শীয়া শক্ত হয়ে বসে রইলো।

আর্শীয়া একটা মেরুন রঙের শাড়ি পড়েছে। যার পাড় ফুলের নকশা করা। সাধন দেখলো আবারো সেই শাড়ি পরিহিতা রমণীর ভয়ার্ত চেহারা। একটু দম নিয়ে বলল,,,,

_খাট থেকে নাম।
আর্শীয়া শুনেনি তাই প্রশ্ন করলো।
_হুম?
_বলছি খাট থেকে নাম।
আর্শীয়া ধমক খেয়ে দ্রুত খাট থেকে নামতে গেলো। নামতে গিয়ে বাঁধলো আরেক বিপত্তি। পায়ের সাথে শাড়ি বেঁধে পড়েই যাচ্ছিলো। তৎক্ষণাৎ দুটো পুরুষালি হাত ওকে ঠিক তার বক্ষে আশ্রয় দিলো, পরম যত্নে। আর্শীয়া ভয়ে চোখমুখ খিচে সাধনের পরিহিত শার্ট খামচে ধরলো। খামচে ধরায় নখ বিঁধে গেলো সাধনের বুকে। দাঁতে দাঁত চেপে ব্যাথা সহ্য করে নিলো সাধন।

আর্শীয়া নিভু চোখে তাকালো। নিজেকে সংরক্ষিত ভাবতেই মুখে হাসি ফুটলো। সাধন ওর কপালে লেপ্টে থাকা চুলগুলো হাত দিয়ে কানের পিছনে গুঁজে দিলো। আর্শীয়া এখনো সাধনের শার্ট খামচে ধরে রেখেছে। সাধন বাঁকা হেসে সেদিকে একবার তাকিয়ে বলল,,,,

_তোকে তো গভীরভাবে ছুঁলাম না, তার আগেই আমার বুকে ক্ষতর সৃষ্টি করলি।। যখন তোকে আমি গভীরভাবে ছুঁবো তখন কী করবি আশু?

আর্শীয়া চটপট হাতটা সরিয়ে আনলো। হালকা রক্ত বেরিয়েছে। আর্শীয়ার খুব খারাপ লাগলো দেখে। ওর জন্যই বারবার সাধন ভাই কষ্ট পায়। যেতে চাইলে সাধন ওর কোমরটা চেপে ধরলো।
_আপনার এখান থেকে তো রক্ত বেরোচ্ছে। সরুন আমি পরিষ্কার করে দিচ্ছি।
_উহু। এটা থাক, তবে এরপর আমার রোমান্স এর সময় যেন তোর এই জংলী নখগুলো বাঁধা না হয়।

আর্শীয়ার কথা বন্ধ হয়ে গেলো এমন নির্লজ্জ কথা শুনে। সাধন আর্শীয়াকে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে, নিজে ঠিক ওর পিছনে দাঁড়ালো। আর্শীয়া বকুলের তীব্র ঘ্রানে মোহিত হয়ে গেলো। সাধন আর্শীয়ার মাথায় বকুলের মালা পড়িয়ে দিলো। কানের কাছে ঠোঁট নিয়ে বলল,,,,

_বকুলের ঘ্রানের মতোই মাতাল করা এক নেশা তুই। যা আমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে বয়ে যাচ্ছে। বলেই কানের কাছে একটা চুমু খেলো। আর্শীয়া চোখ বুজে অনুভব করলো মানুষটার পাগল করা কাজকর্ম।

_____________

আরশ শিফাকে ছাদে এনে থামলো। শিফা হাত টা ঝাড়া মেরে রাগত স্বরে বলল,,,

_সবাই ঐদিকে রয়েছে তুমি আমাকে এখানে টেনে এনেছো কেন??

আরশ আশেপাশে তাকালো। সবাই বিয়ের জোগাড় করতে ব্যাস্ত। আরশ কি করে বোঝাবে শিফাকে যে তারও খুব বিয়ে বিয়ে পাচ্ছে। নির্ঘাত বিয়েটা করে নিতো যদিনা শিফার বয়স অল্প হত। আরশ একটা বিরক্ত ভাব মুখে এনে বলল,,,

_সবাই রোদ্দুরে কা

6 중 ·번역하다

একটা সময় ছিল, যখন যেকোনো সম্পর্কের সাথে নিজেকে আকড়ে রাখতে চাইতাম। নিজের সবটুকু দিয়ে সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতাম। যত্নবান ছিলাম খুব। কিন্তু দিন শেষে সেই আকড়ে ধরা সম্পর্কগুলো থেকেই সবচেয়ে বেশি দুঃ'খ পেয়েছি!

