11 u ·Prevedi

#
চিত্রার ভঙ্গুর স্বর। আবারো জিজ্ঞেস করে, "উত্তর দিচ্ছেন না কেন?"

উন্মনা বাহার ভাই জবাবে কেবল তপ্ত শ্বাসটুকুই আলগোছে ফেলেন। উদাসীন বৈরী বাতাসে মিশে যায় যেন তার লাল রঙের অদেখা ক্ষত গুলো।
ছন্দহীন স্বরে বলেন, "যেই উত্তর দিতে গিয়ে প্রেমিকের কণ্ঠ কেঁপে উঠে, যেই প্রশ্ন শুনে প্রেমিকের চোখ নামিয়ে ফেলতে হয়, এমন প্রশ্নরা কেন আমার রঙ্গনার মস্তিষ্ক ছাড়ে না? কেন রঙ্গনা বারে বারে পাষাণ হয়ে এতখানি আঘাত করে যতখানি আঘাত রুহ অব্দি পৌঁছায়?"

বাহার ভাইয়ের কণ্ঠটা বড়ো অসহায় শোনালো। চিত্রা থমকে গেলো এহেন কথায়। আর কোনো অভিযোগ মেলে ধরার সাহস পেলো না। মেয়েটা যে বড়োই ভালোবাসতে জানে। প্রেমিকের ভঙ্গুর স্বর কিংবা অসহায়ত্ব সে কীভাবে মেনে নিবে!

এই অযাচিত নিস্তব্ধতায় চিত্রা আলগোছে বাহার ভাইয়ের হাতের মুঠোয় নিজের ছোট্টো হাতটি দিয়ে শক্ত করে ধরল মুঠো। বাহার ভাইয়ের অসহায়ত্বে খুব করে যেন সে বলল, চিরজীবন সে মানুষটার পাশে আছে। যতই মানুষটার করা কাজে সে ভেঙে পড়ুক, ব্যথা মিলুক কিংবা যন্ত্রণায় মৃত্যু কামনা করুক নিজের... তবুও সে মানুষটার পাশে থাকবে। যেমন করে পাশে থাকে ছায়া।

*

অবনী বেগম নিজেদের বিছানার চাদরটা গুছিয়ে নিচ্ছেন। টান টান করে। রাতে মানুষটা টান টান বিছানার চাদর না হলে ঘুমুতে পারেন না। রেগে যান যে! স্বামীর কোনটায় সুবিধা, কোনটায় অসুবিধা তা ভীষণ যত্নের সহিত অবনী বেগমের মুখস্থ।
কেবল মুখস্থ বললে ভুল হবে। বলা যায় অভ্যাস। আমজাদ সওদাগরের জীবনে যতটুকুই পারফেকশন আছে সবটাই অবনী বেগমের হাতের। স্বামীর সবটুকু একদম সঠিক, সুন্দর রাখতেই তিনি পছন্দ বোধ করেন।

আমজাদ সওদাগর তখন হন্তদন্ত হয়ে রুমে প্রবেশ করলেন। প্রবেশ করেই ব্যস্ত কণ্ঠে শুধালেন, "অহি কোথায়? ডেকে দাও তো।"

স্বামীর ব্যতিব্যস্ত কণ্ঠে কিছুটা কৌতূহলী হয়েই অবনী বেগম জিজ্ঞেস করলেন, "কী হয়েছে? কোনো সমস্যা?"

"যা বলছি তা করো তো।" বেশ বিরক্তি নিয়েই যেন বললেন লোকটা। অবনী বেগম আর কথা বাড়ালেন না। এই নিমতেতো আচরণের সাথে তার নতুন পরিচয় নয়৷ বহু বহু যুগ যাবত পরিচয়।
মিনিট খানেকের ভেতরই অহি প্রবেশ করল রুমে। উৎকণ্ঠা নিয়ে বলল, "ডাকছিলেন, আব্বু?"

ভদ্রলোক নিজের হাতের মুঠোয় থাকা ফোনটি এগিয়ে দিলেন। প্রায় ফিসফিসিয়ে বললেন, "নাও ধরো। তোমার মা কল করেছেন। তাকে তো বিয়েতে আসতে বলোনি আপাতত দোয়া চেয়ে নাও।"
অহি আশ্চর্য হলো বাবার কথায়। ঘাড় ঘুরিয়ে দরজায় ঠেস দিয়ে দাঁড়ানো অবনী বেগমের দিকেও তাকালো।

মেয়েকে তাকাতে দেখে অবনী বেগম দরজা থেকে সরে বাহিরে চলে গেলেন। থাকবেই বা কেন? তার কি এখানটাই থাকার আদৌ কোনো অধিকার অবশিষ্ট আছে? যেখানে সে কেবল চিরজীবন বাহিরের মানুষটি হয়েই ছিলো।

অহি ফোনটি ধরল। এবং তার বাবাকে বিস্মিত করে দিয়ে কলটি বিচ্ছিন্ন করল। কিংকর্তব্যবিমুঢ় আমজাদ সওদাগর হতভম্ব কণ্ঠে বললেন,
"কাটলে কেন? এ কি অভদ্রতা!"

অহির চোখ-মুখ শক্ত হয়ে আসে। সে কঠিন থেকে কঠিনতম স্বরে বলল, "কাউকে দুঃখ দেওয়ার চেয়ে অভদ্রতাই কি ভালো না?"

"দুঃখ! কাকে দুঃখ দিলাম?" আমজাদ সওদাগর যেন বুঝতে পারলেন না মেয়ে কী বলছে।

অহি তপ্ত শ্বাস ফেলল। তার বাবা নামক মানুষটা কি দিন দিন বোকা হয়ে যাচ্ছেন? না হলে অনায়াসে এমন মানুষকে কীভাবে দুঃখ দিতে পারেন? আর দুঃখ দিয়ে নির্দ্বিধায় ভুলেও যাচ্ছেন!

