সিলেটের আম্বরখানায় একটি তিন তালা বাড়ি আছে নাতাশা বেগমের। তার বললে ভুল হবে বাড়িটি হলো তার স্বামী জুবায়ের আহমেদের। সেই তিন তালা বাড়িটির দ্বিতীয় তালাতেই তারা থাকে পাঁচ রুমের একটি ফ্লাটে। সেই ফ্লাটের দক্ষিণ দিকের একটি রুম অহির নামে বরাদ্দ। অহি সে-ই রুমটাতেই থাকে।
সময় মাত্র সকাল পৌনে সাতটা। অহি স্নান করে বের হয়েছে সবে। পরনে গতানুগতিক সাদা রঙের একটি ফতুয়া। গোল ফ্রেমের চশমাটা চোখে। চুল গুলো এখন পিঠ ছাড়িয়ে কোমড় সমান হয়েছে। স্নিগ্ধ, সুন্দর মুখশ্রী। স্নান করাতে আরেকটু বেশি পবিত্রতা জড়িয়ে ধরেছে যেন তাকে। খানিক পরিপাটি হতেই ফোন বেজে উঠল তার। ভাইব্রেশনের তালে তালে কাঁপছে ফোনটা। অহি রিসিভ করল ফোন। অপর পাশ থেকে চনমনে একটি মেয়েলি স্বর ভেসে এলো,
‘কতক্ষণ লাগবে তোমার, অহি? আমরা কিন্তু বের হয়ে গিয়েছি।’
‘পাঁচ মিনিট বড়োজোর। তোমরা আসতে আসতে আমি দশবার যেতে পারব। আমার বাসা থেকে দুই মিনিটের রাস্তা সিএনজি স্টেশন।’
‘আচ্ছা আসো। বাই।’
ছোটো কথপোকথনের পর কলটি বিচ্ছিন্ন হলো৷ অহি মুখে কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করেনি। কেবল চুল টুকু নাম মাত্র গুছিয়েই কাঁধে ট্রাভেল ব্যাগ তুলে নিল।
Read More
Md Habib Ullah
删除评论
您确定要删除此评论吗?