জদারত অবস্থায় বান্দা তার রবের সবচেয়ে বেশি নিকটবতীর্ হয়। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৪৮২
তবে নামাযের মিষ্টতা এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের অনুভূতি তখনই উপলব্ধি হবে, যখন নামায ‘খুশু’ এর সাথে আদায় করা হবে। আয়াতে শুধু নামায পড়ার কথা বলা হয়নি; বরং ‘খুশু’-এর সাথে নামায আদায়ের কথা বলা হয়েছে। ‘খুশু’-এর অর্থ হল, বিনয়ের সাথে অন্তরকে আল্লাহর অভিমুখী করা। -তাফসীরে কাবীর ২৩ : ২৫৯
নামাযে ইচ্ছাকৃত অন্তরে অন্য কোনো খেয়াল না আনা। অন্য কোনো খেয়াল এসে গেলে সাথে সাথে মন নামাযের অভিমুখী করা। ‘খুশু’ হাছিলের একটা সহজ পদ্ধতি হল নামাযে যা পড়া হয় তার দিকে ধ্যান রাখা। অর্থ জানা থাকলে অর্থের দিকে খেয়াল করা। দিলের মধ্যে এই অনুভূতি রাখা যে, আমি সর্বক্ষমতাময় আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। তিনি আমাকে দেখছেন।
‘খুশু’ এর অপরিহার্য দাবি হল, নিজের বাহ্যিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও স্থির রাখা। (প্রাগুক্ত)