"আব্বু, আপনি ঐ ভদ্রমহিলার সাথে কেন যোগাযোগ রেখেছেন? আপনার মান-অপমান বোধ কি নেই? একটা মানুষ যে আপনাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে, আপনাকে বুঝিয়েছে আপনি তার যোগ্য নন, তারপরেও কোন কারণে আপনি তার সাথে যোগাযোগ করেন? আত্ম-সম্মান বলতেও তো একটা বস্তু

একটা সময় ছিল, যখন যেকোনো সম্পর্কের সাথে নিজেকে আকড়ে রাখতে চাইতাম। নিজের সবটুকু দিয়ে সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতাম। যত্নবান ছিলাম খুব। কিন্তু দিন শেষে সেই আকড়ে ধরা সম্পর্কগুলো থেকেই সবচেয়ে বেশি দুঃ'খ পেয়েছি!

আমার জীবনেও প্রেম এসেছিল। যাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবেসে ছিলাম। নিজের সবটুকু দিয়ে তাকে আকড়ে রেখেছিলাম, খুব সোহাগে আদরে। নিজের অস্তিত্ব ভুলে তাকেই নিজের অস্তিত্ব বানিয়ে ছিলাম। যার জন্য দিনশেষে নিজেকে আর খুঁজে পাই নি। এতে করে তার চলে যাওয়াতে আমিই কষ্ট পেয়েছিলাম।

যার হাত ধরে সব কিছু ভুলে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই মানুষটাও বুঝে নি আমায়। সব কিছুর জন্য আমাকেই দোষারোপ করল। নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারায় টিকলো না সেও শেষ পর্যন্ত!

এক সময় আমার অনেক বন্ধু ছিল। নিজের ভালোর কথা চিন্তা না করে, ওদের ভালো রাখতে ব্যস্ত ছিলাম। ওদের একটা ডাকে নিজের সবটুকু ঢেলে দিতাম। অথচ আমার বিবর্ণ সময়ে ওদের পাশে পাই নি। খেয়াল করলাম, আমিই ওদের প্রয়োজনের পাত্রই ছিলাম কেবল। প্রিয়জন আর হতে পারি নি।

একটা সময় ছিল, যখন আত্মীয় স্বজনের কাছে খুব প্রিয় ছিলাম। সবাই বলত আমার মতো ভালো আর কেউ হয়ই না নাকি। রূপে গুনে যেন মা লক্ষ্মী! কিন্তু যখন দুঃসংবাদগুলো আমায় আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে ছিল তখন তারাই সবার প্রথমে চোখ বাকিয়ে ছিল!

বাবা মায়ের আদরের ছিলাম খুব। সব সময় মাথায় করে রাখত। অথচ যখন দেখতে পেল আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হচ্ছে না আর তখন সেই আমিই যেন তাদের চোখের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে। এখনও মাথায় রাখে, তবে সেটা বোঝা ভেবে!

বিশ্বাসের নামে বিশ্বস্ত মানুষগুলো আমায় চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে ছিল, সবকিছু আমারই ভুল! তাই এখন আর কোনো সম্পর্কের উপর বিশ্বাসটা ঠিক রাখতে পারি না। কাঁচের মতো ভেঙে যাওয়া এই আমি এখন শুধু নিজের উপর বিশ্বাস করতে পারি। কেউ ভালো করতে চাইলে এখন আর বিশ্বাস হয় না বরং তার দিকে মুচকি হেসে “আমি ভালো আছি” বলে পাশ কাঁটিয়ে যাই।
এখন এভাবেই চলছে জীবন আমার, চলুক না!

💞💞"ভালোবাসা হলো এমন এক অনুভূতি যা দেখা যায় না ছোঁয়া যায় না
—কেবল হৃ'দয় দিয়ে অনুভব করা যায়-
💗🥀"

💖💖"তুমি আমার জী'বনের সেই মানুষ যার সাথে কাটানো প্রতিটা মু'হূর্ত স্ব'প্নের মতো সু'ন্দর-💗🥀"

❤️‍🩹❤️‍🩹"ভালোবাসা মানে একস'ঙ্গে থাকার প্রতি'শ্রুতি সুখে-দুঃখে হাত না ছাড়ার অ'ঙ্গীকার-💗🥀"

💑 💑"তোমার একটি হাসি আমার দিনের সব ক্লা'ন্তি দূর করে দেয়-💗🥀"

🌙🌙"তুমি আমার আকাশের চাঁ'দ আমার জী'বনের আলো আমার হৃ'দয়ের স্প'ন্দন-💗🥀"

💝💝"ভালোবাসা কখনো দূ'রত্ব বোঝে না, শুধু বোঝে হৃ'দয়ের টান-💗🥀"

🥰🥰"তোমার ভালোবাসার ছোঁয়ায় আমার পৃ'থিবী বদলে যায় যেন এক নতুন সকাল জ'ন্ম নেয়-💗🥀"

❤️❤️"ভালোবাসা হলো দুটি আ'ত্মার একত্রে পথচলা যেখানে একে অপরের সুখই সবচেয়ে বড় আনন্দ-💗🥀"

🖤🖤"বেঁ'চে থাকুক পৃ'থিবীর সকল ভালোবাসা!

41 m ·Prevedi

AFace1 লাইক, কমেন্ট, পোস্ট করে ইনকাম করুন।
এই ভিডিওটি যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

1 h ·Prevedi

আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

image
1 h ·Prevedi

যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.