কিছু ফেরেশতা যেমন জিবরাইল, মিকাইল, ইসরাফিল ও আজরাইল কুরআনে ভিন্ন ভিন্ন নামে উল্লিখিত হয়েছেন। জিবরাইল হলেন আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় ও মর্যাদাসম্পন্ন ফেরেশতা। তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে নবি-রাসুলদের নিকট ওহি পৌঁছে দিতেন। ওহি পৌঁছানোর পাশাপাশি তিনি আরও নানা দায়িত্ব পালন করতেন। মিকাইল আল্লাহর অন্যতম প্রধান ফেরেশতা, যিনি প্রকৃতির বিভিন্ন কার্যাবলি পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত। ইসরাফিল কিয়ামতের দিনে শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত ফেরেশতা। তিনি প্রথমবার ফুঁ দেবেন, যাতে কিয়ামত সংঘটিত হবে। এরপর দ্বিতীয়বার ফুঁ দিয়ে তিনি সব প্রাণীকে পুনরুজ্জীবিত করবেন এবং তারা হাশরের ময়দানে উপনীত হবে। আজরাইল মৃত্যুর ফেরেশতা হিসেবে পরিচিত। তিনি প্রতিটি প্রাণীর মৃত্যুক্ষণে তার কাছে উপস্থিত হয়ে প্রাণ কবজ করেন। কিরামান কাতেবীন হলেন দুই ফেরেশতা, যারা মানুষের নেক ও বদ আমল লিখে রাখেন। একজন ডান কাঁধে, অন্যজন বাম কাঁধে অবস্থান করেন এবং প্রতিনিয়ত মানুষের কার্যকলাপ লিপিবদ্ধ করেন। মুনকার ও নাকির কবরস্থানে মৃত ব্যক্তিকে প্রশ্ন করার দায়িত্বপ্রাপ্ত ফেরেশতা। তারা ইমান ও আমলের বিষয়ে প্রশ্ন করে থাকেন। হামালাত আল-আরশ হলেন সেই বিশেষ ফেরেশতাগণ, যারা আল্লাহর আরশ বহন করেন। তাদেরকে বিশেষভাবে এই দায়িত্ব পালনের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। ইসলামি বিশ্বাস অনুযায়ী, এদের ছাড়াও আরও অগণিত ফেরেশতা রয়েছেন, যাদের সংখ্যা ও কাজ শুধুমাত্র আল্লাহই জানেন।