আমার জীবনেও প্রেম এসেছিল। যাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবেসে ছিলাম। নিজের সবটুকু দিয়ে তাকে আকড়ে রেখেছিলাম, খুব সোহাগে আদরে। নিজের অস্তিত্ব ভুলে তাকেই নিজের অস্তিত্ব বানিয়ে ছিলাম। যার জন্য দিনশেষে নিজেকে আর খুঁজে পাই নি। এতে করে তার চলে যাওয়াতে আমিই কষ্ট পেয়েছিলাম।

যার হাত ধরে সব কিছু ভুলে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই মানুষটাও বুঝে নি আমায়। সব কিছুর জন্য আমাকেই দোষারোপ করল। নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারায় টিকলো না সেও শেষ পর্যন্ত!

এক সময় আমার অনেক বন্ধু ছিল। নিজের ভালোর কথা চিন্তা না করে, ওদের ভালো রাখতে ব্যস্ত ছিলাম। ওদের একটা ডাকে নিজের সবটুকু ঢেলে দিতাম। অথচ আমার বিবর্ণ সময়ে ওদের পাশে পাই নি। খেয়াল করলাম, আমিই ওদের প্রয়োজনের পাত্রই ছিলাম কেবল। প্রিয়জন আর হতে পারি নি।

একটা সময় ছিল, যখন আত্মীয় স্বজনের কাছে খুব প্রিয় ছিলাম। সবাই বলত আমার মতো ভালো আর কেউ হয়ই না নাকি। রূপে গুনে যেন মা লক্ষ্মী! কিন্তু যখন দুঃসংবাদগুলো আমায় আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে ছিল তখন তারাই সবার প্রথমে চোখ বাকিয়ে ছিল!

বাবা মায়ের আদরের ছিলাম খুব। সব সময় মাথায় করে রাখত। অথচ যখন দেখতে পেল আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হচ্ছে না আর তখন সেই আমিই যেন তাদের চোখের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে। এখনও মাথায় রাখে, তবে সেটা বোঝা ভেবে!

বিশ্বাসের নামে বিশ্বস্ত মানুষগুলো আমায় চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে ছিল, সবকিছু আমারই ভুল! তাই এখন আর কোনো সম্পর্কের উপর বিশ্বাসটা ঠিক রাখতে পারি না। কাঁচের মতো ভেঙে যাওয়া এই আমি এখন শুধু নিজের উপর বিশ্বাস করতে পারি। কেউ ভালো করতে চাইলে এখন আর বিশ্বাস হয় না বরং তার দিকে মুচকি হেসে “আমি ভালো আছি” বলে পাশ কাঁটিয়ে যাই।
এখন এভাবেই চলছে জীবন আমার, চলুক না!

26 중 ·번역하다

💞💞"ভালোবাসা হলো এমন এক অনুভূতি যা দেখা যায় না ছোঁয়া যায় না
—কেবল হৃ'দয় দিয়ে অনুভব করা যায়-
💗🥀"

💖💖"তুমি আমার জী'বনের সেই মানুষ যার সাথে কাটানো প্রতিটা মু'হূর্ত স্ব'প্নের মতো সু'ন্দর-💗🥀"

❤️‍🩹❤️‍🩹"ভালোবাসা মানে একস'ঙ্গে থাকার প্রতি'শ্রুতি সুখে-দুঃখে হাত না ছাড়ার অ'ঙ্গীকার-💗🥀"

💑 💑"তোমার একটি হাসি আমার দিনের সব ক্লা'ন্তি দূর করে দেয়-💗🥀"

🌙🌙"তুমি আমার আকাশের চাঁ'দ আমার জী'বনের আলো আমার হৃ'দয়ের স্প'ন্দন-💗🥀"

💝💝"ভালোবাসা কখনো দূ'রত্ব বোঝে না, শুধু বোঝে হৃ'দয়ের টান-💗🥀"

🥰🥰"তোমার ভালোবাসার ছোঁয়ায় আমার পৃ'থিবী বদলে যায় যেন এক নতুন সকাল জ'ন্ম নেয়-💗🥀"

❤️❤️"ভালোবাসা হলো দুটি আ'ত্মার একত্রে পথচলা যেখানে একে অপরের সুখই সবচেয়ে বড় আনন্দ-💗🥀"

🖤🖤"বেঁ'চে থাকুক পৃ'থিবীর সকল ভালোবাসা!

34 중 ·번역하다

AFace1 লাইক, কমেন্ট, পোস্ট করে ইনকাম করুন।
এই ভিডিওটি যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

1 시간 ·번역하다

আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

image
1 시간 ·번역하다

যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.