ফেরেশতারা মিরাজ সম্পর্কিত ইসলামি সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইসলামি বিশ্বাসে, মিরাজ হলো মুহাম্মাদের এক বিশেষ রাত্রিকালীন যাত্রা, যেখানে তিনি জান্নাতে গমন করেন এবং সেখানে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই যাত্রাপথে তিনি একাধিক ফেরেশতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন জিবরাইল ও মিকাইল।[৩০] অন্যান্য অনেক ফেরেশতা ইসলামি ধর্মতত্ত্ব, দর্শন এবং কিয়ামতের ঘটনার বিবরণে বিভিন্নভাবে চিত্রিত হন। ইসলামি বিশ্বাস অনুযায়ী, ফেরেশতারা কিয়ামতের দিন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন। তারা মানুষের কর্মকাণ্ড লিপিবদ্ধ করবেন এবং বিচার দিবসে সৎ ব্যক্তিদের জান্নাতে ও অসৎ ব্যক্তিদের জাহান্নামে পৌঁছে দেবেন। ফেরেশতারা ইসলামি ধর্মতত্ত্বে আল্লাহর সৃষ্টিরূপে বিবেচিত হন এবং তার ইচ্ছার প্রতিফলন হিসেবে দেখা হয়। ইসলামি দর্শনে তাদেরকে মানুষের আধ্যাত্মিক উন্নতির প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়।[৩৯]